আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হারয়িে যাচছে ঐতহ্যিবাহী কুমল্লিার লালমাই পাহাড়



কুমিল্লা সদর দণি ও বরুড়া উপজেলায় লালমাই পাহাড়ের ১৩ হাজার ৭শ’ ৬০ একর। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি লালমাই পাহাড় দিন দিন তার শ্রী হারাচ্ছে। উজাড় হচ্ছে বন, বিলীন হচ্ছে পাহাড়ের অস্তিত্ব। থেমে যাচ্ছে পশুর ডাক, পাখির কলরব। পাহাড় কাটা চলছে অবিরাম।

কখনো প্রকাশ্যে, কখনো চুরি করে। বাড়ছে আবাসিক এবং বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণের প্রতিযোগিতা। জমির দাম কম হওয়ায় হাউজিং কোম্পানীর দৃষ্টি এখন লালমাই পাহাড়ের উপর। জন্মদিনের কেকের মতো টুকরো টুকরো হয়ে নিশ্চিহ্ন হচ্ছে কিংবদন্তীর ঐহিত্যবাহী লালমাই পাহাড়। শুধু তাই নয়, লালমাই পাহাড়ী অঞ্চল কুমিল্লার প্রাচীন সভ্যতার বিষয়।

স্বার বহন করে। পৃথিবীতে যখন প্রস্তর যুগ, তখন এ অঞ্চলের মানুষ তৈজসপত্র ব্যবহার করতো। সেই সভ্যতার কেন্দ্রভূমিটি হারিয়ে যাচ্ছে। যা বৃহত্তর কুমিল্লার মানুষের গৌরব ও অহংকারের বিষয়। পাহাড়ে মানুষের চাপ বাড়া সম্পর্কে স্থানয়রা জানান, এখানে বার্ড, বিডিআর সেক্টর হেডকোয়ার্টার, পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, ক্যাডেট কলেজ, টিচার্স ট্রেনিং কলেজ হওয়ায় এলাকায় মানুষ বাড়ছে।

২০০৬ সালের ৭ ফেব্র“য়ারি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলক উন্মোচন করা হয় লালমাই পাহাড়ের সালমানপুরে। এর আগে সালমানপুরে বাংলাদেশ স্পের্টস একাডেমি প্রতিষ্ঠা করা হয়। স¤প্রতি একই এলাকায় প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে সিসিএন পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট। আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান অপোয় রয়েছে পাহাড়ের নিরবতা ভেঙ্গে নতুন ভবন করার। লালমাই পাহাড়ে কয়েক শতাধিক বাঙালীর সাথে বসবাস করেন ৫ শতাধিক ত্রিপুরা উপজাতি।

ত্রিপুরা উপজাতি কল্যাণ সমিতির সেক্রেটারি মনীন্দ্র ত্রিপুরা জানান, তারা পাহাড়ের মানুষ, পাহাড় ছাড়া তাদের অস্তিত্বই বিলীন হয়ে যাবে। তিনি আরো জানান, লালমাই পাহাড়ের অধিকাংশের মালিকানা ব্যক্তিগত। যে যার ইচ্ছে মতো পাহাড় কাটছেন, ভবন তুলছেন। এ বেপারোয়া আগ্রাসন বন্ধ করা না হলে আগামি এক দশকে লালমাই পাহাড়ের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যাবে না। তাদের পাহাড়, ভূমি চলে যাচ্ছে দখলদারদের কবলে বলে তিনি জানান।

সদরের রেঞ্জার মোশারফ হোসেন জানান, পাহাড়ের ১৩ হাজার ৭শ ৬০ একরের মদ্যে বন বিভাগের অধীনে রয়েছে মাত্র ৪শ ৮৬ দশমিক ২৫ একর ভূমি। যা কুমিল্লা ময়নামতি বৌদ্দ বিহার সংশ্লিষ্ট এলাকায় অবস্থিত। এখানে রয়েছে বন বিভাগের বন। বাকী অংশের দায়িত্ব পরিবেশ অধিদপ্তরের। কুমিল্লা পরিবেশ অধিদপ্তরের কোনো কার্যালয় নেই।

পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম বিভাগীয় অফিসের পরিচালক মোঃ আবদুস সোবহার জানান, জনবল সংকটের কারণে পাহাড় সংরণের বিষয়টি নজরে রাখতে পারছেন না তারা। পাহাড় কাটতে হলে স্থানীয়ভাবে জেলা প্রশাসনের অনুমতি নিতে হয়। নির্দিষ্টভাবে অভিযোগ দেয়া হলে তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।