সকালের মিষ্টি রোদ পেরিয়ে আমি এখন মধ্যগগনে,
ডি-ইসলামাইজেশনের অর্থ, ইসলাম থেকে মুসলমানদের দূরে সরানো। সেটি হয় দুই ভাবে| এক, অন্যধর্মে দীক্ষা বা ধর্মান্তরের মাধ্যমে। দুই, ইসলামের মুল লক্ষ্যে অনাগ্রহ বা দায়িত্বপালনে নিষ্ক্রীয় করে। বাংলাদেশে এবং সে সাথে সমগ্র বিশ্বের মুসলমানদের ভয়ানক ক্ষতিটি হয়েছে শেষোক্ত পথে। বিগত হাজার বছরে খুব কম সংখ্যক মুসলমানই খৃষ্টান, বৌদ্ধ, পৌত্তলিক বা কাফের হয়েছে।
কিন্তু ইসলামের প্রকৃত অনুসরণে প্রচন্ড নিষ্ক্রীয় হয়ে গেছে অধিকাংশ মুসলমান। ফলে বিগত কয়েক শত বছরে মুসলমানদের সংখ্যা বহুগুণ বাড়লেও শক্তি বাড়েনি। বরং উপর্যুপরি পরাজয় ও বিপর্যয় বেড়েছে। আইন-আদালত থেকে নির্বাসিত হয়েছে আল্লাহর আইন। প্রকৃত অবস্থা হল, নবীজী ও তাঁর সাহাবায়ে কেরাম যে ইসলাম অনুসরণ করতেন সে ইসলামই বেশী অপরিচিত বা বিদেশী হয়ে গেছে খোদ মুসলিম ভূমিতে।
সনাতন ইসলামের বদলে বরং মুসলিম সমাজের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গে পরিণত হয়েছে সূদ, ঘুষ, মদ্যপান, পতিতাবৃত্তি, নাচগান, বেপর্দা, কবরপুজা ইত্যাদির ন্যায় কুফুরি ও পাশ্চাত্য সংস্কৃতির উপাদানগুলো। মুসলিম হওয়ার অর্থ শুধু আরবীতে নাম রাখা নয়। বরং সেটি হল আল্লাহর সাথে তাঁর প্রদর্শিত পথ তথা সিরাতুল মোস্তাকীমে আজীবন চলায় চুক্তিবদ্ধ হওয়া এবং সে চুক্তিটি অলংঘ্যনীয়। চুক্তিটি ভঙ্গ করা বা আল্লাহর প্রদর্শিত পথ থেকে বিচ্যুতির অর্থ কাফের বা মোনাফিক হয়ে যাওয়া। এমন বিচ্যুতির অনিবার্য পরিণাম জাহান্নাম।
ফলে এ বিচ্যুতি থেকে বাঁচাটাই জীবনের সবচেয়ে বড় বাঁচা। সমগ্র মানব জীবনে এর চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় দ্বিতীয়টি নেই। অঢেল সম্পদ, প্রাসাদতূল্য ঘরবাড়ী, সন্তান-সন্ততি, রাজনৈতিক ক্ষমতা ও প্রভাব-প্রতিপত্তি –কোনটিই অনন্ত অসীম পরকালীন জীবনে সামান্যতম কল্যাণ দিবে না। প্রকৃত কল্যাণ দিবে এ পথভ্রষ্টতা থেকে কতটা বাঁচা হলো সেটি। পথভ্রষ্টতার বিষয়টি এতই গুরুত্বপূর্ণ যে, ঈমানদারকে প্রতিদিন পাঁচবার নামাযে ডেকে সেটি স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়।
নামাযের প্রতি রাকাতের শুরুতে যে দোয়াটি পাঠ না করলে নামাযই হয় না সেটি সম্পদ, সন্তান-সন্ততি বা রাজ্যলাভের জন্য নয়, বরং সেটি হল সিরাতুল মোস্তাকিম প্রাপ্তীর আন্তরিক আকুতি। প্রতিটি ঈমানদারকে বলতে হয়, “ইয়্যা কানাবুদু ওয়া ইয়্যা কানাস্তায়ীন। এহদিনাস সিরাতুল মোস্তাকিম। ” অর্থঃ (হে আল্লাহ! আমরা আপনার ইবাদত করি এবং আপনার থেকেই সাহায্য চাই। আমাদেরকে সহজ সরল পথ তথা সিরাতুল মোস্তাকিম দেখান।
” মানব জীবনে এর চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কোন দোয়া নেই। চাওয়াও নাই। এ দোয়াটিতে চাওয়া হয় সবচেয়ে বড় চাওয়াটি। দোয়াটি ছোট, কিন্তু সর্বশ্রেষ্ঠ। এ দোয়ার মধ্যে প্রকাশ পায় ঈমানদারের জীবনের মূল মিশন।
দোয়াটি শিখিয়েছেন মহাজ্ঞানী ও মহা করুণাময় মহান আল্লাহ নিজে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।