এ যবত বিজ্ঞানীগণ ধারনা দিয়ে আসছিলেন যে , মানুষের ক্রমবিকাশ, বিবর্ধন শিম্পাঞ্জি নামক স্তন্যপায়ী প্রানী থেকে হয়েছিল। ১৯৭৪ সালে আফ্রিকার ইথিয়পিয়ায় " আস্ট্রলোপিথেকুস এ্যাফেরেনসিস " গোত্রের বানর প্রজাতির কঙ্কালের সন্ধান লাভ করার পর বিজ্ঞানীদের একটি দল এর আদি উৎপত্তি নিয়ে ব্যাপক জ্ঞান গবেষনায় লিপ্ত হয়ে পড়েন। পরিচয়ের স্বার্থে এর নাম করন করা হয় লুসি। পরীক্ষা ও গবেষনার পর তৎকালীন বিজ্ঞানীদের দেয়া প্রতিবেদনে লুসি কঙ্কালটির বয়স ৩,৫ মিলিয়ন উল্লেখ করা হয় এবং সেই সাথে মানব জাতির পূর্বপুরুষ হিসেবে শিম্পাঞ্জিকে চিহ্নিত করা হয়।
সম্প্রতি আন্তর্জাতিক মানের বিজ্ঞানীদের সমন্বয়ে গঠিক একদল বিজ্ঞানী তাদের পূর্বসূরিদের দেয়া ধারনা নাকচ করেদিলেন ।
তাদের মতে শিম্পাঞ্জি নয় "আর্দিপিথেকাস রামিডুস" নামক স্তন্যপায়ী উল্লুকের বিবর্ধনের মধ্য দিয়ে মানুষ এবং শিম্পাঞ্জির উৎপত্তি এই পৃথীবীতে হয়েছিল। ১৯৮৩ সাথে ইথিয়পিয়ায় আর্দিপিথেকাস রামিডুস বা আর্দি কঙ্কালের সন্ধান পাওয়ার পর দীর্ঘ ১৭ বছর ব্যাপক পরীক্ষা ও গবেষনা শেষে বিজ্ঞানীগন এই সকল সির্দ্ধান্ত উপনীত হন। তাদের মতে এ যবত এই বিষয় নিয়ে যত গবেষনা হয়েছে এটাই হচ্ছে তার মধ্যে সর্বসেরা এবং গ্রহনযোগ্য।
বিজ্ঞানীদের দেয়া প্রতিবেদনে জানা যায় , আজ থেকে ৪,৪ মিলিয়ন বছর পূর্বে পৃথীবীতে এই আর্দি প্রজাতির উল্লুকের অস্তিত্ব ছিল। তারা মানুষের ন্যায় হাঁটতেও পারত।
এই প্রসঙ্গে দলটির নেতা মৃত্তিকাবিজ্ঞানী যুক্তরাস্ট্রের গিডে ওল্ডগাব্রিয়েল বলেন, তারা নিষ্ঠার সাথে কঙ্কালটির মাথার খুলি, শ্রোনী, হাত ও পা পরীক্ষা করার পর বস্তুনিষ্ঠ প্রতিবেদন পত্রিকায় প্রকাশ করেছেন।
বিজ্ঞানীরা পরীক্ষা নিরীক্ষার পর আর্দি কঙ্কালটিকে মেয়ে উল্লুক হিসাবে চিহ্নিত করতে সমর্থ হন। প্রতিবেদনে বলা হয় জীবিতকালে এই প্রানীটির ওজন ছিল ৫০ কেজি এবং উচ্চতা ছিল ১,২০ সেন্টিমিটার ।
Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।