হাদীসে ফিৎরা প্রদানের ব্যাপারে বিভিন্ন খাদ্যশস্যের নাম সহ সাধারণ ভাবে ' ত্বা-আম’ বা খাদ্যের কথা এসেছে। যা দ্বারা পৃথিবীর সকল খাদ্যশস্যকে বুঝানো হয়েছে। সরাসরি চাউলের কথা উল্লেখ না থাকলেও চাউল যে ' ত্বা-আম’ বা খাদ্যের অন্তর্ভূক্ত তাতে কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু ধান সরাসরি খাদ্য নয়। যবের উপরে ধানের কিয়াস করা যাবে না ।
কেননা যব খোসা সহ পিষে খাওয়া যায় । কিন্তু ধান খোসা সহ পিষে খাওয়া যায় না্ , আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) বলেন, আমরা এক ছা’ করে ' ত্বা-আম’ (খাদ্য) ফিৎরা হিসাবে প্রদান করতাম অথবা যব, খেজুর, পনির ও কিসমিন থেকে এক ’ছা ’করে প্রদান করতাম (বুখারী, মিশকাত হা/১৮১৬’ছাদাক্বাতুল ফিতর’ অনুচ্ছেদ)এক ’ছা’ মানে ২.৫ কেজি , ২৫০০কিলোগ্রাম বা আড়াই কেজি ”জন প্রতি” কোন কোন মোহাদ্দ্বীস এর মতে এক 'ছা'= ৩ কেজি । সুতরাং বাংলাদেশের প্রধান খাদ্য হিসাবে চাউল দ্বারা ফিৎরা প্রদান করাই শরী’আত সম্মত। টাকা -পয়সা দ্বারা ফিৎরা প্রদান করার কোন প্রমান নেই। রাসুলুল্লাহ (ছাঃ) এর যুগে সোনা-রুপার মুদ্রা বাজারে চালু থাকা সত্ত্বেও তিনি খাদ্যবস্তু দ্বারা ফিৎরা দিয়েছেন এবং ঈদগাহের উদ্দেশ্যে বের হবার পূর্বেই তা জমা করার নির্দেশ দিয়েছেন।
(বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/১৮১৫-১৬, ছাদাক্বাতুল ফিতর ’ অনুচ্ছেদ)। আজও সৌদিআরব সহ সকল আরব দেশের মুসলমানগন তাদের খাদ্য দ্বারা ফিৎরা দিয়ে থাকেন।
ফিৎরা প্রদানকারীকে মনে রাখতে হবে, সে ও তার পরিবার যে মানের ও যে দামের চাল খান, সে মানের ও সে দামের চাল দিয়ে ফিৎরা দিতে হবে, এর চেয়ে কম দামের চাল দিয়ে ফিৎরা দেয়া যাবে না। আপনার ঘরে যে কাজের লোকটি আছে তার ফিৎরা ও আপনাকেই দিয়ে দিতে হবে।
আরো মনে রাখতে হবে, ঈদের আগের দিন জন্ম নেয়া শিশু (মানে ঈদের দিন যার বয়স ১ দিন এবং ঈদের নামাজের পূর্বে যে শিশুর জন্ম হয়েছে) তার ও ফেৎরা দিতে হবে।
বিঃদ্রঃ ফিৎরা প্রদানকারী খাদ্যবস্তু দিয়ে ফিৎরা দিবে এবং ফিৎরা গ্রহণকারী ইচ্ছা করলে সে খাদ্যবস্তু নিজে পরিবার সহ খেতে পারেবে অথবা আংশিক বা পুরুটাই বিক্রি করতে পারবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।