যখন বিকাল হতে থাকে, হতে হতে সূর্যটা ঢলে পড়ে, পড়তে থাকে
আমি স্বাভাবিক থাকার চেষ্টা করছি। যদিও জানি এমন অবস্থায় স্বাভাবিক থাকা সম্ভব নয়। কিন্তু এখন হেসে ফেললে এর পরে কাঁদতে হবে নির্ঘাত। সেজন্য আবার অগ্রিম কান্নাও পাচ্ছে। মুখ হা হলে কান্না নাকি হাসি কি বের হবে নিশ্চিত নই।
হাসলে চাকুরী যাবে সেটা না হয় আন্দাজ করা যায় কিন্তু কাঁদলেও কি যাবে, বলতে পারছি না।
রাগী একজন ডিরেক্টরকে ফোন করেছে জনৈক বিরক্তিকর কলার, দাবী অভিনব, তার নাম জংগীদের কাছে পাঠিয়ে দেবে যদি সে চাকুরী না দেয়। গোল টেবিল বসেছে তাই নিয়ে চারকোনা টেবিলে। সেজন্য কলিগের প্রথম থেকেই টিপ্পনী..কানে কানে বলছে, বস যে বললো গোলটেবিল বৈঠকের কথা...ধমকে ঠান্ডা করলেও দুটো দাঁত ঠিকই বের হয়ে গেছিল। ভাগ্যিস ডিরেক্টর তখন মোবাইলের ভেতর দিয়ে কলারকে দেখার চেষ্টা করছিলেন।
র্যাবকে ফোন করে কোন লাভ নেই এমন আলাপ শেষে যখন ফোন কোম্পানীতে পরিচিত কেউ আছে কিনা তাই খোঁজা হচ্ছিল তখন কলিগ বললো, আমারও কিন্তু এমন একটা ঘটনা ঘটেছিলো বছর দুই আগে।
ডিরেক্টর মহাশয় অতি উৎসাহী হয়ে বললো, জংগীদের কাছে নাম দেবার হুমকী দিয়েছিলো!
তাছাড়া আর বলছি কি স্যার!
তারপর তারপর আপনি কি করলেন?
আমি খুব সহজেই সমাধান করে ফেলেছি। এরপরে আর কখনই আমাকে ফোন করে ডিস্টার্ব করতে পারে নাই।
ডিরেক্টর পারলে গোলটেবিল বৈঠককে বাইল্যাটারাল বৈঠক বানিয়ে ফেলে। কি করলেন? কি করলেন? উদগ্রীব জিজ্ঞাসার ধ্বনি নিষ্কাশিত হলো বসের কণ্ঠ থেকে।
মনে হলো ট্যানেলের শেষ মাথায় এক বিন্দু আলোর সরিসৃপ।
ভেরী সিম্পল! কলিগ বললো। সাথে সাথে আমি মোবাইলের সিমটা ফেলে দিয়েছি!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।