উদযাপন কেমন হতে পারে, তাঁর চেয়ে ভালো খুব কম লোকই জানে। গায়ের জার্সি খুলে আদুল গায়ে লর্ডসের ব্যালকনিতে বনবন ঘুরিয়েছিলেন এই সৌরভ গাঙ্গুলীই। তবে আবেগের স্রোতে ভেসে যেতে যেতেও ঠিক কোথায় গিয়ে থামতে হবে, এটাও জানা ছিল তাঁর। সম্প্রতি অ্যাশেজ জয়ের পর কেভিন পিটারসেনরা ওভালে যা করেছেন, সেটা তাই মানতে পারছেন না সৌরভ।
ব্যাপারটাকে বেশি গুরুতর চেহারা দেওয়ার বিপক্ষে অবশ্য তিনি।
এর জন্য ইংলিশ ক্রিকেটারদের শাস্তি হওয়া উচিত বলে যে কথা উঠেছে, সেটাতেও সায় দিতে পারলেন না। তবে ভারতের সাবেক এই অধিনায়ক বলছেন, সীমা লঙ্ঘন করাটা ঠিক হয়নি পিটারসেনদের, ‘কোনো সন্দেহ নেই, অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে ইংল্যান্ডই অনেক ভালো দল ছিল। কিন্তু অ্যাশেজ জয় উদযাপন করতে গিয়ে তারা সীমা লঙ্ঘন করে ফেলেছে। আমি মাত্রই পত্রপত্রিকায় ঘটনাটি পড়লাম। এটা স্রেফ একটা মজার ঘটনা।
উদযাপনে কোনো বাধা নেই, তবে আবেগে ভেসে গিয়ে হিতাহিতজ্ঞানশূন্য হয়ে পড়লে চলবে না। ’
নিজেদের ভুলটা পিটারসেনরা বুঝতে পেরেছেন বলেও মনে করেন সৌরভ, ‘পিটারসেনরা অনেক পরিণত। তাই ওদের শাস্তি দেওয়ার কিছু নেই। ওরা তো আর স্কুলপড়ুয়া নয় যে তাদের শাস্তি দিয়ে প্রায়শ্চিত্ত করাতে হবে। ’
উদযাপনের প্রসঙ্গ উঠলে সৌরভের সেই লর্ডসের ব্যালকনির ছবিটাও ভেসে উঠবেই।
এর আগে সৌরভ একবার বলেছিলেন, এই ঘটনার জন্য তিনি ‘গর্ববোধ’ করেন না। তবে এখন বলছেন, ‘লর্ডসে ন্যাটওয়েস্ট সিরিজ জেতার পরও কিন্তু আমরা সীমা লঙ্ঘন করেনি। ওয়ান্ডারার্স কিংবা পাকিস্তানেও এর ব্যতিক্রম হয়নি। বরং নিরাপত্তার বাড়াবাড়িতে আমরা তো খুব বেশি উদযাপন তখন করতেই পারিনি। তবে আমাদের আসল উদযাপন ছিল ড্রেসিংরুমের ভেতরেই সীমাবদ্ধ।
মাঠে আমরা কখনোই সে রকম কিছু করিনি। ইংলিশ খেলোয়াড়েরা যা করেছে, তার সঙ্গে কোনো কিছু তুলনা করা চলে না। ’ সূত্র: পিটিআই। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।