:)
প্রথম পাতায় ঘটা করে স্বেচ্ছা-নির্বাসনের পোস্ট দিয়েছি ২ দিনও হয়নি । ব্লগে এ নিয়ে নোটিশ ঝুলিয়েও আবার আসলাম। চূড়ান্ত বেহায়াপনা। রোবোটকে না বলুন।
নুশেরার এই পোস্ট পড়ার পর এ পোস্ট দিতে চাইলাম।
Click This Link
***************************************************************
নুশেরার নাম প্রথম পড়েছিলাম ভোরের কাগজে। ব্লগে ওর প্রথম পোস্টের শিরোনাম ভালো না লাগায় ওর ব্লগে বেশি যেতাম না। তবে অল্পকিছুদিন যাবার পর বুঝলাম, এ ব্লগে সাধারণ ব্লগারদের সবচেয়ে প্রিয় একজন ব্লগার নুশেরা। গত ৭-৮ মাসে আমি ওর ব্লগের নিয়মিত পাঠক হয়েছি। আরো কয়েকশ ব্লগারের মত।
জেনেছি অপনার অটিজমের কথা। (অপনা আমার মেয়ের চেয়ে খুব বড় না। আমার ভাতিঝি-ভাগ্নেদের বয়সী। ) আমার ব্লগেও হাতে গোণা যে কজন আসে, তার মধ্যে নুশেরা ১জন।
অটিজম শব্দটা শুনি প্রথম মনে হয় আমার স্ত্রীর কাছ থেকে।
অটিজম সম্পর্কে খুব বেশী জানিনা, তারপর যতটুকু জানি তার অনেকটাই নুশেরার পোস্ট থেকে। বাকিটা অনলাইন। টিভি। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনটা হচ্ছে স্বপ্ন আর লড়াই। বেশীরভাগ লড়াইয়ে আশা থাকে হয়ত জিতব।
আমি নিজে প্যারেন্ট (ভালো বাংলা পেলাম না)। সেজন্য জানি একজন প্যারেন্টের কাছে তার সন্তান কত প্রিয়। মা-বাবার জীবন ঘোরে তার সন্তানকে কেন্দ্র করে। (বাবা হবার আগে বুঝতাম না) ।
সেই সন্তানের যখন অটিজমের মত অসুখ হয়, তখন বাবামার মনের বিপর্যয় হয় সেটা অন্যরা বুঝবে না।
বুঝতে না পারুক। তার কষ্টকে সম্মান করতে কেন পারিনা? একজন ডাক্তার কিকরে বলে ওরকম কুৎসিত একটা অনুবাদ করে। নুশেরা আর ওর হাজব্যান্ড বড় বেশী ভদ্র। ঐ লোকের গালে ঠাস করে চড় বসালেও কম শাস্তি দেয়া হ্ত। নুশেরা আবার ঐ লোকের নামও নেয়নি।
মনে হয় নিজেদের স্বার্থেই ঐ লোকের নাম জানা দরকার। নিজের বা নিজের প্রিয়জনের সন্তানকে নিশ্চয়ই এমন লোকের কাছে নেয়া ঠিক না।
আমি যতটুকু জানি এর কোন চিকিৎসা নেই। শুধু চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া নিরনতর । ঠিক যেমন নুশেরা বলেছে তার পোস্টে।
অটিজমের সাথে মেধার কোন কোরিলেশন নেই। আবার স্ট্যাটিসটিক্সকে কাচকলা দেখিয়ে একই পরিবারে একাধিক সন্তান হতে পারে অটিস্টিক। ইশ্বর কি নির্মম। টিভিতে একটা সিরিয়ালে দেখেছিলাম, অটিজম আক্রান্ত বাচচাদের বাবামাদের অনেক সময় এই স্ট্রেস, অমানুষিক ধৈর্য আর পরিশ্রমের কারণে ডিভোর্সও হয়।
নুশেরার পোস্টে আমার আরেক প্রিয় ব্লগার ফারহান বলেছে "৪ মাস পরে টেস্ট করে আভাস পেলে শিশুটার আসার পথ রুদ্ধ করে দেয়া আমার কাছে অমানবিকই মনে হলো, এমনকি কেউ আমাদের সাথে না মিললেও তার বেঁচে থাকার পূর্ণ সুযোগ পাবার অধিকার আছে।
" ভাইরে, জীবনটা অত সরল না। মাবাবার জীবনের সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তার বিষয় তার সন্তানের নিরাপত্তা-ওয়েল বিয়িং। অটিজম অথবা পংগুত্ব আক্রান্ত সন্তানের বাবামা কি মৃত্যর আগেও নিশ্চিত হতে পারেন সে ব্যাপারে? অনেক নিষ্ঠুর সিদ্ধান্তও অনেক সময় কাম্য। "আই হ্যাভ টু বি ক্রুয়েল ওনলি টু বি কাইন্ড"।
নুশেরাদের এ লড়াইয়ে আমরা যোদ্ধা না।
আমরা কেবল পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কখনো দেখা না হওয়া ঐ দম্পতির (এবং এরকম আর সব পরিবারের) শুভকামনায় থাকবো। ঘটবে ভালো কিছু। কোন এক কাজ পাগল আবিস্কারক একদিন বের করবেন এর চিকিৎসা। শুধু সেইদিনের আশায় থাকি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।