আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এইসব উপদেশ শুনলে হাসবেন না কাঁদবেন?

কাপুরুষের শেষ আশ্রয় হল দেশপ্রেম

বিভিন্ন দৈনিকে মাঝে মধ্যে কিছু উপদেশনামা বর্ষিত হয়। আপনাদের কেমন লাগে জানি না, তবে আমার হাত নিশপিশ করে। সূত্রঃ আজকের ভোরের কাগজ। অফিসে স্মার্টনেস ছেলে মেয়ে উভয়ের জন্যই অফিসে স্মার্টনেস একটি গুর"ত্বপূর্ণ বিষয়। স্মার্টনেস না থাকলে কোথাও ভাল সুযোগ পাওয়া যায় না।

আমরা অনেকেই স্মার্টনেস শব্দটার মানে এলোমেলো করে ফেলি। সব-বিষয়ে জ্ঞান রাখার পাশাপাশি সেই অনুযায়ী জড়তাহীনভাবে সুর"চির পরিচয় দেয়াই স্মার্টনেস। চাকরি নামক সোনার হরিণটা পাওয়া যত সহজ তা টিকিয়ে রাখা তত কঠিন। সেজন্য আপনাকে সর্বদা সচেতন হয়ে চলতে হবে এবং কিছু বিষয় মনে রাখতে হবে। কি করবেন ০ প্রথমেই আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে আপনি কোনো মানসিক চাপের মধ্যে আছেন কিনা।

কারণ বাসায় কোনো সমস্যা থাকলে সেই প্রভাব অফিসে গিয়েও পড়বে। তাই আগে পারিবারিক সমস্যার সমাধান কর"ন। মানসিক চাপ এড়িয়ে চলুন। মানসিকভাবে সুস্থ না থাকলে কোনোভাবেই নিজেকে ফিট রাখা যায় না, দুশ্চিন্তামুক্ত থাকুন। ০ সিজন অনুযায়ী র"চিশীল ড্রেস পরে অফিসে যাবেন।

খুব গর্জিয়াস ড্রেস পরে কিংবা খুব সেজেগুজে অফিসে যাবেন না। অফিসে আপনাকে ঠান্ডা র"চির পরিচয় দিতে হবে। হালকা সাজ, হালকা পারফিউম ব্যবহার করবেন। মেয়েদের স্যান্ডেল, ব্যাগ শাড়ির সাথে ম্যাচিং করে পরতে পারেন। ছেলেরাও টাইয়ের সাথে ম্যাচিং করে প্যান্ট, জুতা পরতে পারেন।

এক কথায় টপ টু বটম ম্যাচিং করে হালকাভাবে যেতে পারেন। আপনার ড্রেসে যেন কোনো কুর"চির পরিচয় পাওয়া না যায়। ০ অফিসে আপনার হাঁটা-চলা, চেয়ারে বসা সবকিছুতে র"চির পরিচয় দিবেন। চেয়ারে কুঁজো হয়ে বসবেন না কিংবা গা এলিয়ে দিয়েও বসবেন না। টেবিলের কাছাকাছি চেয়ারটা রেখে স্ট্রেইট হয়ে বসবেন।

০ অফিসে গিয়েই সারাদিনের একটা কাজের তালিকা তৈরি করে ফেলুন এবং সেই অনুযায়ী কাজ কর"ন। আগে কঠিন কাজগুলো সেরে ফেলুন। প্রতি প্রহরে একটা ব্রেক দিন। ০ প্রতি তিন ঘন্টা পর একটু রেস্ট নিন। কলিগদের সাথে সদালাপ কর"ন।

একটু হালকা নাস্তা খেয়ে নিন। ফল, নুডুলস কিংবা কেক খেয়ে নিন। এগুলো বাসা থেকে তৈরি করে নিয়ে যাবেন। ০ লাঞ্চের পর বিকেলেও নাস্তা খাবেন। শরীর ফিট রাখার জন্য প্রচুর পুষ্টিকর খাবার দরকার।

প্রচুর পরিমাণে পানি খান। ০ নামাজ পড়ার অভ্যাস কর"ন। তাহলে অফিসের কাজের একঘেঁয়েমি দূর হবে। নামাজের মাধ্যমে আপনার মেডিটেশন হবে। যেটা আপনার পরবর্তীতে কাজের স্পৃহা বাড়িয়ে দেবে।

০ অফিসে লাঞ্চ করার পর হালকা ব্রাশ করে নিবেন। আপনার ব্যাগে কিংবা ড্রয়ারে আপনার ব্যবহৃত পেস্ট, সাবান, ব্রাশ রাখবেন। খাবার আগে এবং পরে সাবান দিয়ে ভালভাবে হাত ধুয়ে নেবেন। লাঞ্চের পর হাত-মুখ ধুয়ে মুখে ক্রিম লাগাবেন। মেয়েরা হালকা সেজে নিবেন।

এতে আপনার ফিটনেস বজায় থাকবে। ঘুম ঘুম ভাব কেটে যাবে এবং কর্মস্পৃহাও বাড়বে। ০ কথার মধ্যে আঞ্চলিকতা যেন না থাকে সেটা খেয়াল করবেন। অফিসে এবং বাসায় সব-সময় শুদ্ধভাবে কথা বলার চেষ্টা করবেন। আপনার কথা সুন্দর না হলে আপনি আপনাকে মোটেও ফুটিয়ে তুলতে পারবেন না।

০ প্রতিদিন সকালে এবং বিকালে ব্যায়ামের অভ্যাস কর"ন। ব্যায়াম শরীর এবং মন সুস্থ রাখে। হাঁটা হচ্ছে অনেক বড় ব্যায়াম। তাই সুযোগ পেলেই হাঁটুন। আপনি ইচ্ছে করলে অফিসে থেকে ফেরার সময় দূরে হলেও বাসায় হেঁটে যেতে পারেন।

বাসায়ও যাওয়া হবে ব্যায়ামও হবে। আপনার শরীর মন ফিট তো আপনি ফিট।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।