আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এখন আর জীবনের ১২টা বাজেনা, সরাসরি ১টা বাজে।



আগেকার দিনে গ্রাম বাংলার মানুষ হজ্বে যাব না বলে অনেকেই বলত পশ্চিমে যাব। ত একদিন এক ফকির নিয়মিত চাল নেয়ার বদলে বাড়ি বাড়ি গিয়ে কিছু টাকা চাইল আর সবাইকে বলল আমি পশ্চিমে যাব, আমাকে কিছু সাহায্য করেন। পশ্চিমে যাবে এত খুবই ভাল কথা, সবাই যার যার মত তাকে সহায়তা করে যেতে লাগল । ত এই ভাবে ব্যাস কিছু দিন যাবার পর এল পশ্চিমে তথা হজ্বে যাবার সময়। সবাই ভাবল ফকির হজে যাবে তাকে দেখে আসা দরকার।

গ্রামের মুরুব্বিরা দল বেধে তার বাড়িতে গেল। গিয়ে দেখে ফকির ঘরের বেড়া চাল ইত্যাদি নতুন করে বাঁধছে। কি ব্যপার , তুমিনা পশ্চিমে যাবার কথা ? ফকির -- জি পশ্চিমেই ত আইছি। আগে পূবের ভিটে ছিলাম ইবার পশ্চিমের ভিটে আইছি। আপনেরা সকলে সাহায্য করনে আমার উপকার হইছে খুব।

মিছা কইয়াত লাভ নাই, তই সত্য কথা কইয়াই আপনেগর কাছথেকে টাকা আনছি। দোয়া কইরেন মাতবর সাব পরে আরও পশ্চিমে যাব আশা রাখি। আহাহা ফকির, কি দেখাল ফকিরি। ফকিরের বুদ্ধির কাছে হার মেনে সকলে বিরস বদলে বাড়ি ফিরে এল। এর নাম হল পশ্চিমে যাওয়া।

১২ হাত পশ্চিমে। সত্য একেবারে সত্বচারিতা। ঠিক আমাদের গণতান্ত্রিক দেশের গণ্যজনগের মত। এইবার লালন ফকিরে একখান গানের কথা বলি। তিনি বলেছিলেন তোরা কেও যাসনে ও পাগলের দেশে।

পাগলের সঙ্গে যাবি পাগল হবি বুঝবি শেষে তোরা কেও যাসনে ও পাগলে দেশে। জানিনা তিনি কোন পাগলের কথা বলেছিল। তবে আমরা যে পাগলের দেশের বাসীন্ধা আর আমাদের রাজারা যে কত বড় আহাম্মক হন তা বহুকাল ধরে অনুধাবন করে আসছেন এদেশের আম, কাঠাল, আর কলা জনতা। তবে আমরা জনতারা যতই সরকারকে আহাম্মক ভাবি সরকার কিন্তু আমাদেরকে ছাগল আর মুরগি ছাড়া কিছু ভাবেনা। আমরা হলাম জবাইয়ের যোগ্য।

যতই জবাই করুক আমের মত রসালূ আমরা কাঠালের আঠার মত তাদের কে ক্ষমতার চেয়ারে আঠালাগাইয়া রাখুম এইটা তারা ভালাকইরাই জানে। আর কলার মত চামরা ছিলাইয়া আমাদের খেতেহয় এটাও তারা জানে। সুতরাং তাদের দৃষ্টিতে আমরা আহাম্মক আর আমাদের দৃষ্টিতে তারা। সুতরাং পুরা দেশটাই আহাম্মকে ভরা। তবে এইবারের ডিজিটাল সরকার ইনাদের এনালগ আমলা, জামলা, সাংগ, পাঙ্গ ইত্যাদির পেচে পইরা সত্যই আহাম্মক বনেগেছে।

তাহাদিগের "কাল" মানে সময় খুব খারাপ যাইতে লাগল । বিদ্যুত থাকেনা পানি নাই গ্যাস নাই ইত্যাদি ইত্যাদি। আবার একদিকে স্বদেশ মন্ত্রীর বড়সাইজের বাণীর বাণ আর কারবার মন্ত্রীর দ্রব্যমূলের ""দরদামের"" মত হুর হুর করে বৃদ্ধিপাওয়া অতিকথন দেশবাসিকে পিড়া দিতে লাগিল। দেশবসির জন্ত্রনা সরকারে প্রানে গিয়ে বিধিল। একসাথে সবই কলকলরবরব শুরু করে দিল "সময় বড় খারাপ যাচ্ছে আমাদের , কি করিব কি করিব।

" তখন মহান ইঁনি প্রস্তাব করিলেন সময় খারাপ ? কোন অসুবিধা নেই সময পাল্টাইয়া ফালাও, দিন বদল কর। দিন কে রাইত কর রাইতকে দিন। এটা আমাদের নির্বাচনী অঙ্গিকার। দেশবাসী দেখোক আমরা আমাদের ওয়াদা রক্ষা করেছি। তার পর সবই মিলে শুরুহল টানা টানি।

অনেক টনিয়া টুনিয়া এক ঘন্টা আনিল। ভাল করিল দিন বদলাইতে না পারিলেও ঘন্টা ত বদল হইল ! তবে কাজের কাজ কিছুই হলনা। দিনে আলো দিনেই সূয্যডুবার সাথে সাথেই ফুরায়। এযেন ঠিক পশ্চিমে যাবার মত। আগে বিদ্যুৎ গেলে আসত এখন গেলে আর আসেনা।

আগে জনজীবনের ১২টা বাজত এখন আর ১২ টা বাজেনা । এখন জীবনের ১টা বাজে । এতদিনে সরকারের ও ১টা বেজে গেছে। ইঁনারা বুঝে গেছেন যে ইনাদের টাইম আসলেই খারাপ যাইতেছে ভবিষ্যতে আরো ভারাপ হইতে পারে ইহাও অমূলক নহে। আর সময় বদলাইয়াযে বিন্দু পরিমানও লাভ হয়নাই তাহা বিদ্যুতের উৎপাদন এবং লোডসেডিং এর উঠানামা দেখলে অনুধাবন করা যায়।

তাই এইবার তাহারা ভাবিল == অন্যপথ ধরতে হবে, তাই স্বিদ্ধান্ত হল আগামি অক্টোবরে সময় আগের অবস্থানে টানিয়া আনিয়া তার পর টানিয়া টানিয়া কুট টাই জাতীয় কাপর খুলিতে হইবে। তবে এতে কত বিদ্যুত বাচিবে সেইটা বলিলেন না। অবশ্য না বলাটাই শ্রেয়, কারন আগের বার হিসারে যে গুল পাকাইছিল তা আর না ঘটলেই মঙ্গল। এমনি কক্ষণ কটা বাজে তার কোন হিসাব নাই।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।