আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তেল-গ্যাস রক্ষা কমিটি বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে: সংসদীয় কমিটি

oracle.samu@googlemail.com

ঢাকা, সেপ্টেম্বর ১৬ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- তেল-গ্যাস সম্পদ 'রক্ষায়' আন্দোলনকারীরা বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। তবে কমিটি আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠকে বসার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। সংসদীয় কমিটির সভাপতি সুবিদ আলী ভূঁইয়া বুধবার সংসদ ভবনে কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের বলেন, "তেল-গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি গ্যাস রপ্তানি নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। " তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের উৎপাদন-বণ্টন চুক্তি বাতিল, সাগরের তিনটি ব্লক বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে বরাদ্দ দেওয়ার সরকারি সিদ্ধান্ত বাতিল এবং কমিটির পেট্রোবাংলা ঘেরাও কর্মসূচিতে পুলিশি হামলার প্রতিবাদসহ পাঁচটি দাবিতে গত সোমবার অর্ধদিবস হরতাল কর্মসূচি পালন করে। সুবিদ আলী বলেন, "বলা হচ্ছে, পিএসসিতে (উৎপাদন-বণ্টন চুক্তি) ৮০ ভাগ গ্যাস রপ্তানির শর্ত রয়েছে।

কিন্তু এ ধরনের কোনও শর্ত পিএসসিতে নেই। " সুবিদ আলী বলেন, "পিএসপির শর্ত অনুযায়ী, বিদেশি কোম্পানি প্রথমত গ্যাস পেট্রোবাংলাকে কেনার জন্য বলবে, পেট্রোবাংলা না কিনলে বাংলাদেশের মার্কেটে বিক্রি করবে, তারপরও ক্রেতা না পেলে এলএনজি করে রপ্তানি করতে পারবে। " কমিটির সঙ্গে বৈঠকের আগ্রহের কথা জানিয়ে সংসদীয় কমিটির সভাপতি বলেন, "তবুও তাদের সঙ্গে খোলামনে আমরা বসতে চাই। " কমিটির আগামী বৈঠকে তেল-গ্যাস রক্ষা কমিটির প্রতিনিধিদের সঙ্গে বসতে চেয়েছে সংসদীয় কমিটি। ওই বৈঠকের তারিখ নির্ধারিত না হলেও কমিটি বলছে, ১৫ দিনের মধ্যে তারা বৈঠক করবেন।

গত ২৪ আগস্ট অর্থনৈতিক বিষয় সম্পর্কিত মন্ত্রিসভা কমিটি কনোকো ফিলিপস ও তাল্লে¬াকে তিনটি ব¬ক বরাদ্দ দেওয়ার প্রস্তাব অনুমোদন করে। এ তিনটি ব্ল¬ক হচ্ছে- ৫, ১০ ও ১১। এর মধ্যে ৫ নম্বর ব্ল¬¬কটি পেয়েছে তাল্লোকে এবং ১০ ও ১১ নম্বর পেয়েছে কনোকো ফিলিপস। তাল্লোকে অয়েল ইউরোপের অন্যতম বৃহত্তম তেল-গ্যাস অনুসন্ধানকারী কোম্পানি। অন্যদিকে কনোকো ফিলিপস যুক্তরাষ্ট্রের এ ধরনের তৃতীয় বৃহত্তম প্রতিষ্ঠান।

তেল-গ্যাস রক্ষা কমিটির দাবি, বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে তৈরি উৎপাদন-বণ্টনের নমুনা চুক্তি 'মডেল পিএসসি ২০০৮' জনস্বার্থবিরোধী। এর ভিত্তিতে দরপত্র অনুযায়ী ৮০ ভাগ রপ্তানির সুযোগ বহুজাতিক কোম্পানি কনোকো ফিলিপস ও তাল্লোকে দেওয়া হচ্ছে। দেশের গ্যাস মজুদের অবস্থা জানিয়ে সুবিদ আলী বলেন, "আমাদের গ্যাসের মোট মজুদ ছিল ১৫ ট্রিলিয়ন ঘনফুট (টিসিএফ)। এর মধ্যে ৮ দশমিক ৩ টিসিএফ খরচ হয়ে গেছে। " তিনি বলেন, "নতুন গ্যাস ক্ষেত্র পাওয়া না গেলে ২০১১ সালের পর দেশে ব্যবহারযোগ্য কোনও গ্যাস থাকবে না।

তাই দ্রুত আমাদের গ্যাস ক্ষেত্র আবিষ্কার করা হবে। " সংসদীয় কমিটির সভায় আরও ছিলেন আব্দুল মতিন খসরু, শেখ ফজলে নূর তাপস, আব্দুল কাদের খান মতামত : এখন দেখার বিসয় হলো আসলেই তারা (সরকার) আলোচনায় বসে কী না ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।