"অভিজ্ঞতা ও পরিশ্রম কখনো মানুষের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেনা" এস এস সি ২০১৩ সালে যারা এ + পেয়েছে তাদের জন্য ডাচ বাংলা ব্যাংক প্রতি বছরের ন্যায় এবারও শুরু করেছে উপবৃত্তি প্রদান কার্যক্রম। এ বিষয়েই আজকে আমি আমার অভিজ্ঞতা ও বর্তমানে প্রতিটি জেলাই ই সেবা কার্যক্রমের একটা চিত্র তুলে ধরব। তো তাহলে আল্লাহর নাম নিয়ে শুরু করা যাক।
আমার ভাতিজা এবার এস এস সি তে জি পি এ ৫ পেয়েছে। যেহেতু এ প্লাস প্রাপ্তদের ডাচ বাংলা ব্যাংক উপবৃত্তি দিচ্ছে।
তাই আমি ওকে নিয়ে গেলাম আমাদের আব্দালপুর ইউনিয়ন কমপ্লেক্সে । তো সেখানে গিয়ে দেখি দফাদার চকিদার সবাই নাক ডাকিয়ে ঘুমাচ্ছে। দেখেতো কেমন কেমন লাগছিলো তবুও ধুকে গেলাম কমপ্লেক্সের মধ্যে। গিয়ে সালাম দিতেই ভালো সাড়া পেলাম, মনের মধ্যে একটু স্বস্তিও পেলাম। প্রথমে সালাম দিলাম যিনি ই সেবা কেন্দ্রের উদ্যোক্তা থাকে তাকে, তাকে বললাম আচ্ছা আমাকে কি বলবেন যে ডাচ বাংলা ব্যাঙ্কে যে উপবৃত্তি দিচ্ছে সে সম্পর্কে।
তিনি বললেন প্রথমে ডাচ বাংলা ব্যাঙ্কের উপবৃত্তির ফরম সংগ্রহ করতে হবে তারপর তার সাথে নিম্নোক্ত বিষয়গুলো সংযুক্ত করতে হবে-
• এস এস সির মার্ক শিট ( আপাতত অনলাইনের টা হবে তবে সেটা প্রধান শিক্ষকের সত্যায়িত)
• নাগরিক সনদপত্র
• আয়ের সনদপত্র
• প্রশংসাপত্র
• ছবি
তারপর ঐ ব্যাংক যে পত্রিকাই সার্কুলার দিয়েছে সেই পত্রিকার নামসহ সেখানে যে ঠিকানা আছে সেই ঠিকানাই পাঠাতে হবে কুরিয়ার এর মাধ্যমে। ( তবে খেয়াল রাখতে হবে আয়ের সনদপত্রে সঠিক আয়ের পরিমাণ যে দেওয়া থাকে কেননা এই উপবৃত্তি শুধুমাত্র যারা গরিব ও মেধাবী ছাত্র তাদের জন্য। )
সর্বশেষ বাছাই প্রক্রিয়া শেষ হলে উক্ত ব্যক্তি পাবে উপবৃত্তির টাকা।
ও যে কথা বলছিলাম বর্তমানে ই সেবা কেন্দ্রের অবস্থা অনেক ভালো যে অবস্থা দেখলাম তাতে মনে হলো সরকার আর যাই করুক না কেন এই সরকার প্রযুক্তি বান্ধব।
আপনাদের এলাকার ই সেবা কেন্দ্রের অবস্থা জানান।
ধন্যবাদ ধৈর্য ধরে পড়ার জন্য সবাই ভালো থাকবেন।
আল্লাহ হাফেয...
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।