আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্রকৃত নির্ভেজাল চাওয়া বিষয়ক উপাখ্যান

করণিক: আখতার২৩৯

প্রকৃত নির্ভেজাল চাওয়া বিষয়ক উপাখ্যান বুদ্ধিমান অজ্ঞানী মানুষেরা জানি না, অথবা খুব কম সংখ্যক মানুষ জানে যে,-- --প্রকৃতপক্ষে মানুষ নিজের জন্য কী চায়। তবে, -নির্ভেজাল ‘না-চাওয়া’টা কী, -তা’‘সচেতন মানুষমাত্র’ই জানে, -এবং, -সুনির্দিষ্টভাবে প্রকাশও করতে পারে। যুক্তিবাদীর সম্ভাব্য ধারণা,-- ‘না-চাওয়া’র বিপরীতটাই ‘চাওয়া’, -তবে, -যুক্তিটা নিঃসন্দেহে অলীক যুক্তি হিসাবেই সত্য। দেখা যায়-- ‘না-চাওয়া’র বিপরীতটাই যে সবসময় ‘চাওয়া’, --বাস্তবতায় তার প্রমাণ মেলে না। আমরা জানি যে, -‘শর্তসাপেক্ষে চাওয়া’ আর ‘প্রকৃত চাওয়া’, -সমার্থক নয়,--সম-মানের নয়।

নিঃশর্ত বা প্রকৃত চাওয়াই, -নির্ভেজাল চাওয়া, -চিরন্তন অস্তিত্বের মহান চাওয়া; পক্ষান্তরে, -‘শর্তসাপেক্ষ চাওয়া'য়,- শর্ত বা অবস্থা স’রে গেলে, --অস্থায়ী তুচ্ছ ঐ সুনির্দিষ্ট চাওয়াটাই আর থাকে না। নিঃশর্ত চাওয়া অর্থাৎ প্রকৃত নির্ভেজাল ‘চাওয়া’কে ‘শুধু নিজের জন্য’ বাস্তবে চাওয়াই সম্ভব নয়; -কেননা, নিজের অস্তিত্বের শর্ত ঐ চাওয়া’র সঙ্গে ভেজালরূপে জড়িয়ে থাকে, -অর্থাৎ, -এক্ষেত্রে, ‘-নিজে আছি তাই চাওয়া, -না-থাকলে চাওয়া নাই’। আসলে, মানুষ নিঃশর্তভাবে ‘নিজের জন্য’ জাগতিক কিছুই চাওয়ার ক্ষমতাপ্রাপ্ত নয়। মানুষের নিঃশর্ত চাওয়াতে তার স্বতন্ত্র অস্তিত্ব থাকে না, -অথবা ঐ ‘চাওয়া’ তার একান্ত নিজের থাকে না, -বরং,-সার্বজনীন চাওয়া হ’য়ে যায়। ক্ষুদ্র স্বতন্ত্র মানুষের চাওয়া ,-যখন,-- প্রকৃত নিঃশর্ত চাওয়া হয়,-সে তখন -স্বাতন্ত্র্য হারিয়ে সকলের সাথে মিশে যায়, -অথবা, -- মানুষ যখন সকলের সাথে মিশে যায়, -‘সার্বজনীন চাওয়া’টাই তার নিজস্ব চাওয়া হ’য়ে যায়।

স্বতন্ত্র বোধবুদ্ধি বিসর্জন দিয়ে দিয়ে সার্বজনীন চাওয়ায় প্রকৃত জ্ঞানী নিজের চিরন্তন অস্তিত্ব ফিরে ফিরে পায়। ক্ষুদ্র বোধবুদ্ধির আমার মতে ‘বুদ্ধিহীন জ্ঞানীরা’ই প্রকৃত সচেতন,-এবং, সকলের চাওয়ার সঙ্গে মিশে মিশে যাওয়া, -সম্ভবত এটাই তাদের চেষ্টা এবং চাওয়া রঙ্গপুর- ১৬/০৯/২০০২ খ্রি:

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।