আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শাহাবাগ নিয়ে কু-তার্কিকরা হুশিয়ার।

। অনেস্টি ইজ দ্যা বেস্ট পলেসি। আপনারা যারা শাহাবাগের আন্দোলনকে বিতর্কিত করার চেস্টা করছেন। তারা কিন্তু পক্ষান্তরে জামাত/শিবির ও যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষেই কথা বলছেন, ইন ডাইরেক্টলি। শাহবাগের আন্দোলন যে পুরোপুরি ব্লগারদের আন্দোলনের ফসল এটা শতভাগ সত্য।

ব্লগাররা দিনের পর দিন/রাতের পর রাত যুদ্ধাপরাধীদের বিপক্ষে ব্লগ,ফেসবুক,টুইটার সহ বিভিন্ন গণ-মাধ্যমে জনমত সংগঠিত করেছেন। সরাসরি তর্ক বিতর্ক করেছে রাজাকার তথা ছাগুদের সাথে। সেটারই বর্হি প্রকাশ আজকের এই আন্দোলন। বিভিন্ন তথ্য প্রমাণ দিয়ে সবাইকে বুঝাতে সক্ষম হোয়েছেন কতটা হিংস্র ছিলো এই দালাল রাজাকাররা। এমন কোন অপরাধ নেই যা তারা করে নাই অবরুদ্ধ বাঙ্গালীদের সাথে।

এই আন্দোলনে যুদ্ধাপরাধী,জামাত,শিবির ছাড়া কাউকে নিষিদ্ধ করা হয় নাই। আঃ লীগ,বিএনপি,জাতিয় পার্টি বাম/ডান সকলেই অংশগ্রহণ করতে পারে । এখানে কোন দলের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার সংকল্প হয় নাই। রাজনৈতিক বক্তব্য সম্পুর্ণ নিষিদ্ধ করা হোয়েছে। তাহোলে মনে করুন আমি লীগ করি কিংবা আর কেউ বিএনপি করলে কি যোগ দিতে পারবেনা।

স্বভাবতই যাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন। নিশ্চই তাদের নিয়ে কেউ আন্দোলনে যাবেনা। এমনকি যুদ্ধাপরাধিদের প্রতি বিন্দুমাত্র সহানুভুতিশীল কাউকে আন্দোলনে শরিক হোতে নিষেধ করা হোয়েছে। অনুরুপ ভাবে এর বাইরে কাউকে নিষিদ্ধ করা হয় নাই। ইচ্ছে করলে যে কেউ আন্দোলনে একাত্মতা ঘোষণা কিংবা যোগ দিতে পারে।

কাজেই ছাত্রলীগ,ছাত্রদল,ছাত্র ইউনিয়ন সহ আরো অনেক সংগঠনের নেতারাই যোগ দিতে পারে। শুধু দৃষ্টি রাখতে হবে কেউ যেনো আন্দোলনের মঞ্চ থেকে রাজনৈতিক বক্তব্য না দিতে পারে। ঈমানের জোড় যাদের হালকা তারা আন্দোলন কেনো কোন কিছুতেই যোগ দেওয়ার যোগ্য নয়। অনেক পুরোনো ব্লগারও বিভ্রান্তকারিদের মিস্টি কথায় ভুলে গিয়ে তাদেরকে সমর্থন জানাচ্ছেন। যা খুবই দুঃখজনক।

অনেকে আবার আন্দোলনে যোগ দিয়ে ভুল করেছেন এই কথা লিখে হা-হুতাশ করছেন। আসলে এই শ্রেণির ব্লগাররা গিরগিটির মত রং বদলায়। শাহাবাগের আন্দোলনে উজ্জিবিত হোয়ে যেখান সারা দেশ জেগে উঠছে । প্রত্যেক জেলা উপজেলাতে ছড়িয়ে পড়ছে শাহাবাগের উত্তাপ। সেখানে মুল মঞ্চ শাহবাগকে নিয়ে বিতর্ক কুতর্ক করার প্রচেস্টাকরিদের উদ্দেশ্য কখনই ভালো নয়।

নির্ঝর/স্বপ্নারা জেগে উঠছে দু,একজন আন্দোলন থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলে কিছুই আসবে যাবে-না। সমুদ্র থেকে যেমন ২/৩ বালতি পানি নিলে সমুদ্রের পানির ঘাটতি হবেনা বিন্দুমাত্র। অনুরুপ বালু কণার মত দু,একজন সরে গেলে মরুভুমির মত আন্দোলন ব্যাহত হোতে পারেনা। পরিশেষে সাধারণ জনগন ঠিকই বুঝতে পারছে কার জ্বালা কোথায়? ফাসির মঞ্চে দেখতে চাই সব রাজাকারকে। আর কোন বিভ্রান্তি নয় ৭১-এর শেষ অধ্যায় রচিত হোক নতুন প্রজন্মের নতুন মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে।

বাঙ্গালী একবার মরে বার বার মরেনা। আর রাজাকাররা মরে প্রতিদিন একবার করে। জয় বাংলা। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।