সীমানার প্রাচীর টপকাতে হবে
ঢাকার রাজপথে নতুন এক বাহন দেখা যাচ্ছে। দেখতে অনেকটা রিক্সার মত। এটা হল ব্যাটারিচালিত রিক্সা। এই রিক্সা এসেছে চীন থেকে। কিছুদিনের মধ্যেই এই রিক্সা ঢাকার রাজপথ দখল করে নিবে।
কারন ঢাকা সিটি কর্পোরেশন ইতিমধ্যেই চল্লিশ হাজারের বেশি এই বাহনের অনুমতি দিয়ে দিয়েছে।
ঢাকার পথঘাট মানেই এখন এক বিড়ম্বনার সমার্থক। এই রিক্সা বিড়ম্বনাকে বাড়াবে বৈ কমাবে না। ঢাকার যানজট আরো বেড়ে যাবে। রাস্তাঘাট স্থবির হয়ে যাবে।
কিন্তু কর্তৃপক্ষের এই নিয়ে মাথাব্যাথা নেই। কারন খুব সহজ। যেসব ব্যবসায়ীরা এই বিড়ম্বনা আমদানী করছে উপরের মহলে তাদের খুব হট লিংক। তাই তাদের ব্যবসা সফল করতে এই বিড়ম্বনা মাথা পেতে নেয়া হচ্ছে।
কর্তৃপক্ষ বোধহয় অন্ধ।
জেনে শুনেই তারা অন্ধ। ঢাকায় পাবলিক ট্রান্সপোর্ট উন্নত করা ছাড়া জানযট ট্যাকল করা সম্ভব না, এই সহজ চিন্তা তাদের মাথায় নেই। এই রিক্সা রাস্তায় জায়গা নিবে অনেক, সেই তুলনায় যাত্রী পরিবহন করবে কম (মাত্র দুই জন)। সাইজে ছোট বলে এটা দুর্ঘটনাপ্রবন হবে। নিরীহ যাত্রীরাই এর শিকার হবে।
এর গতিও খুব বেশি না। ফলে এই বাহন কোন দিন থেকেই কাজে আসছে না।
যত দিন যাচ্ছে তত ছোট বাহনগুলোর যাত্রী পরিবহনের সংখ্যা কমছে। রিক্সা সি.এন.জি কিন্তু এখন আগের তুলনায় অনেক কম ট্রিপ দেয়। চালকেরা কম ট্রিপ দেয় কিন্তু বেশি ভাড়া নিয়ে সেটা পুষিয়ে নেয়।
তারা কম ট্রিপ দেয়াতে যাত্রীরা সহজে বাহন পাচ্ছে না। যানজট কম ট্রিপের একটা কারন হলেও চালকদের খারাপ মনোভাবই এর একটা বড় কারন। এই ব্যাটারিচালিত রিক্সা আসলেও দেখা যাবে তারা নির্দিষ্ট কিছু জায়গা ছাড়া যেতে চাবে না। অল্প ট্রিপে বেশি ইনকাম করার ধান্ধায় থাকবে। আখেরে যাত্রীদের তেমন কাজে আসবে না।
মাঝখান থেকে যানজট আরো বেড়ে যাবে।
কিন্তু এই বিড়ম্বনা ঠেকানোর ক্ষমতা আমাদের নেই। তাই আসুন, আমরা প্রস্তুতি নেই, কিভাবে এই নতুন বিড়ম্বনাকে স্বাগতম জানানো যায়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।