!!!
হবিগঞ্জ জেলা শহর থেকে ২২ কিমি দূরে সদর উপজেলার রাজিউড়া ইউনিয়নের উচাইল গ্রাম। সেখানে রয়েছে সাড়ে ছয়শ বছরের পুরানো ঐতিহ্যবাহী উচাইল শংকরপাশা শাহী মসজিদ। এটি নির্মিত হয়েছে বাংলার সুলতান আলাউদ্দিন হোসেন শাহ’র আমলে। ঐতিহাসিকগনের ধারণা ১৪৯১-১৫১৯ খৃস্টাব্দের মাঝামাঝি এই মসজিদ নির্মাণ করা হয়। এলাকায় এটি ‘গায়েবী মসজিদ’ নামেও পরিচিত।
মসজিদের একাংশ
বাইরের দেয়ালের নকশা
ছোট টিলার উপর অবস্হিত আকারে মসজিদটি প্রায় বর্গাকার। কারুকার্যময় ৬টি খিলান এবং রয়েছে ৪টি গম্বুজ - ১টি বড়, ৩টি ছোট। মসজিদের বাইরে ও ভিতরের দেয়ালে রয়েছে অপূর্ব নকশা। ভিতরের মিম্বরও রঙীন নকশা কাটা। স্হানীয়দের ভাষ্যমতে খিলানের উপর কলসীসদৃশ্য ছোট ছোট গম্বুজ ছিল।
এখন আর নেই। তস্করদের কারণে তা চলে গেছে ব্যবসায়ীদের হাতে। নান্দনিক শিল্পের অন্যতম নিদর্শন এই মসজিদ।
খিলানের নকশা
মূল প্রবেশদ্বার
নামাযীদের জায়গার সংকুলান করতে মসজিদের সামনের অংশে শামিয়ানা টানানো হয়েছে। এর ফলে মসজিদের সম্মুখের অংশের সৌন্দর্য অনেকাংশে হ্রাস পেয়েছে।
প্রত্নতাত্বিক বিভাগের কোন তত্ত্বাবধান এখানে নেই। স্হানীয় বাসিন্দারা মসজিদের দেখাশুনা করেন।
উল্লেখ্য মসজিদের পাশে রয়েছে শাহ মজলিশ আমিন (রঃ)এর মাজার। তিনি হযরত শাহজালাল (রঃ)এর ৩৬০ আউলিয়ার একজন। তিনি উচাইল গ্রামে ইসলাম প্রচারে নিয়োজিত ছিলেন।
রঙীন নকশা কাটা মিম্বর
ভিতরের দেয়ালের নকশা
ছোট-বড় গম্বুজ
পূর্বমুখী মসজিদের সম্মুখভাগ। সূর্য পশ্চিমে হেলে যাওয়ায় ছবিও পরিষ্কার আসেনি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।