------
প্রত্যয়ী ‘আলো’
-হাসান ইকবাল
আলো,
পুরো নাম আলো আকতার।
বয়স- সাত,
বাবা-মায়ের সাথে ঢাকার গুলশান-২, জে ব্লকের বস্তিতে থাকে।
প্যারালাইসিস রোগে আক্রান্ত মা এবং দুই ভাই একবোন আর মাছ বিক্রেতা বাবাকে নিয়ে আলোর সংসার। মাছ বিক্রির টাকা দিয়ে বাবা সংসার চালায় যেন নুন আনতে পানতা ফুরায়। আলো পড়ে ইন্টারভিডা স্কুলের প্রথম শ্রেণীতে।
অভাবের কারণে আলোর স্কুলে আসাই হতোনা-জানা হতো না বর্ণমালাগুলি,যদি ইন্টারভিডা আলোর প্রতি সুদৃষ্টি না দিত। এর আগে আলোর দিন কাটতো শুধু রাস্তায় রাস্তায় টোকাই বন্ধুদের সাথে কাগজ কুঁড়িয়ে। আর এখন সে তার ক্লাশের বন্ধুদের সাথে ছবি আঁকে, গান করে আর স্বপ্ন দেখে আগামীর/ উজ্জ্বল ভবিষ্যতের।
গরীব হলেও আলো অত্যন্ত মেধাবী এবং কৌতহলী। আলো প্রতিদিন সকাল ৭.৩০ মিনিটে স্কুলে যায় এবং ১২.৩০ মিনিটে স্কুল ছুটির পরই আলোকে দেখা যায় বস্তা হাতে রাস্তায় রাস্তায় কাগজ কুড়াতে।
তবে রাস্তায় কাগজ কুড়াতে গিয়ে আলো রাস্তার ট্রাফিক সিগন্যাল শিখেছিল এবং এখন সে এটা তার ক্লাশের বন্ধুদের শেখায়।
সেই কাগজ বিক্রি করে সে পরিবারে আর্থিক সচ্ছ্বলতা আনার চেষ্টা করে। এতকিছুর মধ্যেও সে তার লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছে এবং অসুস্থ মায়ের সেবা করে যাচ্ছে। আলো একদিন সত্যিকারের আলো খুঁজে পাবে ॥
Connecting Collaborators and Children. - ইন্টারভিডার প্রকল্প :
ইন্টারভিডার এই প্রকলেপর আওতাধীন আছে ৮০০০ জন beneficiaries। আলো এর মধ্যে একজন।
সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য এই প্রকল্প শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পুষ্টি এইসব সুবিধাসমূহ দিচ্ছে । প্রতিটি শিশুর অধিকার সুসংহত করার জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ইন্টারভিডা বাংলাদেশ। Artwork ও Photo Campaign এর মাধ্যমে এইসব শিশুদের বুদ্ধির বিকাশ ও সুস্থধারার শিক্ষার পরিবেশ অব্যাহত রেখেছে ইন্টারভিডা বাংলাদেশ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।