ছাগু তোষণ নীতি নির্ভর মডারেশন প্রক্রিয়াকে ধিক্কার জানাই. ব্লগের এক কোনায় জেনোসাইড বাংলাদেশের লোগো ঝুলিয়ে ছাগু তোষণ নীতির নামে ভন্ডামি বন্ধ করুন... নইলে এই মডারেশন নীতি নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে থাকার নাটক বন্ধ করুন.. ব্লগ পর্যবেক্ষনে, আপাতত শুধু কমেন্টাই..
পর্ব : ৩ -- বাগেরহাট
পর্ব : ৪ -- বগুড়া
------------------------
বগুড়া যাবার কোনো প্লান ছিলোনা এই মাসে। ঝামেলা লাগাইলো শামসীর ভাই বেহুলার বাসরঘরের পোষ্ট দিয়া। আরও আগে অপসরা আপুর উত্তরবঙ্গে ঘুরাঘুরির পোষ্ট, ব্যাস মাথায় ঢুইকা গেলো উত্তরবঙ্গ কয়দিন পরে দেখি বসের মেইল, বগুড়ার চাইরপাশে একগাদা কাম পড়ছে, আমারে আর পায় কে
যাবার ইচ্ছা আছিলো সোহাগ বিজনেস ক্লাসে, কলাবাগানে গিয়া কলিগ শুনে বগুড়ায় হেগো গাড়ি নাই শেষ মেষ গ্রীনলাইনেই ভরসা রাখলাম
একে তো লারেলাপ্পা প্রাচীন আমলের ভলভো আর তার উপরে কয়দিন আগে শুনছিলাম এদের একখান ভলভো নাকি যমুনা ব্রীজের উপ্রে আগুন লাইগা পুইড়া গেছিলো -- সব মিলায় হালকা আতংকের উপ্রে আছিলাম তয় যমুনা ব্রীজটাও যখন পার হয়ে গেলাম তখন কেমন যেনো ভালো লাগা ভালো লাগা শুরু করলো তবে ফুড পার্কে গাড়ি থামাইতেই মেজাজ খারাপ হয়া গেলো, হাইওয়ে হোটেলে থামছি আর কিছু খাইতে পারতাছি না
কি আর করি, খাওনের চিন্তায় তাও তো রোজা একটু শক্ত হইলো মন খারাপ নিয়া বাসে উইঠাই দিলাম ঘুম আর চোখ খুইলা দেখি শেরপুর পার হয়ে গেছি। ভালোয় ভালোয় নামলাম বনানীতে, পর্যটন মোটেলের সামনে।
আমরা গেছিলাম তিন জন, এগো নাকি সব ডাবল রুম, ট্রিপল কিংবা সিঙ্গেল রুম নাই কি আর করা গিয়া উঠলাম নর্থওয়ে মোটেলে।
এইখানে সিঙ্গেল, ডাবল, ট্রিপল -- সব রকম রুম আছে
অফিসের কাম কাজ কইরা বিকালে গেলাম মহাস্থানগড়ে... প্রাচীন পূন্ড্রনগরীর আড়াই হাজার বছর আগেকার শহর। সারাদিন জার্নি, কাজ কাম, রোজা - সব মিলিয়ে সবাই কাহিল। তাই বেশী ঘুরাঘুরি হয় নাই তবে মেজাজ গরম লাগছে জাদুঘর বন্ধ দেখে, ৫টায় বন্ধ হবার কথা ওরা পৌনে পাঁচটাতেই গেট লাগায় চলে গেছে
গোবিন্দ ভিটাতেও যেতে পারি নাই, গেট বন্ধ ছিলো আফসোসের মাথা খেয়ে ফেরার পথে গেলাম বেহুলা - লখিন্দরের বাসর ঘর দেখতে। সেই যে এক বেশরম সাপে হেগো লোহার বাসরে ঢুইলা বেরসিকের মতো লখিন্দররে কামড় দিয়া গেলো.... নিচের ফটুক দিলাম... একটাই আফসোস বেশরম সাপটার কোনো ফটু পাইলাম না
এইখানে দেখা তিনটা পিচ্চি গাইডের লগে। বিশটাকা দিয়া ইতিহাসের বই আর মাত্র পাঁচ টাকা দিলেই এরা বই এর বেহুলা লখিন্দরের গল্প বলে দিতে পারে গল্পটা শুনা হয় নাই, এমনি চকলেট খাবার জন্য পাঁচ টাকা দিয়ে পেলাম এই ফটো...
ফেরার পথে বিখ্যাত লালমিয়ার কটকটি কিনে শহরে ফিরলাম.... চালের গুড়ার কটকটি, মন্দ না খেতে
আকবরিয়ায় ইফতারি করে আবার কাজে ফেরত গেলাম.... সারা সন্ধ্যা কাজ করে অনেক রাতে ফিরে হোটেলেই সেহেরী।
পরদিন সকালে গেলাম দই কিনতে, পাবনায় যাবো কলিগের বাসায় তার জন্য। এশিয়ার দই সবচেয়ে ভালো (তবে শেরপুর হলো অলটাইম গ্রেট, বগুড়ায় শেরপুরের টেষ্টটা আসে না), তবে আদি মহররম আলিও খারাপ না
সব শেষে সাত রাস্তা ছেড়ে আবার রাজপথে... এবারের গন্তব্য নাটোরের রাজবাড়ি... তবে সেই গল্প আরেকদিন
পর্ব : ৫ -- নাটোরের রাজবাড়ী হয়ে পাবনার পথে
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।