"মন আমার দেহঘড়ি সন্ধান করি বানাইয়াছেন কোন মেস্তরি মন আমার দেহ ঘড়ি..."
আমাদের বাউল-সাধকগন দেহতত্ব নিয়া অনেক গান,গবেষনা করেছেন। আমি সাধারন মানুষ সেসব শুনে পড়ে কিছু ধারনা লাভ করেছিলাম। পরবর্তিকালে নিজের দেহঘড়ি নিয়া কিছু পরিক্ষা নিরীক্ষা চালাইলাম যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। দেখলাম যে, আমাদের দেহ সব সময় রুটিনে চলতে চায়। রুটিনে চল্লে ভালো থাকে।
তবে এই রুটিনটা পরিবর্তন করা যায়। যেমন রাত দশটায় ঘুম আর সকাল ছটায় উঠা এটা একটা রুটিন। এভাবে চললে দশটার দিকে ঘুম আসবে স্বাভাবিক পরিস্তিতিতে। কিন্তু এখন আমার যদি প্রয়োজন হয় রাত দুটা পর্যন্ত লেখা পড়া করা তবে সেটাও সম্ভব। বডি ক্লক রিসেট করতে হবে।
প্রতিদিন এক ঘন্টা করে পেছানো যায় ঘুমের সময় এবং জাগায় সময়। একসময় রাত ২টায় এসে স্হির করা যায়।
এমনকি কারো যদি ৭ ঘন্টা ঘুমের অভ্যাস থাকে সেটাকেও বিশেষ প্রয়োজনে কমিয়ে আনা যাবে দেহঘড়ির নিয়ন্ত্রনের মাধ্যমে। তবে এসবই করতে হবে ধিরে ধিরে। একে একে।
কিন্তু রুটিনের বাইরে বা দেহঘড়ির বাইরে গিয়ে কোন কিছু করলে সেটা যদিও করা যায় কিন্তু শরীরের জন্য সমস্যাজনক হয়। কাজটাও ঠিক মত করা যায় না। দেহঘড়ির উপর নিয়ন্ত্রন তৈরী করে চলাটা সুস্থ থাকার জন্য অনেক জরুরী আমার মতে। আমি যেমন আজকে রাত জাগছি কারন আগামী কাল আমার সারারাত অফিসে কাজ করতে হবে। অতএব বডি ক্লক রিসেক করছি।
আমার দেহঘড়িটা এমন যে উইকডেজে আরলি বেড আর উইক এন্ডে লেট।
সকালে নিয়মিত বাথরুম করাও খুব জরুরী একটা কাজ। সেটাও নিয়মিত করা যায় দেহঘড়ির মাধ্যমে।
সুন্দর একটা জীবনের জন্য শরীর মহাশয়কে সিস্টেমে রাখা দরকার। আর সেটা রাখতে পারলে অনেক কাজই আমরা শরীরকে দিয়ে করিয়ে নিতে পারি কোন সমস্যা ছাড়াই।
আর সেজন্য নিজের দেহঘড়িকে বোঝা আর নিয়ন্ত্রন করতে পারা খুবই প্রয়োজন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।