আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জীর্ণতা ছুড়ে ফেলে আসা; না কি পতিত হওয়া?

সময় হয়েছে আজ আড়মোড়া ভেঙে জেগে উঠার; দৃপ্ত শপথ করে সম্মুখে পা ফেলে ছুটে চলার চিরন্তন সত্য ও সুন্দরের পথে......

হেঁটে যাই বহু পথ। নত্রমণ্ডলীর আলোকে সাথী করে। কুয়াশা-ধোঁয়াশা ভেদ করে পৌঁছে যাই গন্তব্যে। পেছনে দৃষ্টি মেলে দিয়ে দেখি অতিক্রন্ত পথ ধারণ করে আছে চরণচিহ্ন। ঠিক যেন খোদাই করা কোনো শিল্পীর ভাস্কর্য।

ইঙ্গিত দিচ্ছে কেবলই ফেলে আসা পথের, পূর্ণতার। আমরা পূর্বেও মানুষ ছিলাম। বর্তমানেও আছি। এরইমধ্যে আমাদের মনুষত্য প্রতিনিয়তই পরিবর্তিত হচ্ছে। এগিয়ে যাচ্ছি ধ্বংস ও সৃষ্টির ভেতর দিয়ে।

কোথাও তীব্র ঝড়ে স্থবির হয়ে পড়ছে জীবন; আবার কোথাও ছুটে চলছে দুরন্ত ষাঁড়ের মতো জানা-অজানার বাঁকে। বিজ্ঞানের অগ্রগতির ফলে আমরা বর্তমানে আধুনিক পৃথিবীর বাসিন্দা। নিত্যনতুন অত্যাধুনিকতার ছোঁয়ায় পাল্টে যাচ্ছে জীবনপট। বৈচিত্রতায় ভরপুর আমাদের জীবন। নিজেদের বৈচিত্র করে তুলতেই আমাদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা স্রোতের মতোই প্রবাহমান।

ভেবে না ভেবেই আলো-আঁধারের মাঝেই মিশিয়ে দিচ্ছি জীবন; বর্তমান সময় থেকে অতীত সময় বিয়োগ না করেই। কেবল একদিকের দৃষ্টিপাতেই আমারা মুগ্ধ। ঠিক যেন আমাদের দ্বারা পূর্বে কোনো অপকর্মই হয়নি। ভুলে গেছি আমাদের গায়ে যে এখনো নগ্নতার চিহ্ন মিশে আছে। মিশে আছে প্রতি পরতে পরতে।

প্রাচীনকালে গাছের পাতা, ছাল-বাকল দিয়ে আধুনিকতায় উত্তীর্ণ আমরা লজ্জা নিবারণ করতাম। কাঁচা গোশত খেতাম। আজ আমরা সুসভ্যতার সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে কি দেখতে পাইনা সে সময়? হয়তো পাইনা। না পাবারই কথা। “দীর্ঘ দিনের সম্পর্কহীনতা যেমন শোকের তীব্রতাকে ভোঁতা করে দেয়” - তেমনি আমরা ভুলেগেছি প্রাচীন জীবনাচারণ।

ভুলে গেছি যে- “আমরা শুধু দ্রুত বেড়ে উঠি ক্ষয় হয়ে যাবার জন্যে”। প্রাচীন মানুষেরা গাছের পাতা, ছাল-বাকল দিয়ে লজ্জা নিবারণ করতো; আর আমরা আধুনিকতার ঝাণ্ডাধারীরা কি করছি? বর্তমানে আমাদের পোশাক কোন পর্যায়ে আছে? আমরা অতিক্রম করেছি না ফিরে যাচ্ছি সেই জীবনধারায়? আমাদের প্রাচীন মানুষের চেয়েওকি আমাদের কাপড়ের অভাব খুব তীব্র? তবে কি সীমাহীন নগ্ন পৃথিবীতে নগ্নতার চিহ্ন নিয়েই কি মিশে যাচ্ছি চির আধাঁরে? তবে কেনো আমরা সভ্যতার গর্বিতরা ব্যর্থ আস্ফালনে বলে উঠি হা- হতোম্বি???

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।