এভাবেই ভালোবাসা পুড়ে পুড়ে যায়..
এইখানে,ঠিক এইখানটায়-এই শিমুল গাছের নীচে
যেখানে শীতের শেষ বিন্দুটুকু রেখে গ্যাছে তার অমলিন ছোঁয়া;
এর প্রতিটি কনায় মিশে আছে আমার শৈশব;
জীবনের প্রথম দশটি বছর।
উত্তাল সেই দিনগুলোতে সময় জ্ঞানের হিসেব ছিলনা একরত্তিও;
শিমুল তুলোর সাথে পাল্লা দিয়েই উড়ে চলতো
আমার সকাল-দুপুর-বিকেল ।
কখোনো রাত গভীর হলে বাবার কোলেই ডুব দিতাম প্রকান্ড জলাশয়ে;
কখনোবা কনকনে শীতের সকালে।
সাহেব বাজারের এই পুকুরটি কতোবার যে সাঁতরে এপাড়-ওপাড় করেছি
তার কোন সঠিক পরিসংখ্যান নেই।
পদ্মা নদীর ঘ্রাণ এখনো আমার অঙ্গে লেগে আছে-
বাবাব হাতে মুষ্টিবদ্ধ আমার ছোট্ট হাত,
গুটিসুটি পায়ে হেঁটে গেছি এর তীর ঘেসে।
এখনো সেখানে ঠায় দাঁড়িয়ে আছে-আমার রিভার ভিউ স্কুল।
সাহেব বাজারে সাহেবরা থাকতেন কিনা আমার জানা ছিল না ;
তবে একজন চিত্রকর ছিলেন বাড়ীর পাশে,
আমরা তিন ভাই বোন জানলার গ্রীলে দাঁড়িয়ে দেখতাম-
সাদা ক্যানভাসে নিপূণ হাতের ছোঁয়া।
আমি অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে থাকতাম;
আরও বিস্ময়ে প্রত্যক্ষ কোরতাম ওই লাল দালান টি,
আজও বুঝতে পারিনি ওখানে কয়টা কামড়া আছে।
আর এখন যতোদূর চোখ যায়-বেশ কিছু অট্টালিকা
মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে।
একসময়কার বিশালতা আজ আমার কাছে ক্ষুদ্র হয়ে ধরা দ্যায়,
সমস্ত বিশালতা ছাপিয়ে মাঝরাতে ঝুপ করে পুকুরে নামার শব্দ
আমার কানে এসে লাগে--
আমি হারিয়ে যাই বিশ বছর পেছনে।
(রাজশাহী--তৃতীয় শ্রেণী পর্যন্ত,যেটুকু মনে থাকে)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।