আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শীরু ভাইয়ের জন্য শোকগাঁথা



প্রিয় শীরু ভাই, এটা কি সময় ছিল এভাবে চলে যাবার ? আজ ঢাকা থেকে যে দৈনিকগুলো বেরিয়েছে তার সবগুলোর পাতা খুঁজলাম। না , প্রথম কিংবা শেষ পাতায় শিরোনাম হননি আপনি। কেউ খবরটা করেছে ''দেশ'' কিংবা ''বিশাল বাংলা '' পাতায়। আপনি শেষ বিদায় নিয়েছেন। না ,শীরু ভাই, আমার মন খারাপ হয় নি।

আপনি তো ছিলেন ''দেশ'' কিংবা ''বিশাল বাংলা''র মতোই বিশাল। তাই ওরা ঠিকই করেছে। আপনি যেসব সাংবাদিক তৈরি করে গেছেন, আজ তারাই আপনাকে বিশাল বাংলার পাতায় শেষ অভিবাদন জানিয়েছেন। ................................. মাত্র ৫৪ বছর বয়স। জন্ম ১৯৫৫ সালের ২৫ জুলাই।

আর চলে গেলেন ২৪ সেপ্টেম্বর ২০০৯। কিন্তু আপনার অনেক কাজ যে বাকী থেকে গেল শীরু ভাই। ''সিলেটের শতবর্ষের সাংবাদিকতা'' বইটি সম্পাদনা করেছিলেন আপনি। বলেছিলেন, সিলেটের সংস্কৃতির শিকড় নিয়ে সম্পাদনা করেতে চান একটা বই। তা আর হলো না শীরু ভাই ! ...................................... গুগল এ আপনার একটা ছবি খুঁজলাম।

একক কোনো ছবি পেলাম না। আপনার সম্পাদিত গ্রন্থে অবশ্য আপনার একটা ছবি আছে আমার কাছে। সেটা দিতে চাইনি। গুগল সার্চে পেলাম একটা ছবি। সেটাই যুক্ত করলাম এখানে।

আমি আপনাকে নিয়ে, আপনার স্বপ্ন নিয়ে আরো দীর্ঘ লিখবো শীরু ভাই। আপনি ছিলেন মফস্বল প্রিয় মানুষ। সিলেট ছেড়ে গেলে আপনিও কোনো জাতীয় দৈনিকের প্রথম কিংবাশেষ পাতায় শিরোনাম হতে পারতেন। ......................................... জানি শীরু ভাই , এই সুরমার বহমান ঢেউয়ের মতোই আপনি থেকে যাবেন মানুষের প্রাণে প্রাণে । আপনার মতো মহান একজন মানুষকে আমরা খুব মিস করবো শীরু ভাই ! খু উ ব ............ ======================================= এক নজরে মহীউদ্দীন শীরু ----------------------------- মহিউদ্দিন শীরু ১৯৭৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে এম এ পাস করেন।

এর আগে ১৯৭৩ সালে তিনি সাপ্তাহিক যুগভেরীর মাধ্যমে সাংবাদিকতা শুরু করেন। ১৯৮২ সালে তিনি দৈনিক বাংলার বাণীর সিলেট প্রতিনিধি ছিলেন। ওই পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে তিনি ১৯৮৬, ১৯৯১ ও ১৯৯৩ সালে যুক্তরাজ্য ভ্রমণ করেন। তিনি সিলেট থেকে প্রকাশিত দৈনিক সুদিন এবং সাপ্তাহিক গ্রামসুরমার সম্পাদক ছিলেন। নিউজ টুডে’র সিলেট প্রতিনিধি হিসেবে তিনি দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেন।

এছাড়া বিভিন্ন সময় লন্ডন থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক সুরমা, সাপ্তাহিক পূর্বদেশ ও সাপ্তাহিক পত্রিকা’র সিলেট প্রতিনিধি ছিলেন। তিনি দুবার সিলেট প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। সম্প্রতি তিনি বাসস সিলেট প্রতিনিধি হিসাবে নিয়োগ পেয়েছিলেন। মহিউদ্দিন শীরু সাংবাদিকতার পাশাপাশি একজন কবি ও গীতিকার ছিলেন। তিনি ছিলেন সিলেটের বালাগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ।

তার গবেষণাগ্রন্থ '' সিলেটের শতবর্ষের সাংবাদিকতা'' সাংবাদিকতা জগতের এক অনন্য দলিল। তার সম্পাদিত গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে ‘তোমার আসন শূন্য আজি (২০০২), ‘সিরাজউদ্দিন আহমদ (১৯৩৫-২০০২)’, ‘প্রবাসে বালাগঞ্জবাসী’, ‘কবিতাপত্র’ ও ‘শব্দদ্রুম’। ২০০৮ সালের মে মাসে তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘পাখির স্বজন নেই’ প্রকাশিত হয়।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।