এ মানচিত্র জ্বলছে জ্বলুক এই দাবানল পোড়াক চোখ আমার কাছে দেশ মানে এক লোকের পাশে অন্য লোক........
কথা সত্য
ব্লগাইতে ব্লগাইতে অভ্যেস খারাপ হয়েগেসে।
কিছু একটা পড়লেই তার লেখকরে দুটা কথা বলতে মনে চায় আর কী !
তার ধারাবাহিকতায় এই লিখা
জাফর ইকবাল এর ইরাকাস পড়লাম, ইরাকাস এর ভুমিকা পড়ে গ্রীক ইরাকাসের কাহিনী পড়তে ইচ্ছে করতেসে, ব্লগে কেউ কী লিখবে ?
অনেক দিন পড়ে একটা সায়েন্সফিকশন অনেক ভালো লাগলো। আন্তমহাকাশীয় যুদ্ধ, কৃত্রিমবুদ্ধিমত্তা ইত্যাদির পড়ে পড়ে কিছুটা ক্লান্তই হয়ে পড়েছিলাম। বইটা খুব ভালো লেগেছে, তবে শেষটা শুরুর মতন হয়নি, মনে হয়েছে বেশ তারাহুরো করেই লিখাটা শেষ করেছেন। আর একটা কথা হোলো কোন মেয়ের জরায়ুই বোধয় এরকম শংকর ভ্রুন ধারন করার জন্য প্রস্তুত না, কৃত্রিম গর্ভাশয় দেখালে ভালো হোতো।
আরেকটা বই পড়লাম মেয়েটির নাম নারিনা , সেনাবাহিনীকে সূক্ষ বাশ দেয়ার চেষ্টা করেছেন কিন্তু কথা হোলো যাদের বাশ দিলেন তারা এই লিখা পড়বে না আর যদিও পড়ে এত সূক্ষ বাশ বোঝার মতন সূক্ষ মষ্তিস্ক বোধয় নাই।
যাই হোক এই বই যে আমার খুব ভালো লাগসে তা না, তবে এই বইয়ের একটা ব্যাপার আমার খুব মন ছুয়েগেসে সেটা হোলো মামার গল্প বলার ব্যাপার টা, আমি ছোটবেলায় আমার বড় মামার কাছে গল্প শুনতাম, আমার বড় মামা অবশ্য গল্প বানাতো না , সে ঘুরে ফিরে একটা গল্পই বলতো এক অলস ছেলের গল্প, যে পিঠা গাছে বসে পিঠা খায়.....। মনে নাই পুরোটা। বানায় বানায় গল্প বলতো মামনি, কত গল্প যে বলতো এখন আর মনে নাই , তবে একটা গল্প একটু একটু মনে আসে আমাদের সব ভাই বোনেরই খুব প্রিয় ছিল গল্পটা এরকম যে বাংলাদেশের এক ব্যাং এর সখ হইছে আমেরিকা যাবে, সে অনেকদিন পাসপোর্ট - ভিসার জন্য ঘোরাঘুরি করলো কিন্তু ব্যাঙরে কেউ ভিসা দেয় না তখন ব্যাঙ ঠিক করলো যেসব ব্যাঙ রপ্তানী করা হয় সে ঐসব ব্যাঙের ঝাকায় লুকায় থাকবে (ব্যাঙ আদৌ রপ্তানী করা হয় কি না, আর হইলেও ঝাকায় কইরা করে কিনা সেই প্রশ্ন আমার মাথায় আসে নাই), ঝাকায় করে ব্যাঙ আমেরিকা গেলো কিন্তু আমেরিকায় গিয়া ঠান্ডায় সর্দি লেগে গেলো সেই ব্যাঙ গেলো ডাক্তারের কাছে, মহিলা ব্যাঙ ডাক্তার সে তো ব্যাঙরে দেইখা অবাক হয়ে বললো ও মা তুমি ন্যাংটা কেন ? (আমেরিকার ব্যাঙরা নাকি জামা-কাপড় পরে ......, আর মনে নাই, তবে এই গল্পের সবচেয়ে আকর্ষনীয় অংশ ছিলো একটা পর্যায়ে বাংলা সিনেমার মতন ঐ ব্যাঙ ডাক্তার একটা গান গায়--"ও ব্যাঙ তোমার স্বর্দি হলে নাক মোছ কোন রুমালে, কে দেয় তোমায় বিছান পেতে সন্ধে বেলা ঘুমালে" এই গানটা মামনি গেয়ে শোনাইত।
ব্যাঙ নিয়ে আরেকটা গল্প বলতো সেটা হোলো কোন এক স্কুল/কলেজে প্র্যাকটিক্যাল ক্লাসে প্র্যাকটিক্যাল করার জন্য এক ছেলে গ্রাম থেকে ব্যাঙ নিয়ে আসছে, কিন্তু ব্যাঙ পলাইছে পলাইলে কী হবে সে তো শহরে আর ব্যাঙ খুঁজে পায় না এদিকে রাস্তাও চিনে না তার এডভ্যান্চার নিয়ে একটা গল্প সেটাও মনে নাই।
ঐদিন মামনিরে ফোনে জিজ্ঞেস করলাম সেও নাকি ভুলে গেসে। আফসোস
আরেকটা বই পড়লাম হুমায়ুন আহমেদের মিসির আলী আপনি কোথায়
বই এর নাম করন স্বার্থক। মিসির আলীর সেই তীক্ষ্ণতা খুজে পেলাম না, এই রকম গাজাখুরি গল্প মিসির আলীর নামে না চালালেও চলতো। মিসির আলীর আরো কিছু অমিমাংসিত রহস্য আছে যেমন নিষাদ সেই বইটা কিন্তু আমার খারাপ লাগেনাই, আবার পড়লাম বইটা আবারো ভালোই লাগলো মানে আমার বয়স টা ফ্যাক্টর না বরং হুমায়ুন আহমেদ ই বুড়া হয়ে গেসে, বা তার এত সময় নাই চিন্তা করার সো সে মিসির আলী লিখা ছেড়ে দিলেই পারে, মিসির আলীরে পচাইয়া কী লাভ।
হুমায়ূনের আরেকটা বই পড়লাম বাদল দিনের দ্বিতীয় কদম ফুল।
আমার ভালো লাগে নাই কিন্তু আমার ফার্স্ট ইয়ারে পড়া কাজিনের খুব ভালো লাগসে, একসময় আমিও হু আ এর সব বই মুগ্ধ হয়ে পড়তাম, এখন অনেক বই ই বিরক্তিকর লাগে সেটা যেমন সত্য এক সময় মুগ্ধ হতাম সেটাও সত্য। হুমায়ূন আহমেদ আপনি বাদল দিনের দ্বিতীয় কদম ফুল টাইপ বই লিখুন, হিমুকে নিয়েও লিখুন, কিন্তু আপনার জগৎ বোধয় ছোট হয়েগেছে, নুহাশ পল্লী আর সেখানে আপনাকে ঘিরে রাখা মানুষদের নিয়েই বোধয় আপনার জগৎ কিন্তু মিসির আলী লিখতে হলে বোধয় জগতের পরিধী বাড়ানো দরকার, তাই মিসির আলীকে পচানো বন্ধ করুন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।