আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সিদ্ধিরগঞ্জের গটক ওসিবিয়ে করা কঠিন হলে এখন থেকে আর সমস্যা নেই থানার ওসিদের সরকার থেকে ঘুষ নেয়ার মাধ্যমে যে কোন বিয়ের অনুমতি প্রধান!

আমি জানি ভাল কিছু করার মাঝে প্রকৃত আনন্দ । আমি সব ভালদের সঙ্গী হতে চাই।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসিকে ঘুষ প্রদানের পর থানায় প্রেমিক-প্রেমিকার বিয়ে । নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানা কার্যালয়ে শনিবার প্রেমিক সোহেল ও প্রেমিকা ইতি বেগমের বিয়ে সম্পন্ন করা হয়েছে। বিয়ে সম্পন্ন করতে ওসিকে মোটা অঙ্কের ঘুষ দিতে হয়েছে।

তবে ঘুষ পাওয়ার আগে পার্শ্ববর্তী এক যুবককে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে ক্ষোভ। কদমতলী এলাকার জামালউদ্দিনের ছেলে সোহেলের সঙ্গে মুন্সীগঞ্জের মাকহাটি গ্রামের মফিজুল ইসলামের কন্যা ইতির প্রেমের সম্পর্ক হয়। একপর্যায়ে প্রেমিকা ইতি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে প্রেমিকার সম্মতিতে বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জের এক ক্লিনিকে তাকে এমআর করানো হয়।

পরে প্রেমিকা ইতি প্রেমিক সোহেলের বাড়িতে আশ্রয় নিলে শুক্রবার প্রেমিকের মা-বাবা ইতিকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। প্রেমিকা উপায়ন্তর না দেখে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় গিয়ে বিষয়টি পুলিশকে জানায়। পরে ওসির নির্দেশে কদমতলী এলাকায় প্রেমিককে গ্রেফতারের জন্য ওসি এক দারোগাকে পাঠায়। কিন্তু ঐ দারোগা প্রেমিক সোহেলকে না পেয়ে ওসি নির্দেশে পার্শ্ববর্তী রুবেল নামে এক নিরীহ যুবককে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে। পরে প্রেমিক-প্রেমিকার আত্মীয়-স্বজনরা বিষয়টি মীমাংসার জন্য থানায় ছুটে আসে।

একপর্যায়ে প্রেমিক-প্রেমিকা উভয়ে বিয়ে করতে রাজি হয়। কিন্তু বাদ সাধেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মোখলেছুর রহমান। ওসির প্রেমিক-প্রেমিকার আত্মীয়-স্বজনকে সাফ জানিয়ে দেন তাকে ২০ হাজার টাকা দিতে হবে। এদিকে ওসির দাবিকৃত টাকা না দেয়ায় শুক্রবার রাতভর প্রেমিকা ইতিকে তার আত্মীয়-স্বজনদের কাছে না দিয়ে থানা হাজতে আবদ্ধ করে রাখে। গতকাল শনিবার সকালে ওসি মোখলেছুর রহমানের দাবিকৃত টাকা পরিশোধ করার পর সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় প্রেমিক-প্রেমিকার বিয়ে সম্পন্ন করানো হয়।

কিন্তু তার আগে গ্রেফতার করে আনা পার্শ্ববর্তী রুবেলকে ৫৪ ধারায় ওসি মোখলেছুর রহমান তড়িঘড়ি করে জেল-হাজতে পাঠিয়ে দেয়। এর আগে ওসি রুবেলের আত্মীয়দের কাছ থেকে উৎকোচ দাবি করে। কিন্তু ওসির দাবি অনুযায়ী টাকা না দেয়ায় ওসি রুবেলকে আদালতে প্রেরণ করে বিনা অপরাধে। উৎকোচ নেয়ার ব্যাপারে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, আমি আমার জন্য টাকা চাইনি তবে, প্রেমিকার চিকিৎসার জন্য টাকা চেয়েছি। তাছাড়া আজ (শনিবার) সকালে তাদের বিয়ে পড়িয়েছি।

প্রেমিক-প্রেমিকার আত্মীয়-স্বজন স্বীকার করে মিষ্টি খাওয়ার জন্য ওসি সাহেবকে টাকা দিতে হয়েছে। এ ঘটনায় কদমতলী এলাকায় চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এব্যাপারে এলাকাবাসী প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।