আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জামদানী'র কারিগর

তৃতীয় বিশ্ব নয়, বাংলাদেশকে দেখতে চাই প্রথম বিশ্বের কাতারে
সেদিন জন্মাষ্টমীর ছুটিতে ঘুরতে বেরিয়েছিলাম। যাওয়ার কথা ছিল শ্রীমঙ্গল, কিন্তু সহযাত্রীর অভাব এবং আবহাওয়া এ দুই মিলে শেষমেষ সে যাত্রা বাতিল করতে হল। কিন্তু তাই বলে ঘরে বসে থাকব? হতেই পারেনা। আমি আর আমার এক সহকর্মী এ দুজন মিলে ঠিক করলাম রূপগঞ্জ যাব। ব্যস যেই কথা সেই কাজ।

দুজন মিলে বেরিয়ে পড়লাম। আমরা খিলক্ষেত থেকে পূর্বাচলের রাস্তা ধরে গেলাম। কিছুটা টেম্পোতে, কিছুটা পায়ে হেটে, কিছুটা স্কুটার (বেবী টেক্সী) আবার সাথে নৌকায়ও চড়তে হল। রূপগঞ্জ যখন পৌছলাম তখন বৃষ্টি শুরু হল। খানিকটা ভিজলামও।

বৃষ্টিতে ভিজেই দেখলাম মুড়াপাড়া কলেজ। পুরনো জমীদার বাড়ীকে ১৯৬৬ সালে কলেজ হিসেবে ব্যবহার শুরু হয়। অসাধারন সুন্দর। কিন্তু সংস্কারের অভাবে জরাজীর্ণ। দেখে খুব কষ্ট হল।

কলেজ ভবন নিয়ে একটা পোস্ট দেয়ার আশা রাখি। কলেজ দেখে আমরা ছুটলাম জামদানী পল্লীর খোঁজে। শুনেছি ওখানে বেশ ক'টা জামদানী কারখানা আছে। তাই দেখতে ছুটে গেলাম। ওখানে মজার একটা অভিজ্ঞতা হল।

ওদের ধারনা হল আমরা নিশ্চই সাংবাদিক। আমরাও সেই মজাটা উপভোগ করলাম । সাংবাদিক নই এটা শুনলে হয়ত ওদের ছবি তোলার আগ্রহটা থাকতনা। তাই আমরা ওটা প্রকাশ করলামনা। কারখানার মালিকের সাথে অনেক কথা হল।

নানা খুঁটিনাটি বিষয়ে প্রশ্ন করলাম। ওনারাও বেশ আগ্রহের সাথেই উত্তর দিলেন। কারখানা ঘুরে আরও অবাক হওয়ার মত একটা অভিজ্ঞতা হল। কিছু কারখানায় দেখলাম বেশকিছু শিশু শ্রমিক কাজ করছে। কারও কারও বয়স ৭-৮ বছর হবে।

এই বয়সের একটা বাচ্চা কিভাবে জামদানীর মত এত জটিল একটা কাজ করছে তা না দেখলে বিশ্বাস করা যাবেনা। সবমিলিয়ে খুবই মজার একটা সময় কাটালাম।
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.