বিজলি
গোলাম কিবরিয়া পিনু
এটা কোনো ছায়াচিত্র নয় কিম্বা ছায়ামূর্তি নয়
এর নাম বিজলি,
অস্ত যায় না, ডুবে যায় না, ঢলেও পড়ে না
মর্মস্থলে প্রবেশ করার প্রতীকী ব্যঞ্জনা নিয়ে
দীপ্তিময় হয়ে ওঠে দিগন্তরেখায়,
এর রত্নপ্রভা দেখে রত্নগর্ভা অশ্রুকণার দাপট থেকে মুক্ত হয়৷
বিজলি বাতাসের মধ্যে দিয়ে
এগোতে এগোতে তার চলার পথের বাতাস সরায়
খানিকটা বায়ু-শূন্যতার সৃষ্টি হয়
এই শূন্যস্থান পূরণের জন্য আশপাশ থেকে
বায়ু হুড়মুড় করে এগোতে থাকলেই আওয়াজ সৃষ্টি হয়,
তখনই বৃন্তচু্যত বৃপ্রেমিকারা
বৃন্দগান গাইতে গাইতে নেচে ওঠে বনে৷
বজ্রপথে বিজলি যে উত্তাপ সৃষ্টি করে
সে উত্তাপে জলকণাগুলো বাষ্পে পরিণত হয়
এ দেখে শায়িত অবস্থান থেকে ওঠে
পামর ও পাপাচারী পায়চারী করে
সমতল থেকে অষ্টকোণে পুড়ে যাওয়ার ভয়ে৷
বিজলি যখন যায়, তখন বাতাস প্রসারিত হতে থাকে
জ্ঞানপ্রাপ্তদের অধিকারে থেকে যায় এর অর্থ
অশঙ্কচিত্তের মধ্যে দিয়ে এখনই শুরু হয়
কিরণসম্পাত,
এজন্য আকাশচারী হওয়ার দরকার নেই৷
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।