সকালের মিষ্টি রোদ পেরিয়ে আমি এখন মধ্যগগনে,
স্যেকুলারদের দাবী, তারা ধর্ম-বিরোধী নয়। তারা নিরপেক্ষ। এটি অসত্য এবং নিছক এক প্রতারণা। এটি তাদের মূল লক্ষ্যকে আড়াল করার কৌশল।
একটি মুসলিম দেশে ইসলাম বিরোধী প্রকল্পের মূল কথাটি খোলাখোলি বলার সাহস নেই বলেই তারা এরূপ নিরপেক্ষতার ভান করে।
রাজনীতির ময়দানে এমন ছলনাকে তারা জায়েজও মনে করে। মুসলমানের সকল কর্ম ও ধর্ম পরাকালমুখি। পথচলায় প্রতিটি পদক্ষেপই ফেলা হয় মূল লক্ষ্যকে সামনে রেখে। যে পূব দিকে যায় সে কখনই তাই পশ্চিমে পা রাখে না। তেমনি অবস্থা তাই জীবনের আসল পথচলাতেও।
আখেরাতমুখী মানুষের জীবনটি এজন্যই ইহজাগতিক মানুষ থেকে তাই ভিন্নতর হয়। এখানে সার্বক্ষণিক কাজ পরকালে সফল হওয়ার চেতনা। অথচ পরকালের সে চেতনা সেকুলারদের রাজনীতি এবং শিক্ষা-সংস্কৃতিতে অপ্রাসঙ্গিক। বরং তারা চায়, পরকালমুখি জীবনের সে গতিধারাকে ঘুরিয়ে দিতে।
এভাবে সুস্পষ্ট ভাবে তারা একটি পক্ষ নেয়, অতএব তাদেরকে কি নিরপেক্ষ বলা যায়? আগুনকে তার উত্তাপ থেকে কখনই আলাদা করা যায় না।
সেটি বিলুপ্ত হয় একমাত্র নেভানোর পর। তেমনি অবস্থা একজন মুসলমানেরও। যেখানেই সে যায় ঈমানকে সে সাথে নিয়েই যায়। তাই মুসলমানের ইবাদত-বন্দেগী ও পোষাক-পরিচ্ছদের পাশাপাশি তার রাজনীতি, অর্থনীতি, সংস্কৃতির মাঝেও প্রকাশ পায় ঈমানের উত্তাপ। প্রকাশ পায় পরকালমুখিতা।
কিন্তু স্যেকুলারদের দাবী, মুসলমানকে রাজনীতি, শিক্ষা-সংস্কৃতি, সাহিত্য, আইন-আদালত ও জীবনের অন্যান্য ক্ষেত্রে প্রবেশ করতে হবে ইসলামের প্রচার বা প্রকাশ না ঘটিয়েই। কিন্তু সেটি কি সম্ভব? সেটি একমাত্র সম্ভব ঈমানের সে আগুনকে নিভিয়েই। স্যেকুলার রাজনীতিতে তাই মুসলমানের ঈমান বাঁচেনা। মুসলমানের রাজনীতি, শিক্ষা-সংস্কৃতি তো আজীবনের। জায়নামায বা মসজিদের মেঝেতে কি সেটিকে সীমাবদ্ধ করা যায়? বিদ্যুতের সুইচ অন-অফ করার ন্যায় সেটি বার বার জ্বালানো বা নিভানোর বিষয়ও নয় যে রাজনীতি থেকে জায়নামায এবং জায়নামায থেকে রাজনীতি এরূপ প্রতিবার অন-অফ করবে।
Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।