সবাইকে শুভেচ্ছা...
তারেক জাগরন আর্ন্তজাতিক পরিষদের ব্যানারে এ কোন জাগরনের ডাক দিচ্ছেন আপনারা? প্রতিটা ডাকের পেছনে থাকতে হয় একটা সামাজিক এবং মনস্তাত্বিক আবেদন। বিএনপির নির্বাসিত ’নেতা’ তারেক রহমানের জাগরনকে আমরা কোন দৃষ্টিকোন হতে যাচাই বাছাই করব তার একটা সম্যক ধারণা দিলে ব্যাপারটা হজম করতে সহজ হবে। আমি বা আমরা রাজনীতিবিদ নই, বিদেশে খেটে খাওয়া কামলা। মা-বাবা, ভাই-বোন এবং আত্মীয়-স্বজন ছেড়ে প্রবাসের এই বিরান ভূমিতে গাধার মত শ্রম দিতে বাধ্য হচ্ছি তারেক জিয়ার মত রাজনৈতিক প্রেতাত্মাদের ছায়া হতে দূরে থাকতে। এতদিন সফলভাবেই দূরে ছিলাম হয়ত।
কিন্তূ এখন ভয় লাগছে, কারণ ওয়াশিংটন শহর আমার আবাস হতে খুব একটা দূরের পথ নয়। এই প্রেতাত্মার জাগরন আমাকে ভাবিয়ে তুলছে, কারণ এখান হতে পালাবার আমার কোন রাস্তা জানা নেই।
যে দিনটায় জিয়াউর রহমানকে খুন করা হয় অনেকের মত আমিও নেতার সততা এবং সাধারণ জীবন যাপনের কাহিনী দেখে চোখের জল আর নাকের জল এক করেছিলাম। ২০০৫ সালের শুরুতে ৬৭নং পুরানা পলটন লাইনে মরহুম ডাঃ এস এ খানের বাড়িটা সাড়ে ৫ কোটি টাকায় বিক্রী হয় অদৃশ্য ক্রেতার কাছে। দু’দিন না যেতেই খোলাস হতে বেড়িয়ে আসেন ক্রেতা।
আর কেউ নন, ছেড়া লুংগি আর সুটকেসের স্তূপে জন্ম নেয়া বাংলাদেশের নয়া রাজকুমার জনাব তারক রহমান। যে দিন বাংলার এই স্বঘোষিত অধিপতিকে চ্যাংদোলা করে হাজতের কুঠুরীতে মেহমান বানানো হয়েছিল, দুঃখ নয় বরং একধরনের পৈচাশিক আনন্দ লাভ করেছিলাম। ভেবেছিলাম এই বোধহয় বাংলাদেশের নতুন যাত্রা শুরু হল। থাক সে কাহিনী।
ছবি কথা বলে; স্বভাবতই আপনাদের চেহারা দেখে মনে হচ্ছে সবাই আপনারা শিক্ষিত।
মহোদয়গন, বুঝিয়ে বলেবন কি, শিক্ষার কোন অলিগলিতে বিচরন করে একবিংশ শতাব্দীর এই কলংক মাথায় নিয়ে প্রবাসে মাতামাতি করছেন? একি শুধুই তারেক জিয়ার ছড়ানো উচ্ছিষ্ট কথা বলছে, না আপনাদের শিক্ষা, বিবেক, বুদ্বি, বিবেচনা, দেশপ্রেম এবং গণতন্ত্রের প্রতি আমরন কমিটমেন্ট এ পথে নিয়ে আসছে? আপনাদের অনেকেরই এই হাসি-খূশী বদনের নীচে লুকিয়ে আছে অনেক না বলা কালো কাহিনী, যা তারেক জাগরনের ধূয়া তুলে আমার মত কামলাদের বিভ্রান্ত করা সহজ নয়। জাগরনের ডাক দিচ্ছেন ভাল কথা, তবে সে জাগরন শুরু হওয়া চাই আত্মশুদ্বি দিয়ে। ওয়াশিংটনের রাস্তায় তারেক জিয়ার ছবি নিয়ে দয়াকরে আর ভয় দেখাবেন না, আমি এবং আমরা এমনিতেই ভীত।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।