আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অবশেষে থলের বেড়াল বের হলো! প্রসঙ্গত যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র নীতি।


যদি বলি যুক্তরাস্ট্রের পররাস্ট্রনীতি হচ্ছে হটকারীনীতি তাহলে কি ভুল বলা হবে ? আমি বলবো নিশ্চয়ই নয়। যে নীতি তার আর্দশকে জলান্ঞ্জলি দেয় তাকে হটকারীনীতি বলা ব্যতীত কোন শব্দ আমার অভিধানে নেই। ১১/ ৯ এ নিউইর্য়কের টুইন টাওয়ারে সন্ত্রাসী হামালার পর তদানীন্তন প্রেসিডেন্ট বিশ্ববাসীকে অবাক করে দিয়ে ইরাক, ইরান ও উত্তর কোরিয়াসহ এই তিনটি দেশকে " শয়তানের অক্ষচক্র " বলে ঘোষনা দেন। তার এই ঘোষনার প্রতি বিশ্ববাসীর যথেষ্ঠ কৌতহল এবং সন্দেহ থাকা সত্বেও যুক্তরাস্ট্র তার মিত্রদের বুঝাতে সক্ষম হয় যে প্রকৃতপক্ষেই দেশ তিনটি হচ্ছে দুষ্টচক্র । এরপর এই মিত্রদের সহায় শক্তি নিয়ে যুক্তরাস্ট্র আগ্রাসনের ভেতর দিয়ে তার হীন বাসনা চরিতার্থ করতে থাকে।

এরপর কেটে যায় কয়েকটি বছর। ইরাক পদানত হবার পর ২০০৮ সালে বুশ প্রসাশন কোরিয়ার উপর আরোপ করা " শয়তানের অক্ষ " উপাধী তুলে নেয়। কিনতু এই উপাধী তুলে নিলেও উত্তরকোরিয়া তাদের পারমানবিক কর্মকান্ড চালিয়ে যাবার কারণে এই দুদেশের মধ্যে সম্পর্কের উত্তরণ ঘটেনি বরং টানপোড়ন সম্পর্ক আরোও গভীরে চলে যায়। বর্তমান গনমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে আপতদৃষ্টিতে আমাদের নিকট সেটাই প্রতিয়মান হয়েছে। কিনতু আজ সমগ্রবিশ্বকে অবাক করে দিয়ে যুক্তরাস্ট্রের এক সাবেক প্রেসিডেন্ট আকস্মিকভাবে উত্তর কোরিয়ায় উপস্হিত হলেন।

এই উপস্হিতির কারণটি সামগ্রিকভাবে গৌন বিধায় এই বিষয়ে লেখাটি যুক্তিযুক্ত মনে করি না। যাহোক সাবেক প্রেসিডেন্ট কোরিয়ার বিমান বন্দরে নেমে সাবেক দুষ্টচক্রের উর্ধতন কর্মকর্তার সাথে করমর্দন করলেন। বিশ্ববাসিকে বোকা বানিয়ে দুষ্টচক্রের প্রধানের সাথে ছবি তুললেন। হায়রে অধম বিশ্ববাসি আমরা! মাত্র দুদিন আগেও যেদেশটিকে নিয়ে সমলোচনায় বিভোর থাকতে দেখেছি , হুমকি ধুমকি দিতে দেখেছি পত্রপত্রিকায় অথচ আজ তার এই পটপরিবর্তন। এটা কি নাটক! যুক্তরাস্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্টের এই সফরটি আমার নিকট মনে হয়েছে থলের বিড়াল বেড় হয়ে যাবার মত।

বস্তুত দেশটির তার আসল চরিত্রটি বের হয়ে গেছে। মার্কিনীদের কপটতা ,ধৃষ্টতা এই সফরের মধ্যদিয়ে সারাবিশ্বে উম্মোচিত হয়ে গেছে। সবচেয়ে বড় যে জিনিষটি আমি মনে করি যুক্তরাস্ট্রের এই আচরণ থেকে মিত্রদেশগুলো শিক্ষা লাভ করবে, অন্যথায় আগামীতে তাদের জন্য আসছে এরচেয়ে বড় চপোটাঘাত!!
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।