বাংলার মাটি বাংলার জল, বাংলার বায়ু, বাংলার ফল, পুন্য হউক, পুন্য হউক, পুন্য হউক, হে ভগবান। বাংলার ঘর, বাংলার হাট, বাংলার বন, বাংলার মাঠ, পুর্ন হউক, পূর্ন হউক, পূর্ন হ্উক, হে ভগবান। রবীন্দ্রনাথ
ভূমধ্যসাগরের পূর্ব উপকূলে ছিল প্রাচীন ফিনিসিয় নগর টায়ার। সেই টায়ার নগরের জেলেরা নাকি সমুদ্র উপকূলে মাছ ধরার সময় ইলা এ এ এ সা, ইলা এ এ এ সা, বলে করুন কন্ঠে চিৎকার করত। কেন? কারণ, তারা এমন একজন রাজকন্যার নাম ধরে আর্তনাদ করত- যে রাজকন্যা টায়ার ছেড়ে সেই যে চলে গেছে আর ফিরে আসেনি।
সেই রাজকন্যার নাম ছিল এলিশাট। এলিশাট এর অন্য উচ্চারণ এলিসার কিংবা এলিসা। এ কারণেই টায়ার নগরের জেলেরা সমুদ্র উপকূলে মাছ ধরার সময় ইলা এ এ এ সা, ইলা এ এ এ সা, বলে চিৎকার করত। রোমান লেখকরা অবশ্য এলিশাট না-বলে বলেছেন: ডিডো; এবং আমরা এলিশাট কে ডিডোই বলব। ডিডো মানে ভ্রমনকারী।
সে যাই হোক, টায়ারের রাজকন্য ডিডোর জীবন অত্যন্ত করুন ছিল ...সে জীবনের কথা বলতে বলতে আধুনিক ইতিহাস-লেখকের হৃদয়ও ভারাক্রান্ত হয়ে ওঠে ...
জীবনানন্দ দাশ লিখেছেন-
ভারত সমুদ্রের তীরে
কিংবা বূমধ্যসাগরের কিনারে
অথবা টায়ার সিন্ধুর পারে
আজ নেই কোনা এক নগরী ছিল একদিন,
(নগ্ন নির্জন হাত। বনলতা সেন। )
প্রাচীন ফিনিসিয় সভ্যতা ছিল প্রাচীন যুগের এক অনন্য সভ্যতা। স্পেন ও উত্তর আফ্রিকায়
ফিনিসিয় সভ্যতার উপনিবেশ ছিল।
ভূমধ্যসাগরের পূর্ব তীরের টায়ার ছিল প্রাচীন ফিনিসিয় সভ্যতার অন্যতম নগরী।
ফিনিসিয় সভ্যতার রাজধানী বিবলস হলেও নানা কারণে টায়ার নগরীর প্রতিপত্তি, সম্মান ও মর্যাদা ছিল। ফিনিসিয় সভ্যতা আসলে কতগুলি নগররাষ্ট্রের সমষ্টি। নগররাষ্ট্রগুলি শাসন করত একজন রাজা।
টায়ার নগরের মানচিত্র। নগরীটি দুভাগে বিভক্ত ছিল।
মূলভূমিতে ও নিকটবর্তী একটি দ্বীপে।
খ্রিস্টপূর্ব নবম শতাব্দীর প্রারম্ভে টায়ারের রাজা ছিলেন ২য় বেলাস। (খ্রিস্টপূর্ব ৮০৫) এই রাজা ২য় বেলাস এর দুইমেয়ে। আনা ও এলিশাট । এলিশাট বড়, আনা ছোট।
যা হয়- রাজা গভীর ভাবে ভালোবাসতেন বড় মেয়েকে।
যাক। যথা সময়ে এলিশাট ঋতুমতী হল। একদিন রাজা ২য় বেলাস এসে বললেন, তোর বিয়ে ঠিক করেছি মা।
এলিশাট লজ্জ্বা পেল।
সে জানে বাবার পছন্দের পাত্র টায়ারের প্রধান পুরোহিত সায়চাইউস । সায়চাইউস ভীষন ধনী। লোকে বলে সায়চাইউস-এর লুকোন ধনসম্পদ আছে। সে যা হোক। সম্পর্কে সায়চাইউস ছিলেন এলিশাটের চাচা ।
সেকালের সম্পর্কগুলি এমনই গোলমেলে।
যাক।
এলিশটের বিয়ের পরপরই এলিশটের বাবা মারা গেলেন।
এলিশট ছাড়াও রাজা ২য় বেলাস-এর এক ছেলে ছিল। পিগমালিয়ন।
সেই টায়ারের রাজা হল। সেকালের রীতি অনুযায়ী এলিশট মৃত রাজার জ্যোষ্ঠ কন্যা হওয়ায় সিংহাসনের ভাগ পেল।
টায়ারের নতুন রাজা পিগমালিয়ন ছিল লোভী। সে সায়চাইউস-এর লুকানো ধনসম্পদ সব গ্রাস করতে চাইল। এ জন্য সে সায়চাইউস কে ভয়ভীতি দেখাল।
সায়চাইউস চুপ করেই ছিল।
একদিন। এ নিয়ে তর্কবির্তক হতে হতে ক্রোধে উন্মক্ত হয়ে পিগমালিয়ন উপাসনালয়ের বেদিমূলের কাছে সায়চাইউস কে খুন করে বসল। (মার্ডার ইন ক্যাথিড্রাল!) ...খুন করার পর পিগমালিয়ন সম্বিৎ ফিলে পেল। ... এ আমি কি করলাম! আমি তো ... আমি তো সায়চাইউস কে খুন করতে চাইনি।
এখন ... এখন আমি কি করি। এখন আমি কী করে এলিশট-এর সামনে গিয়ে দাঁড়াব? যাই হোক...এলিশটকে সায়চাইউস-এর মৃত্যুর সংবাদ এক্ষুনি জানানো যাবে না।
পরে এলিশট আর পিগমালিয়ন মুখোমুখি হল-
এলিশট: (অত্যন্ত উৎকন্ঠিত হয়ে) কদিন হল আমি আমার স্বামীকে খুঁজে পাচ্ছি না।
পিগমালিয়ন: (সামান্য বিব্রত হয়ে) হ্যাঁ। কথাটা আমিও শুনেছি।
এলিশট: আমার ভীষণ ভয় করছে।
পিগমালিয়ন: না,না। ভয়ের কি আছে। তবে-
এলিশট: কি!
পিগমালিয়ন: শুনেছি গ্রিকরা ট্রয় নগরী আক্রমন করছে। সায়চাইউস হয়তো ট্রয়-এর পক্ষই নিয়েছে।
সে ট্রয়ের এনচিসেস কে চিনত। ট্রয়ের রাজা প্রিয়াম এর আত্মীয় হন এনচিসেস ।
এলিশট: (অবাক হয়ে) আমার স্বামী পুরোহিত। তিনি যুদ্ধের কি বোঝেন?
পিগমালিয়ন: (ক্রর হেসে) এ জগতে বেঁচে থাকতে হলে প্রত্যেককেই কোনও না কোনও সময়ে যুদ্ধে জড়াতে হয় এলিশট।
এলিশট: (আপনমনে বিড়বিড় করতে করতে) কি জানি!
পরে এলিশট নিদারুন সত্যটি জানতে পারে।
নিদারুন ঘৃনায় হতাশায় ও শোকে ভেঙ্গে পড়ে এলিশট। আনা এসে বড় বোনকে শান্ত্বনা দেয়।
জগতে সবাই সুখি হতে চায়। সুখি হতে পারে না। এলিশট ফিসফিস করে বলে।
আনাও ফুঁপিয়ে ওঠে। সেও যে ষোড়শী।
নিয়তি! সবি নিয়তি আনা! আমরা স্বাধীন নই! আমরা দেবতার ইচ্ছের পুতুল!
এলিশট আর্তনাদ করে ওঠে।
আনা শিউরে ওঠে।
আনা তখনও জানত না যে সেই একদিন এলিশটের চিতা তৈরি করে দেবে ...
এক বিষন্ন গুমোট সন্ধ্যায় সায়চাইউস এর প্রেতাত্মা এলিশট-এর সামনে এসে দাঁড়াল ।
মৃত পুরোহিতের যা বলার ছিল বলল।
এখানে ডেনমার্কের রাজপুত্র হ্যামলেটের কাহিনীর সঙ্গে আমরা টায়ারের রাজকন্য এলিশটের কাহিনীর মিল খুঁজে পাচ্ছি। উপকথা বা লোককাহিনীর ওপরেই আসলে সাহিত্য গড়ে ওঠে। পিগমালিয়ন উপাসনা লয়ের বেদিমূলের কাছে সায়চাইউস কে খুন করে। ঘটনাটির সঙ্গে আমরা টি এস এলিয়টের (মার্ডার ইন ক্যাথিড্রাল!) কাব্যের সাদৃশ্য খুঁজে পাই!
সায়চাইউস এর প্রেতাত্মা এলিশটকে আরও বলল ... কোথায় রয়েছে তার লুকোন সম্পদ ।
আর, এলিশট যেন সে গুপ্তধন খুঁজে বের করে, গোপনে, লোভী পিগমালিয়ন-এর চোখ ফাঁকি দিয়ে। এবং এলিশট-এর টায়ারে থাকা নিরাপদ নয়। এলিশট যেন টায়ার ছেড়ে অন্য কোথাও চলে যায়।
আনা ছাড়াও এলিশটের অনেক শুভানুধ্যায়ী ছিল। তাদের মধ্যে জ্ঞানী পুরোহিত ও অভিজাত ব্যাক্তিবর্গও ছিল।
এ ছাড়া ছিল ২০ জন কুমারী। এই কুমারীরা এক ফিনিসিয় দেবীর মন্দিরের সেবাদাসী। তারা প্রতিজ্ঞা করেছিল যে তারা বিয়ে করবে না। আজীবন দেবীর সেবা করবে।
পিগমালিয়ন-এর চোখ ফাঁকি দিয়ে সায়চাইউস এর লুকোন সম্পদ জাহাজে তুলে এলিশট সবাইকে নিয়ে জাহাজ ভাসালেন।
জাহাজ যখন টায়ার উপকূল ছেড়ে যাচ্ছিল এলিশট তখন মনে মনে বলল, আজ থেকে এলিশট মৃত।
টায়ার থেকে যাত্রা করে জাহাজ প্রথমে ভিড়ল সাইপ্রাস। সেই ২০ জন কুমারী তাদের প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ করল। তারা বিয়ে করল।
কেন?
দীর্ঘ বিপদজনক যাত্রায় রাজকন্যার সঙ্গী বাড়ানো দরকার -এই ভেবে।
২
ওই সময়টায় ট্রয়যুদ্ধ প্রায় শেষের দিকে।
গ্রিকরা ট্রয় নগরী জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দিচ্ছিল; সে সময় ইনিয়াস নামে এক অভিজাত ট্রয়যোদ্ধা ট্রয় নগর থেকে পালিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে সমুদ্রপাড়ে চলে আসে। ইনিয়াস-এর মা ছিলেন মহাশক্তিধর দেবী ভেনাস। উপকথামতে ইনিয়াস-এর মা ভেনাস ছেলেকে পালিয়ে যেতে সাহায্য করেছিল। ইনিয়াস-এর বাবা রাজপুত্র এনচিসেস ছিলেন ট্রয়ের রাজা প্রিয়াম এর আত্মীয়।
ইনিয়াস-এর বাবা বৃদ্ধ বলেই তাঁকে কাঁধে করে উপকূল অবধিবয়ে নিয়ে গেল ইনিয়াস।
ইনিয়াস-এর দলটাকে এনেয়াদ বলা হয়। সেই দলে ছিল ইনিয়াস-এর বাবা ছাড়াও ছিল ইনিয়াস-এর ট্রাম্পেটবাদক মিসেনিউস, ও ইনিয়াস - এর বন্ধুবান্ধবরা।
আরেকটি ট্রয় নগরী প্রতিষ্ঠার উদ্দেশে সমুদ্রে জাহাজ ভাসায় ইনিয়াস ।
দীর্ঘ অ্যাডভেঞ্চারপূর্ন যাত্রা শুরু হল।
থ্রাস, দেলস, ক্রিট ও সিসিলি হয়ে জাহাজ ভেসে চলেছে।
ইনিয়াস-এর বাবা এনচিসেস মারা গেলেন।
৩
উত্তর আফ্রিকার উপকূলে পৌঁছল ডিডোর জাহাজ; এখন যেটা তিউনিশিয়া-সেখানে।
ঐতিহাসিকদের মতে সময়টা খ্রিস্টপূর্ব ৮১৪।
ফিনিসিয় ব্যবাসায়ীরা অনেক আগেই ওখানে একটি বানিজ্যকুঠি (ট্রেডিং পোস্ট) নির্মাণ করেছিল।
স্থানীয় অধিবাসীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে নগর প্রতিষ্ঠার জন্য জমি কিনতে চাইল ডিডো। স্থানীয় অধিবাসীরা ব্যাপারটা ভালো চোখে দেখেনি ; এদের রাজা ছিলেন জাপন। ডিডো রাজা জাপনকে জমির বিনিময়ে প্রচুর অর্থের প্রতিশ্র“তি দিল। বললেন, ষাঁড়ের চামড়ায় দাগ দিয়ে জমি নেবে।
রাজা রাজী।
ডিডো কি এক গাণিতিক চালাকি করে প্রচুর জমি কিনে নিল ।
স্বামীর মৃত্যুর পর থেকেই কারও সঙ্গে যৌনসম্পর্ক স্থাপনের ইচ্ছে মরে গিয়েছিল ডিডোর । রাজা জাপন ডিডোকে বিয়ে করতে চাইলেন। ডিডো সে কারণেই রাজী হল না। রাজা জাপন যুদ্ধের হুমকি দিলেন।
ডিডোও পিছপা হল না।
ডিডো-উপকথার একটি ভার্সান বলে যে- রাজা জাপন যুদ্ধের হুমকি দেওয়ায় ডিডো চিতায় জীবন বিসর্জন দিয়েছে। তবে এ ভার্সানটি তেমন চিত্তাকর্ষক নয় বলেই আমরা অন্য ভার্সানটির প্রতি বেশি আগ্রহ দেখাব। কেননা, সে ভার্সানটি অমর করে রেখেছেন রোমান কবি ভার্জিল।
যা হোক।
জমাজমি কিনে নতুন একটি নগরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে সেই নগরের নাম রাখল: কার্থেজ।
ফিনিসিয় ভাষায় কার্থেজ মানে নতুন নগর।
কার্থেজ।
৪
ইনিয়াস এর জাহাজ ভেসে চলেছে ভূমধ্যসাগরে।
ট্রয়যুদ্ধে গ্রিকদের হাত থেকে রক্ষা পেতে এবং আরেকটি ট্রয় নগরী প্রতিষ্ঠার উদ্দেশে সমুদ্রে জাহাজ ভাসিয়েছে ইনিয়াস ।
দেবী জুনো চায়নি ইনিয়াস রোম নগরী প্রতিষ্ঠা করুক। ঝড় উঠল দেবীর জুনোর অলৌকিক শক্তিবলে।
উত্তর আফ্রিকার উপকূলে জাহাজ ডুবি হল ইনিয়াস এর । উপকূলে জাহাজ ডুবির কথা শুনল ডিডো । কৌতূহলী হয়ে আর্তদের উদ্ধার করতে সৈন্যসামন্ত পাঠাল।
ইনিয়াস
সুদর্শন ইনিয়াস কে দেখামাত্র ভালোবেসে ফেলল। স্বামীর মৃত্যুর পর থেকেই ডিডো সতীসাব্ধী জীবনযাপন করছিল। এখন বুঝল তার শরীর মরে যায়নি এবং শরীরের কামবোধ হল ঘুমন্ত আগ্নেয়গিরির মতন-যে কোনও সময়য়েই অগ্যূৎপাত ঘটাতে পারে। ভিতরে ভিতরে ভীষণ কাঁপছিল ডিডো। ...আমার ইনিয়াস এত সুন্দর ...সোনালি চুল, নীল চোখ -লম্বা শরীরটির বলিষ্ট গড়ন।
আড় চোখে চাইল আনার দিকে। আনার সবজে চোখেও মুগ্ধতা।
ভালোবাসাসরুপ সুদর্শন ইনিয়াস কে একটি চমৎকার ক্ষুরধার তলোয়ার উপহার দিল ডিডো।
তখন কে জানত যে ... এ তলোয়ার দিয়েই আত্মহত্যা করতে হবে!
ইনিয়াস -এর মুখে পূর্বাপর ট্রয়যুদ্ধের কাহিনী শুনল ডিডো। (এ কালের শিল্পীর কল্পনায়)
বড় প্রাণে বেঁচে গেছেন।
তা এখানেই থেকে যান না কেন। সুন্দর দেশ কার্থেজ।
ইনিয়াস লাজুক হাসল।
কার্থেজ। সুন্দর দেশ ।
কার্থেজের রানী ডিডোকেও ভালো লাগছিল ইনিয়াস-এর। স্বর্ণকেশি,গভীর নীলাভ চোখ, তপ্তকাঞ্চণবর্ণা, উন্নত বক্ষা ...তবে ইনিয়াস রাজী হলে কি হবে ইনিয়াস-এর মা ভেনাসের ইচ্ছে যে অন্যরকম।
এরপর ইনিয়াস আর ডিডো মিলন ও সম্ভোগে পরিপূর্ন হয়ে উঠতে লাগল।
কার্থেজের দক্ষিণে গভীর অরণ্য। সে অরণ্যে দুজনে শিকার করতে গেল।
দেবী ভেনাসের অভিশাপে ঝড় উঠল।
দুজনে বিচ্ছিন্ন হল।
ইনিয়াস রোম নগরের পত্তন করবে। সে হবে ভবিষ্যৎ রোমার সভ্যতার জনক। এই ছিল তার নিয়তি।
এবং এই ছিল তার মা দেবী ভেনাস-এর ইচ্ছা ।
ইনিয়াস-এর জাহাজ তৈরি ছিল কার্থেজবন্দরে।
সে জাহাজে ইনিয়াস উঠে পড়লে জাহাজ ছাড়ল।
পরে সব শুনে ডিডো ভেঙ্গে পড়লেন। চিৎকার করে আনাকে বললেন, চিতা জ্বালাও।
কেন?
ইনিয়াস এর উপহার আমি সব পুড়িয়ে ফেলব!
জ্বলে উঠল চিতা ।
চিতায় ইনিয়াস-এর স্মৃতি যা ছিল সবই ছুঁড়ে ছুঁড়ে ফেলল ডিডো।
চিতার পাশে দাঁড়িয়ে ডিডো অভিশাপ দিলেন: রোম ও কার্থেজের যুদ্ধ ভূমধ্যসাগর ছাড়খার করে দেবে। সত্যিই তাইই হয়েছিল।
ইনিয়াস কে যে তলোয়ার উপহার দিয়েছিলেন সেই তলোয়ার বুকে বিঁধিয়ে চিতায় ঝাঁপিয়ে পড়ল ডিডো।
...ভূমধ্যসাগরের পূর্ব উপকূলে ছিল প্রাচীন ফিনিসিয় নগর টায়ার। সেই টায়ার নগরের জেলেরা নাকি সমুদ্র উপকূলে মাছ ধরার সময় ইলা এ এ এ সা, ইলা এ এ এ সা, বলে করুন কন্ঠে চিৎকার করত। কেন? কারণ, তারা এমন একজন রাজকন্যার নাম ধরে আর্তনাদ করত- যে রাজকন্যা টায়ার ছেড়ে সেই যে চলে গেছে আর ফিরে আসেনি। সেই রাজকন্যার নাম ছিল এলিশাট।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।