রোববার এক যুক্তবিবৃতিতে এ সংবাদ জানিয়েছে সরকার ও বিদ্রোহীপক্ষ।
বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, দুপক্ষের চুক্তিতে গ্রামীণ এলাকার অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন এবং সেখানে বসবাসকারী দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে জমির অধিকার দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
“এই চুক্তি গ্রামীণ কলম্বিয়ার আমূল রূপান্তর ঘটাবে,” ওই বিবৃতিতে বলা হয়।
সাম্যবাদী পদ্ধতিতে ভূমি সংস্কারের দাবি নিয়েই ১৯৬৪ সালে আন্দোলন শুরু করে এফএআরসি, পরে এই আন্দোলন সরকারবিরোধী সশস্ত্র বিদ্রোহে পরিণত হয়। এই বিষয়ে বিদ্রোহীদের সঙ্গে সরকারের সহমতে শান্তির পথে কলাম্বিয়া অনেকটা এগিয়ে গেল বলে মনে করা হচ্ছে।
“আলোচনার মাধ্যমে শান্তি অর্জনের বাস্তব সুযোগ তৈরি হয়েছে আজ,” বলেন কলাম্বিয়া সরকারের পক্ষের প্রধান আলোচক হামাবার্তো দে লা কাল।
“এই প্রক্রিয়াকে সমর্থন করা কলাম্বিয়ার প্রতি বিশ্বাসের প্রতিফলন,” বলেন তিনি। চুক্তিটিকে একটি ঐতিহাসিক চুক্তি আখ্যা দিয়ে তিনি আরো বলেন, “এটি কলম্বিয়ার গ্রামীণ এলাকার পুনর্জন্ম। ”
অনেকগুলো বিষয়ের ফয়সালা এখনও বাকি আছে বলে জানিয়েছেন এফএআরসি’র পক্ষের প্রধান আলোচক ইভান মার্কুয়েজ। পরবর্তী সময়ে এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
“আমরা একটি চুক্তির বিষয়ে একমত হয়েছি, এটি চূড়ান্ত হওয়ার আগে অবশ্যই পর্যালোচনা করে দেখতে হবে,” বলেন তিনি।
আলোচনায় মধ্যস্থতাকারী দেশ কিউবার রাজধানী হাভানায় গত নভেম্বর থেকে কলাম্বিয়া সরকার ও এফএআরসির মধ্যে কলাম্বিয়ার গৃহযুদ্ধ অবসানে আলোচনা চলছে। লাতিন আমেরিকার দেশগুলোর মধ্যে কলাম্বিয়ার গৃহযুদ্ধ সবচেয়ে বেশি সময় ধরে চলছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।