বাঙলা কবিতা
কৃষিগাথা
ইরিক্ষেতের মুগ্ধবাতাস বাঁধ ছাপিয়ে ওঠে
ঝাউপাতা গায় হারানো গান, শিস বাজিয়ে ঠোঁটে
সবুজ পাতার কোলাহলে অবিরাম এক ফুল
অন্তরালে বাধিয়ে ফ্যালে নীরব হুলস্থূল ...
ফাটা-বাঙ্গি নানা জাতীয় উপসর্গ নিয়ে সুচিকিৎসার জন্য ভুট্টাক্ষেতের
নিকটবর্তী হলে যে-সকল দৃশ্য, সুখ ও ধ্বনির অবতারণা হয় তার সাথে
উষ্মবর্ণ জড়িত রয়েছে; ফলে শিসের সাযুজ্যে অই ধ্বনিগুলি বেজে ওঠে
আর কেঁপে ওঠে দৃশ্যপট। এইভাবে বেজে বেজে, কেঁপে কেঁপে ওঠে বলে
বৃষ্টিমগ্নক্ষণেরও ব্যঞ্জনা সৃষ্টি হয়
আমাদের শস্যক্ষেত এ প্রকারে ফলবতী হলো
মাছের পোনার গন্ধে সেই সাথে পুত্রবতী, জলও___
জলের প্রসঙ্গ নিয়ে কথা হলো মেঘের সংসারে
শেকড় পাতাল ছুঁলে ক্ষেতে-মাঠে জলতৃষ্ণা বাড়ে ...
আর যারা বেঁটে-খাটো, কাউন শীষের মতো নত হয়ে আছি___ এবার
যবের মতো খাড়া ও সূঁচালো হতে চাই, দোয়া করবেন, ও মশাই,
আলাভোলা দেহের ভেতর ভুট্টার দৃঢ়তা চাই ... আর
বাঙ্গিঋতু শেষ হলে কত কত আক্ষেপ করি! কেননা যে,
ভোলাভালা হতে পারি, আমরা তো কৃষকেরই ভাই!
অবশেষে শস্যক্ষেত আমাদের দিকে হয় নত
মেঘেও মেরেছি খোঁচা; জল ঝরে বৃষ্টির মতো___
জলের প্রসঙ্গ ওঠে ফিসফাস। মেঘবতী নারী
খাপের সান্নিধ্যে চায় ভুট্টা নয়, তীক্ষ্ণ তরবারি ...
বিষণ্ণ বিলের মধ্যে বৃষ্টি, হাহাকার, শিষধ্বনি ও মুগ্ধবাতাস
সম্মিলিত সমগ্রকে কী প্রকার কৃষিগুণ পায়___ আমরা তো
না ভেবেও আশ্চর্য হই! আর জিজ্ঞাসা ওঠে,
তলোয়ার কি উৎপাদন-হাতিয়ার হয়?
বাঙ্গি এবার অসুখ বুকে অস্ত্রোপচার চায়
রোদের মুখও লালচে হলো আসন্ন লজ্জায়
ইরিক্ষেতের মুগ্ধবাতাস দিগ্বিদিকে ছোটে
ঝাউপাতা গায় অনন্য গান, শিস বাজিয়ে ঠোঁটে ...
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।