কুষ্টিয়ায় সাংবাদিক নেতা ইকবাল সোবহান চৌধুরীর উপর হামলার চাঞ্চল্যকর মামলায় সাবেক এমপি শহীদুল ইসলাম ও মেহেদী আহমেদ রুমীসহ ১৪ আসামীর নামে চার্জ গঠন করা হয়েছে। কুষ্টিয়া চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিচারক আব্দুল আজিজ মন্ডল আসামীদের উপস্থিতিতে গত ২৯ সেপ্টেম্বর চার্জ গঠন করে আগামী ১লা নভেম্বর মামলার সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহনের জন্য দিন নির্ধারন করেছেন। দৈনিক মানবজমিন পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের সূত্র ধরে ২০০৬ সালের ৯মে জেলা বিএনপির সভাপতি তৎকালীন এমপি শহীদুল ইসলাম ওই পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার হাসান জাহিদ, সমকাল প্রতিনিধি মুন্সী তরিকুল ইসলাম ও যুগান্তর প্রতিনিধি আল মামুন সাগরের নামে মামলা দিয়ে কুষ্টিয়া ছাড়া করেন। পরবর্তিতে স্থানীয় আন্দোলনের বাজার পত্রিকার সম্পাদক ও চ্যানেল আই প্রতিনিধি মনজুর এহসান চৌধুরীকেও কুষ্টিয়াছাড়া করেন বিএনপির ক্যাডাররা। এরপর এ ঘটনার প্রতিবাদে ওই বছরের ২৯মে কুষ্টিয়ায় আয়োজিত সাংবাদিক সমাবেশে সাবেক দুই এমপি শহীদুল ইসলাম ও মেহেদী আহমেদ রুমীর নির্দেশে বিএনপি দলীয় ক্যাডাররা ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে বাংলাদেশ অবজারভার সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরীসহ ঢাকা ও কুষ্টিয়ার ২৫ জন সাংবাদিক আহত করে সামাবেশ পন্ড করে দেয়।
সে ঘটনায় মামলা করা তো দুরের কথা দীর্ঘ ২ মাস ৪ দিন কুষ্টিয়া ছাড়া ছিলেন মানবজমিন প্রতিনিধিসহ ৪ সাংবাদিক। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের ক্ষমতা শেষ হবার পর গত ২০০৭ সালের ২৫ মে মামলা দায়ের করতে সক্ষম হন কুষ্টিয়ার সাংবাদিকরা। দৈনিক খবরের প্রতিনিধি শামীম বিন সাত্তার বাদী হয়ে ১২ আসামীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এরপর হামলার ভিডিও চিত্র দেখে পুলিশ আরো দুই আসামীকে গ্রেফতার করে। তাদের নাম যুক্ত করে মোট ১৪ আসামীর বিরুদ্ধে চার্জশটি দেন কুষ্টিয়া থানার এসআই সাজ্জাদ হোসেন।
গত ২৯ সেপ্টেম্বর মামলার চার্জ গঠনের দিনে আসামী পক্ষের আইনজীবিরা ২৪১(ক) ধারায় আসামীদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে বিচারক তাদের বিরুদ্ধে ১৪৭, ১৪৮, ১৪৯, ৩৭৯, ৪২৭, ১১৪ ও ৩২৩ ধারায় চার্জ গঠন করেন। সাবেক এমপি শহীদুল ও মেহেদী ছাড়াও মামলার অন্য আসামীরা হলেন, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক খ. সাজেদুর রহমান বাবলু, জেলা যুবদলের সভাপতি মহসীন আলী, সাধারন সম্পাদক শহীদুল্লাহ শহীদ, সৈয়দ নূরুল ইসলাম চাঁদ, মিজানুর রহমান ডিউক, আল আমীন রানা কানাই, গোলাম হাফিজ পিপলু, মিরাজুল ইসলাম মিন্টু, আতিয়ার, আব্দুর রাজ্জাক বাচ্চু, হাসান জামাল হাসান ও আরিফুল ইসলাম সুমন। এদিকে চার্জ গঠনের সময় মামলার জন্য নিযুক্ত রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি অতিরিক্ত পিপি আক্তারুজ্জামান মাসুম কৌশলে এড়িয়ে আদালত থেকে বের হয়ে যান। পরে এপিপি আব্দুর রহিম রাষ্ট্রপক্ষে শুনানীতে অংশ নেন। আইনজীবি আক্তারুজ্জামান মাসুমের বিরুদ্ধে আসামীদের সাথে আতাতের অভিযোগ করেন বাদীপক্ষ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।