আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নগরায়নে এক রূপসীর মৃত্যু

অনুমতি ব্যতিত কপি পেস্ট মারলে মাইরা ভূত বানাই হালামু… আমার মাথায় সমস্যা থাকতে পারে… অনেক অনেক আগের কথা। এক ছিল এক ছোট্ট অদ্ভুত সুন্দর গ্রাম। গ্রামের মানুষগুলাও ছিল সুন্দর, সহজ সরল আর “স্বাধীন”। করত চাষাবাদ আর পশুপালন। চারদিকে পানির মধ্যে ছোট ছোট দীপএর মত ছিল তাদের ঘরগুলা।

আর ছিল একটা মন্দির আর পানির তীর ঘেঁসে একটা শ্মশানঘাট। পূজা আর নানা সময়ে বসত মেলা। রঙ্গিন হয়ে উঠত পুরা গ্রামটা। খুব সুখেই জীবনযাপন করতেসিল তারা। কিন্তু তাদের এই সুখ বেশিদিন তিক্তে দিলনা এক খুব স্বার্থপর “রাক্ষস শ্রেণী”।

হামলা চালাল। পেশীশক্তি আর কূটকৌশলতায় খেয়ে ফেলতে লাগল গ্রামটার একের পর এক অংশ। ঘরবাড়ি শ্মশানঘাট গুড়িয়ে দিয়ে তারা নিজেদের জন্য তৈরি করতে লাগল একের পর এক কনক্রিটএর দানব! শেষের দিকে মন্দির সহ কিছু জায়গাজুরে তারা শেষ আশ্রয় নিয়ে টিকে ছিল বছরখানেক। অনেকটা “মিথোজীবী” এর মত হয়ে গেসিল। কিন্ত “রাক্ষস” দের তখনও খুদা মেটেনি।

একদিন সকালে হটাত আক্রমণে সব শেষ করে দিল। বিরাট বিরাট দানব নিয়ে এসে গুড়িয়ে দিতে লাগল শেষ আশ্রয়গুলো। শেষ হোল গ্রামটা চিরতরে। আর “উদ্ভাস্তু” মানুষগুলা চলে গেলো অন্যত্র কথাও... এইটা খুব সমসাময়িক একটা কাহিনী... গ্রামটার নাম “চাকুলি”। আর “শ্রেণী” টা হোল আর্মি! পুরাটাই যদিও শোনা কথা তাও কই, গ্রামবাসীর নাকি এখনও ৪০ বছর হইতে কিছুদিন বাকি ছিল, তাই তাদের লাত্থি মারতে তেমন কষ্ট হয় নাই! আর তাদের নাকি পুনরবাসনএর বাবস্তাও করা হয় নাই।

কয়েকদিন আগে আমার চোখের সামনে আহত গ্রামটার মৃত্যু হোল! কিন্তু আমার কিছুই করার ছিলনা। কারন আমরা সব মুখবন্ধ “পুতুল”। যেভাবে নাচাই সেভাবেই নাচি। কি করব? কথামত না নাচলে তো মঞ্চেই আস্তে পারব না! শেষ কথা, নির্বাক প্রতিবেশীর মত গ্রামের মানুষগুলো আর টঙয়ের পাশে দারিয়ে চা খাউয়াটা খুব খুব খুব বেশি মিস করতেসি! ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.