আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হাসিনা সরকারের প্রশংসা করে ভারতের স্বরাস্ট্র মন্ত্রকের একটি তৈলাক্ত রিপোর্ট



বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের কঠোর মনোভাবের কারণে চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম, সিলেট, মৌলভীবাজারে আশ্রয় নেয়া উত্তর-পূর্ব ভারতের জঙ্গিদের মধ্যে তুমুল গোষ্ঠীসংঘর্ষ শুরম্ন হয়েছে বলে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংকে রিপোর্ট দিয়েছে। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে ৭ অক্টোবর পর্যন্তô গোষ্ঠীসংঘর্ষে ২১ জন ভারতীয় জঙ্গির মৃত্যুর খবর মিলেছে। একই সময়ে সীমানা পার হয়ে এসে আত্মসমপর্ণ করেছে ৭৫ জঙ্গি। বস্তুত আত্মসমর্পণ করে সমাজের মূল স্রোতে ফিরতে আগ্রহীদের সঙ্গে সশস্ত্র লড়াই চালিয়ে যেতে ইচ্ছুক উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জঙ্গিদের সংঘর্ষ এখনো চলছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে ‘অর্থ, খাদ্য এবং রসদের অভাবে ধুঁকছে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রত্যন্তô এলাকার শিবিরগুলোতে আশ্রয় নেয়া জঙ্গিরা।

এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে এসব জঙ্গি দমনে কড়া মনোভাব নেয়া বাংলাদেশের নতুন সরকারের ভূমিকা। সব মিলিয়ে চরম হতাশা নেমে এসেছে জঙ্গিদের মধ্যে। সে কারণেই এখন আত্মসমর্পণ করে সমাজের মূল স্রোতে ফিরতে চাইছেন উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জঙ্গিদের সিংহভাগ। যাদের বেশিরভাগের বয়স ২৫/২৬-এর মধ্যে। ’ কিন্তু তাতে জঙ্গিদেরই আরেকটা অংশ বাধা দিচ্ছে, যার জেরে শুরম্ন হয়েছে জঙ্গিদের নিজেদের মধ্যে রক্তড়্গয়ী সংঘর্ষ।

প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সচিবালয়ে পাঠানো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের রিপোর্টে বলা হয়েছে, জঙ্গিদের নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে মৌলভীবাজারের নোনাছড়ির ন্যাশনাল সোশালিস্ট কাউন্সিল অফ নাগাল্যান্ড (এনএসসিএনআইএম) জঙ্গিদের শিবিরে। সেখানে গোষ্ঠীসংঘর্ষে নয় জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট অফ ত্রিপুরার (এনএলএফটি) পাঁচজন, মনিপুরের কাংলাই ইয়াল কাননালপের (কেওয়াইকেএল) তিনজন, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট অফ বেড়োল্যান্ডের (এনডিএফবি) দুজন এবং ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অফ অসম (আলফা) এবং কামডাপুর লিবারেশন অর্গানাইজেশনের (কেএলও) একজন করে জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। সীমান্তô পেরিয়ে আসা জলপাইগুড়ির এক বাসিন্দা রঞ্জন, বাংলাদেশের মৌলভীবাজারের নাগা জঙ্গিদের শিবিরে কাজ করতেন। তিনিই প্রথম গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে প্রাণ বাঁচাতে ত্রিপুরার পানি সাগরে এসে আত্মসমর্পণ করেন।

ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের কঠোর নীতির ফলে ইতিমধ্যেই অর্থ ও রসদের অভাবে ত্রিপুরার জঙ্গি সংগঠন এনএলএফটি খাগড়াছড়ির সাজাকে, তাদের সদর দপ্তরসহ জোট ২৩টি ক্যাম্প বন্ধ করে দিয়েছে। বন্ধ হতে চলেছে বান্দরবানের আলিকদমে এনএলএফটির মূল প্রশিড়্গণ শিবিরও। বাংলাদেশ সীমান্তô পেরিয়ে দলে দলে জঙ্গিরা এসে ত্রিপুরায় আত্মসমর্পণ করছে। আত্মসমর্পণ করতে আগ্রহী নয় এমন ৩০ জন এনএলএফটি জঙ্গি, মিয়ানমারের মান্দালয়ের জঙ্গলে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে। একই অবস্থা আরেক জঙ্গি সংগঠন অল ত্রিপুরা টাইগার ফোর্সের।

এটিটিএফের স্বঘোষিত ক্যাপ্টেন বুদ্ধদেব বর্মাসহ ১০ জন জঙ্গি অস্ত্রশস্ত্র সমেত সম্প্রতি আত্মসমর্পণ করেছে। এটিটিএফ সিলেটের সাতছড়িতে তাদের সবচেয়ে বড় ক্যাম্পটি বন্ধ করে দিয়েছে। ৪ অক্টোবর ত্রিপুরার সাতলং সীমান্তô পার হয়ে বিএসএফের কাছে আত্মসমর্পণ করা নাগাল্যান্ডের জঙ্গি সংগঠন এনএসসিএন-আইএমের পাঁচ জঙ্গি জানিয়েছে, মৌলভীবাজারের নোনাছড়ি ক্যাম্পের ছয়জনকে খুন করে পালিয়ে এসেছে তারা। ২৯ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামের দীঘিনালা ক্যাম্পে গোষ্ঠীসংঘর্ষে খুন হয় এনএসসিএন-আইএমের আরো তিন জঙ্গি সুত্র : যায়যায়দিন

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.