হাসতা লা ভিসতা, অপূর্ব!
ঘন্টি চৌধুরী একজন আজিব কিছিমের মানুষ।
তার যখন বিয়া অয়, তার আম্রিকা-ফেরত দুস্ত তার বৌয়ের জন্যে একটি বিকিনি লয়া আইসিলো, পিরিয়ো বন্দুর ভাবী বইলা কতা। সেইটা দেইখা ঘন্টি চৌধুরীর বায়ু চড়িয়া গেলু ও বলদের ঘন্টির ন্যায় মাতাটি ডাইনে-বামে করিয়াসিলেন বিবমিষায়। সেই থেকে সবাই তারে ঘন্টি চৌধুরী বলিয়া ডাকিতে আরম্ভ করিলো।
পচ্চিমের ছব কিছুতেই ঘন্টি চৌধুরী নাখোশ হয়া যান।
ইয়ং পুলামাইয়ারা একটু ডেটিং করবা? না! কাটা লাগায় একটু কুমর ঝাকাবা? না!! ফ্যান্টাসি কিংডমে চুম্মাচাটি জাপ্টাজাপ্টি চলবা? ন্যাহ! ঘন্টি চৌধুরী ছবাইরে লুংগি-ধুতি পরায়ে ২৪x৭ লালন ছোনাতে চান। আরজেদের উফরেও ঘন্টি চৌধুরীর বিছাল রাগ। তারা নাকি বাংলারে রেপ করতাসে।
আসল কারণটা অইলো, ঘন্টি চৌধুরী যখন কলেজের পুলা আচিলেন, তকন এক আরজে-সুন্দরীর প্রেমে ল্যাং খায়া একেবারে নেংটু চৌধুরী হয়া গেসলেন।
এই ছব কিছুতেই না না করতা করতা কি অইলো, ভাবী যকন ঘন্টি চৌধুরীরে মাজে মাজে সোহাগ করতা চান, তাইতেও? না! মাইয়ামানুষ ভালুবাছা ইনিছিয়েট করে? তওবা তওবা।
ঘন্টি চৌধুরীর মাতায় আগুন ধইরা যায়।
ঘন্টি চৌধুরীর বাসায় খিটিমিটি লাইগাই থাকে নিত্যদিন। হবে নাই বা কেন? আমাগো ভাবী ঘন্টি চৌধুরীর মতো তারছিড়া পাবলিক নয়, তিনি একজন আধুনিক মহিলা, লেজার জর্জেট থিকা স্বর্নচরী সব লেটেস্ট ফ্যাশন তার নখদর্পনে। লোরাইজ জিন্সের মতো যে লোরাইজ শাড়িও হয়, স্টারের সিরিয়াল না দেকলে তার কাসে এটা অজানাই থাইকা যাইতো। মিরপুর ক্রিকেট স্টেডিয়ামের কাসে হওয়া নতুন জিমটায় গিয়া, দিনের পর দিন এতো কষ্ট কইরা যে এনভিয়াস মিডরিফখান বানাইসেন, সেইটাও দেখাইতে পারতেন না আমাগো ভাবীজান।
এইটাই স্বাভাবিক কারণ এইটা অইলো আধুনিক যুগ। সিরিয়াল দেকতে হয়। নইলে পিছিয়ে পড়তে হয়। নোয়াখালির নাজরীনের যতটা অধিকার আসে মাসাক-কালি পইড়া তার বয়ফ্রেন্ডের হৃদয়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার, ততোটাই আসে নরওয়েতে পড়তে আসা জাপানী নাতাশার। কিন্তু ঘন্টি চৌধুরীর মতো তালভুদাই মোল্লারা না বুজে গ্লোবালাইজেশন, না শুনেসে টেরার কতা, মাইনে টপফ্রি ইকুয়াল রাইটস এসোসিয়েশন।
তারা খালি স্বপ্নদোষাবিষ্ট চেকচেক লুংগি পইড়া হিস টিভি দেকতে চায়। সো তাদের সব রাগ গিয়া পড়ে সিরিয়ালগুলোর উফরে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।