রোববার বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান টোকিও ইলেকট্রিক পাওয়ার কোম্পানি (টেপকো) বিষয়টি জানিয়েছে।
দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে ব্যাপক প্রচেষ্টা সত্ত্বেও দূর্ঘটনা কবলিত পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি, উচ্চমাত্রার তেজস্ক্রিয় শনাক্তের ঘটনা এ বিষয়টিকেই স্পষ্ট করে তুলেছে।
শনিবার একটি ট্যাঙ্কির নীচের দিকে এই তেজস্ক্রিয়তা শনাক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে টেপকো।
২২ অগাস্ট এই ট্যাঙ্কিটিতে প্রতি ঘন্টায় একশ মিলিসিভার্ট তেজস্ক্রিয়তা শনাক্ত করা হয়েছিল।
জাপানি আইনে স্বাভাবিক সময়ে একটি পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কর্মীদের জন্য বছরে ৫০ মিলিসিভার্ট তেজস্ক্রিয়তার মাত্রা নিরাপদ হিসেবে নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে।
গত মাসে এই ট্যাঙ্কি থেকে পানি চুঁইয়ে পড়ার কথা স্বীকার করেছিল টেপকো। এরপর জাপানের নিউক্লিয়ার তদারকি সংস্থা বিপদের মাত্রা আন্তজার্তিক পরিমাপে লেভেল-১ (অস্বাভাবিক) থেকে লেভেল-৩ (মারাত্মক অবস্থা) পর্যন্ত বৃদ্ধি করেছিল।
বিকিরিত তেজস্ক্রিয়তাটি বিটা রশ্মির নিঃসরণ বলে জানিয়েছে টেপকো। গামা রশ্মির চেয়ে এই রশ্মিটি প্রতিরোধ করা অপেক্ষাকৃত সহজ।
বড় ধরনের ভূমিকম্পের পর সৃষ্ট সুনামির আঘাতে ২০১১ সালের ১১ মার্চ জাপানের রাজধানী টোকিওর উত্তরে ফুকুশিমা দাইচি নামের এই নিউক্লিয়ার বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি বিধ্বস্ত হয়।
এতে কেন্দ্রের তিনটি পরমাণু চুল্লির পরমাণু জ্বালানী গলে য়েয়ে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।
এতে বাতাস, পানি ও খাবারে তেজস্ক্রিয় দূষণ ছড়িয়ে পড়ে। দূর্গত স্থান থেকে ১ লাখ ৬০ হাজার মানুষকে সরিয়ে নিতে হয়।
এর ২৫ বছর আগে ইউক্রেনের চেরনোবিলে সংঘটিত ভয়াবহ নিউক্লিয়ার দূর্ঘটনার পর এটিই সবচেয়ে ভয়াবহ নিউক্লিয়ার দূর্ঘটনা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।