আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

লাংকায়ির বিচ ও কেবল কার (১):



এয়ার এশিয়ার লোভনিয় টিকেটের দাম দেখার পর বেশ অনেকদিন ধরেই পরিকল্পনা চলছিল মালায়শিয়া যাওয়ার। দেখতে দেখতে ৩ জনের দল ১৪ জনে পরিনত হলো। প্রথমে ১৫০ ডলারে রিটার্ন টিকেট করা হলেও একবার ডেট বদলানোর জন্য ফাইন সহ ৩০০ তে ঠেকলো দাম। নানা ঝামেলার শেষে ১০ জন আমরা রওয়ানা দিলাম ৩০ জুলাই বিকাল ৬ টার উড়জাহাজে। কুয়ালালুমপুর লো কস্ট টারমিনালে বিমান নামলো রাত ১১টায়, সব ফরমালিটিস শেষ করে ১২ টায় আমরা ম্যাকডোনাল্ডসে বসলাম কফি আর কিছু মিল নিয়ে, সারারাত এখানেই পার করার প্ল্যান আমাদের, সকালে ধরব লাংকায়ির বিমান।

আশে পাশে আমাদের মত অনেকেই আছে, কেউ বা ল্যাপটপে ব্রাউস করছে, কেউবা বসে বসে টেবিলে মাথা রেখে ঘুমাচ্ছে, ভাগ্যবান কয়েকজন লম্বা সোফাতে ঘুম দিয়েছে। প্রথম প্রথম একটু অসস্থি লাগলেও কিছুক্ষন পর চায়ের টেবিল টেনে বেশ জাকিয়ে বসলাম আমরা আড্ডা দিতে, দেখতে দেখতে পার হয়ে গেল রাতটা। সকালে নাস্তা করে রওয়ানা দিলাম লাংকায়ির পথে। বিমানে উঠেয় সবাই ঘুম, ঘুম ভাংলো বিমান নীচে নামা শুরু করতে, দেখি নীচে দেখা যাচ্ছে অসম্ভব সুন্দর এক দ্বীপ - লাংকায়ি: লাংকায়ি: ছায়াঘেরা রাস্তা: ইগল স্কয়ার: আমাদের ইচ্ছা ৩ দিন থাকবো এইখানে, এয়ারপোর্টে নেমে একটা বড় ট্যাক্সি নিলাম, যাবো পানতাই তেনঘা বীচে, লোকাল ভাষায় পানতাই মানে বীচ আর পুলাও মানে দ্বীপ। বীচের পাশে আমাদের রিসোর্টে মালপত্র রেখে কয়েকজন আমরা দৌড় দিলাম মুল বীচ এলাকা পানতাই চেনাং এর দিকে টুর অপারেটর এর খোঁজে, বেশ কয়েকটা ঘুরে পেলাম একটা খুবই বন্ধুবৎসল ও তুলনামুলক ভাবে সস্থা টুর অপারেটর, নাম "হানি জোন হলিডেস এন্ড ইনোভেশন (http://www.honeyzone-holidays.com), "রাফ" নামের সদা হাসিখুশি তরুন আমাদের কে অনেকভাবে এই ৩ দিন সাহায্য করেছিল পরে।

আমাদের ইচ্ছা দুইটা জায়গা যাওয়ার, আইল্যান্ড হপিং ও পায়ার মেরিন পার্কে স্নোরকলিং করা। কিন্তু ওইসব টুরগুলো সব সকালে শুরু হয়, তাই ওরা বুদ্ধি দিল একটা গাড়ি নিয়ে আমরা কেবল কার টা দেখতে যেতে পারি। তাড়াতারি আমরা রওয়ানা দিলাম হোটেলের দিকে, সবাইকে রেডি হতে বলতে হবে, বিকালে যাবো কেবল কার চড়তে। পথে বীচের ভেতর দিয়ে কিছুক্ষন হাটলাম, আমাদের মত বড় বীচ না, পিচ্চি পিচ্চি বীচ। বীচ জুড়ে অনেকরকম খেলাধুলার ব্যাবস্থা, আছে জেটস্কি, প্যারাগ্লাইডিং, ব্যানান বোট।

বীচের পাশে ছোট্ট ছোট্ট পাব ও ক্যাফে। (আমাদের বীচের মত কোন ফেরিওয়ালা বা ঝালমুড়ি/ডাব/চা ওয়ালা নাই একেবারেই) প্রায় ঘন্টা খানেক লাগলো কেবল কার স্টেশনে পৌছাতে, ৩০ রিঙগিত করে জনপ্রতি টিকেট কেটে উঠে পড়লাম ক্যাবে। কিছুক্ষন উপরে উঠার পর নীচে দেখি নীল সমুদ্র দেখা যাচ্ছে, অসম্ভব সুন্দর চারিদিক। ঝুলন্ত সেতু: প্রথম দিন শেষ, আগামি পর্বে থাকবে "আইল্যান্ড হপিং ও ইগল ফিডিং" চলবে....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.