আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইলা মিত্র যেন কে...



ইলা মিত্র যেন কে... তেভাগা আন্দোলনের নেত্রী নাচোলের রানীখ্যাত কমরেড ইলা মিত্রের সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী ছিল মঙ্গলবার। ২০০২ সালের ১৩ অক্টোবর মৃত্যুবরণ করেন সংগ্রামী এই কৃষক নেত্রী। তার মৃত্যুবার্ষিকী সম্পর্কে কিছুই জানে না স্থানীয় প্রশাসান। এমনকি ইলা মিত্র কে তাও বলতে পারেনি স্থানীয় প্রশাসন। ইলা মিত্রর রেখে যাওয়া ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার পৈতৃক বাড়ি ও শত শত বিঘা জমি ইতিমধ্যে বেদখল হয়ে গেছে।

এগুলো উদ্ধার বা রক্ষণাবেক্ষণের কোনো উদ্যোগ নেই তাদের। যতটুকু জানা যায় নাচোলের রানী ইলা মিত্রর বাবা নগেন্দ্রনাথ সেন ও মা মনোরমা সেন দুজনের বাড়িই ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার বাগুটিয়া গ্রামে। বাবার চাকরির সুবাদে ইলার জন্ম কলকাতায়। ১৯২৫ সালের ১৮ অক্টোবর তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা ছিলেন বেঙ্গলের ডেপুটি একাউন্টেন্ট জেনারেল।

মা মনোরমা সেন গৃহিণী। শৈলকুপার বাগুটিয়া গ্রাম তাদের পৈতৃক নিবাস। ইলার জন্ম কলকাতায় হলেও ছেলেবেলা কেটেছে শৈলকুপার বাগুটিয়া গ্রামে। শৈশব-কৈশরের বেশকিছু সময় অতিবাহিত করেছেন এই প্রত্যন্ত পল্লী বাগুটিয়া গ্রামে। ১৯৪৫ সালে চাঁপাইনবাবগঞ্জের রামচন্দ্রপুরের জমিদার বাড়ির রমেন্দ্রনাথ মিত্রর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন ইলা সেন।

বিয়ের পর স্বামীর নামানুসারে ইলা হয়ে যান ইলা মিত্র। রাজনৈতিক জীবনে তিনি ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য ছিলেন। ১৯৪৬ সাল থেকে ১৯৫০ সাল পর্যন্ত বর্তমান বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল অঞ্চলে তেভাগা আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন। তার নেতৃত্বেই ঘটে কৃষক বিদ্রোহ। যে কারণে নাচোলের রানীর খ্যাতি পান।

এই আন্দোলন চলাকালে তার ওপর পুলিশের অমানবিক নির্যাতন চলে। ১৯৫৪ সালে তিনি কারাগার থেকে প্যারোলে মুক্তি পেয়ে কলকাতায় চলে যান। এরপর কলকাতার বিভিন্ন রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনে অংশ নেন। এক পর্যায়ে তিনি কলকাতার মানিকতলা নির্বাচনী এলাকা থেকে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার সদস্য নির্বাচিত হন। কর্মজীবনে তিনি কলকাতা সিটি কলেজের বাংলা সাহিত্যের অধ্যাপিকা হিসেবে ১৯৮৯ সালে অবসর নেন।

ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলার প্রত্যন্ত একটি গ্রাম বগুটিয়া। উপজেলা শহর থেকে পূর্ব-দক্ষিণে প্রায় ১৫ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিলেই ইলা মিত্রের জন্মস্থান বাগুটিয়া। প্রায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন গ্রামের একপ্রান্তে কাঁচা রাস্তার পাশে চুন-সুড়কি দিয়ে গাঁথা ৯ রুমের পুরনো একটি দ্বিতল ভবন। অধিকাংশ মানুষই জানে না বাড়িটির ইতিহাস। এ ব্যাপারে শৈলকুপা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আজমুল হক বলেন, আমি এখানে নতুন এসেছি।

আমি ইলা মিত্র সম্পর্কে কিছুই জানি না। ফলে তার মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা সম্ভব হয়নি। তবে আমি শুনেছি, তার অনেক জমি আছে। ইতিমধ্যে খোঁজ নেয়া শুরু করেছি। যদি তার নামে কোনো জমি থেকে থাকে অবশ্যই তা অবমুক্ত করা হবে শেখ সেলিম/তারেক মাহমুদ ঝিনাইদহ তেভাগা আন্দোলনের নেত্রী নাচোলের রানীখ্যাত কমরেড ইলা মিত্রের সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী ছিল মঙ্গলবার।

২০০২ সালের ১৩ অক্টোবর মৃত্যুবরণ করেন সংগ্রামী এই কৃষক নেত্রী। তার মৃত্যুবার্ষিকী সম্পর্কে কিছুই জানে না স্থানীয় প্রশাসান। এমনকি ইলা মিত্র কে তাও বলতে পারেনি স্থানীয় প্রশাসন। ইলা মিত্রর রেখে যাওয়া ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার পৈতৃক বাড়ি ও শত শত বিঘা জমি ইতিমধ্যে বেদখল হয়ে গেছে। এগুলো উদ্ধার বা রক্ষণাবেক্ষণের কোনো উদ্যোগ নেই তাদের।

যতটুকু জানা যায় নাচোলের রানী ইলা মিত্রর বাবা নগেন্দ্রনাথ সেন ও মা মনোরমা সেন দুজনের বাড়িই ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার বাগুটিয়া গ্রামে। বাবার চাকরির সুবাদে ইলার জন্ম কলকাতায়। ১৯২৫ সালের ১৮ অক্টোবর তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা ছিলেন বেঙ্গলের ডেপুটি একাউন্টেন্ট জেনারেল। মা মনোরমা সেন গৃহিণী।

শৈলকুপার বাগুটিয়া গ্রাম তাদের পৈতৃক নিবাস। ইলার জন্ম কলকাতায় হলেও ছেলেবেলা কেটেছে শৈলকুপার বাগুটিয়া গ্রামে। শৈশব-কৈশরের বেশকিছু সময় অতিবাহিত করেছেন এই প্রত্যন্ত পল্লী বাগুটিয়া গ্রামে। ১৯৪৫ সালে চাঁপাইনবাবগঞ্জের রামচন্দ্রপুরের জমিদার বাড়ির রমেন্দ্রনাথ মিত্রর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন ইলা সেন। বিয়ের পর স্বামীর নামানুসারে ইলা হয়ে যান ইলা মিত্র।

রাজনৈতিক জীবনে তিনি ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য ছিলেন। ১৯৪৬ সাল থেকে ১৯৫০ সাল পর্যন্ত বর্তমান বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল অঞ্চলে তেভাগা আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন। তার নেতৃত্বেই ঘটে কৃষক বিদ্রোহ। যে কারণে নাচোলের রানীর খ্যাতি পান। এই আন্দোলন চলাকালে তার ওপর পুলিশের অমানবিক নির্যাতন চলে।

১৯৫৪ সালে তিনি কারাগার থেকে প্যারোলে মুক্তি পেয়ে কলকাতায় চলে যান। এরপর কলকাতার বিভিন্ন রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনে অংশ নেন। এক পর্যায়ে তিনি কলকাতার মানিকতলা নির্বাচনী এলাকা থেকে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার সদস্য নির্বাচিত হন। কর্মজীবনে তিনি কলকাতা সিটি কলেজের বাংলা সাহিত্যের অধ্যাপিকা হিসেবে ১৯৮৯ সালে অবসর নেন। ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলার প্রত্যন্ত একটি গ্রাম বগুটিয়া।

উপজেলা শহর থেকে পূর্ব-দক্ষিণে প্রায় ১৫ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিলেই ইলা মিত্রের জন্মস্থান বাগুটিয়া। প্রায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন গ্রামের একপ্রান্তে কাঁচা রাস্তার পাশে চুন-সুড়কি দিয়ে গাঁথা ৯ রুমের পুরনো একটি দ্বিতল ভবন। অধিকাংশ মানুষই জানে না বাড়িটির ইতিহাস। এ ব্যাপারে শৈলকুপা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আজমুল হক বলেন, আমি এখানে নতুন এসেছি। আমি ইলা মিত্র সম্পর্কে কিছুই জানি না।

ফলে তার মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা সম্ভব হয়নি। তবে আমি শুনেছি, তার অনেক জমি আছে। ইতিমধ্যে খোঁজ নেয়া শুরু করেছি। যদি তার নামে কোনো জমি থেকে থাকে অবশ্যই তা অবমুক্ত করা হবে। সুত্র: Click This Link


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।