এই ব্লগে জামাত-শিবির শুয়োরের বাচ্চারা ভুলেও নাক ডুবানোর চেষ্টা করবি না
সম্প্রতি চীন সরকার জ্বালানি সাশ্রয়ী ও পরিবেশ রক্ষার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে। জ্বালানি সাশ্রয়ী পণ্য চীনের বাজারে এখন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। বেইজিংয়ে জ্বালানি সাশ্রয়ী গাড়ি, বাতি, স্থাপত্য ও হিটিং সরঞ্জামসহ বিভিন্ন জ্বালানি সাশ্রয়ী পণ্য প্রতিটি পরিবারেই বলতে গেলে ব্যবহার করা হচ্ছে।
মাদাম চাও রুই বেইজিংয়ের হাই থিয়েন এলাকায় থাকেন। এ বছরের প্রথম দিকে তিনি হ্যায়ার কোম্পানির উৎপাদিত জ্বালানি সাশ্রয়ী একটি ফ্রিজ কিনেছেন।
এ ফ্রিজ সম্পর্কে তিনি বলেন, "এ বছরের প্রথম দিকে আমি এ ফ্রিজ কিনেছি। এর আগে আমি বিদেশের ফ্রিজ কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কিন্তু হ্যায়ার কোম্পানির উৎপাদিত জ্বালানি সাশ্রীয় পণ্য বাজারে এসেছে। আমার পরিবারে একটি পুরোনো ফ্রিজ ছিল। সে ফ্রিজটিতে প্রতিদিন দু'ইউনিট বিদ্যুতের প্রয়োজন হয়।
জ্বালানি সাশ্রয়ী ফ্রিজে প্রতিদিন মাত্র ০.৪৫ ইউনিট বিদ্যুৎ লাগবে। বিদ্যুৎ সাশ্রয় করার পাশাপাশি আমরা পয়সাও সাশ্রয় করেছি। "
জ্বালানি সাশ্রয়ী পণ্য ব্যবহৃত হলে পরিবেশ রক্ষার জন্য অনুকূল হওয়ার পাশাপাশি জনসাধারণের ব্যয়ের পরিমাণও কমবে। সেজন্য অনেক কোম্পানি এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে জ্বালানি সাশ্রয়ী পণ্য উৎপাদনের কাজ জোরদার করছে।
পারিবারিক ক্ষেত্র ছাড়াও বেইজিংয়ের বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানে জ্বালানি সাশ্রয়ী পণ্যের ব্যাপক ব্যবহার হচ্ছে।
অনেক শিল্পপ্রতিষ্ঠান জ্বালানি সাশ্রয়ী পণ্য ব্যবহার করে এবং জ্বালানি সাশ্রয়ের লক্ষ্যে প্রযুক্তিগত সংস্কার শুরু করে দিয়েছে।
বেইজিংয়ের শি চিং শান এলাকায় একটি হিটিং ব্যবস্থাপনা কোম্পানি জ্বালানি সাশ্রয়ী কাজ শুরু করেছে। গত শীতকালে এ কোম্পানি বিদ্যুত সাশ্রয়ের জন্য তার হিটিং সরঞ্জাম নবায়ন করেছে। জ্বালানি সাশ্রয়ী প্রযুক্তি ব্যবহারের পর ২০০৮ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত ৩০ শতাংশ বিদ্যুৎ সাশ্রয় হয়েছে। এ কোম্পানির একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা থিয়েন খে লি বলেন, আমাদের তিনটি জলশক্তিচালিত চাকাওয়ালা পাম্পে জ্বালানি সাশ্রয়ী প্রযুক্তি ব্যবহার করেছি।
ইতোমধ্যেই এতে সাফল্য দেখা দিয়েছে। গত শীতকালে আমরা ১৭ লাখ বর্গমিটার এলাকার হিটিং প্রদান করেছি। তাতে ৬ লাখ ইউয়ান মূল্যের বিদ্যুৎ সাশ্রয় হয়েছে। এ বছর আমরা জলশক্তি চালিত চাকাওয়ালা পাম্পের আবারও উন্নয়ন করবো। আমাদের মনে হয়, প্রতি তিন বছরে ৫ থেকে ১০ শতাংশ বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে পারলে ভালো হয়।
তাছাড়া, বেইজিংয়ে গণ পরিবহণ ও ট্যাক্সি এবং অন্যান্য শিল্পপ্রতিষ্ঠানও জ্বালানি সাশ্রয়ের দলে যোগ দিয়েছে। ৫০ হাজার অযোগ্য গাড়ি বাদ দেয়া হয়েছে। জানা গেছে, এ বছরের মধ্যে বেইজিংয়ে এক হাজার নতুন জ্বালানি চালিত বাস কেনা হবে এবং একটি পরিবেশ রক্ষক গণপরিবহণ দল প্রতিষ্ঠিত হবে।
২০০৮ সালে বেইজিংয়ের বিভিন্ন এলাকায় ভোক্তা জ্বালানির পরিমাণ অনুযায়ী বেইজিংয়ের অর্থনৈতিক উন্নয়নশীল এলাকায় এ সংখ্যা ০.০৩শতাংশ বেড়েছে। অন্য ১৮টি এলাকায় এ সংখ্যা কম বা বেশি মাত্রায় হ্রাস পেয়েছে।
স্থানীয় সরকারের উদ্যোগে জ্বালানি সাশ্রয়ী পণ্য ব্যবহারের কারণে ভোগ্য জ্বালানির পরিমাণ হ্রাস পেয়েছে। কিন্তু জ্বালানি সাশ্রয়ী পণ্য সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে কিছু সমস্যার সম্মুখীনও হতে হয়েছে। এর মধ্যে জ্বালানি সাশ্রয়ী বাতি সম্প্রসারণের কাজ ধীর গতিতে এগুচ্ছে। বেইজিং বিশ্ববিদ্যালয়ের চীনের অর্থনীতি সংক্রান্ত গবেষণা কেন্দ্রে কর্মরত থাং মিন বলেছেন, জ্বালানি সাশ্রয়ী বাতির দামের কারণে এ পণ্য সম্প্রসারন করা খুব কঠিন। তিনি বলেন, 'জ্বালানি সাশ্রয়ী বাতির দাম ২০ ইউয়ান থেকে পাঁচ বা চার ইউয়ান কমানো হলে জনসাধারণ এ বাতি কেনায় উত্সাহিত হয়ে ব্যবহার করবে।
ফলে চীনে আরও বেশি বিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপন করার দরকার নেই। কিন্তু বর্তমানে ২০ ইউয়ান মূল্যের বাতি কে কিনবে?
সম্প্রতি এ সমস্যা সমাধানের জন্য বেইজিং সরকার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। এ বছরের শেষ ছ'মাস বেইজিংয়ে এক ইউয়ান মূল্যের এক কোটি বাতি সরবরাহ করা হবে। এ সব বাতি ব্যবহৃত হলে প্রতি বছর ২৪ কোটি ইউয়ান সাশ্রয় হবে।
বর্তমানে অনেক পরিবার জ্বালানি বাতি ও ফ্রিজসহ বিভিন্ন জ্বালানি সাশ্রয়ী পণ্য ব্যবহার করছে।
বেইজিংয়ের বিভিন্ন সড়কে জ্বালানি সাশ্রয়ী বাস ও ট্যাক্সিও দেয়া যায়। জনসাধারণের পরিবেশ রক্ষায় সচেতনতার উন্নতি হওয়ার পাশাপাশি জ্বালানি সাশ্রয়ী পণ্য আরও ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
তথ্যসূত্রঃ
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।