সঞ্জয় মিঠু
রৃষ্টিতে ঢাকা শহরের একেবারে নাজেহাল অবস্থা, জলমগ্ন প্রায় সব অঞ্চল। এরমধ্যে আমি ঢাকা শহরে হাজির হলাম। রাস্তাঘাটে আজ আর মাছি থকথকে ভীড় নেই। কেমন যেন ফাঁকা ফাঁকা- অসংবৃতা নারীর মত। নারীর কথা মনে পড়ল কেন...? ও হ্যাঁ নবণিতাকে দেখে, নবণিতা কোন টিভি চ্যানেলে যেন সংবাদ পাঠ করে এবং ডেন্টিস্ ও বটে।
তার চেম্বারের না ঢুকে সে চেম্বারের সামনে থেকে ছন ছন ছন্দ তুলে হাঁটতে লাগল অন্যদিকে। আমার ও কোন কাজ নেই তাই অগ্যতা তার পিছু পিছু হাটতে লাগলাম্। পরণে তার পিংক রঙের সালোয়ার কামিজ এবং ওড়না। মাঝে মাঝে হাল্কা সবুজ কারুকাজ করা। সঙ্গে কালো হাত ব্যাগ লাল রংএর এ্যবুস করা বেশ মানসই।
চুল গুলো সেই চিরচরিত কার্ল করা। যা তার চেহারায় অন্য দোদ্না দান করছে। হাঁটার মধ্যে একটা ছন্দ আছে, যা আশে-পাশের লোকে তো বটেই আমাকে ও ভাবালুতাই ফেলে দিচ্ছে। ডান হাতে তার সাদা শাঁখা, সিঁথীতে অনুজ্ঝল লাল চিহ্ন। এর মানে সে বিবাহিত...! আচ্ছা যার চলা এমন ছন্দ মধুর তার স্বামী কি সঙ্গীত পরিচালক হতে পারে? তাদের কি ছোট্ট একটা সোনা বাবু আছে? তার কর্মক্ষেত্রে তার কলিগ এর সাথে তার কি কোন অন্তরঙ্গ সর্ম্পক আছে? তাদের দাম্পত্য জীবন কি সুখের ? ধুর এসব আমি কি ভাবছি-, কিন্তু ভাবতে ভাল লাগছে যে তার দাম্পত্য জীবনে একটু ফাঁক থাকুক, আর সেই ফাকঁ গলে আমার অবাধ যাতায়াত হোক- আচ্ছা তার কাছে দন্ত চিকিৎসার জন্য যদি যাই তবে তো তার শারীরিক স্পর্শ পাওয়া যাবে।
কিন্তু আমার তো কোন দাঁতের সমস্যা নেই। নবণিতার হাঁটা গতি বেশ আমি তাকে অনুসরণ করতে হিমশিম খাচ্ছি, এভাবে আমি কখনও কোন মেয়েকে ফলো করিনি, আমার নিজ শহরে ও। আর এতো একেবারে ঢাকাতে এসে। আমার হূদয় ছন্দ তুলে নবণিতা ঢুকে পড়ল এক এ্যাপার্টমেন্ট হাউজে। আমার আর অনুসরণ কারার কিছু নেই, এমনিতেই রাস্তা ঘাট ফাঁকা বেশিক্ষণ তাকে ফলো করলে কপালে খারাবী আছে।
আমি এ্যাপার্টমেন্ট হাউজটার কাছে দাঁড়াতেই ওপড় থেকে নবণিতা মুখ। চোখে মুখে কৌতুহল আর অনেক- এটা কি তার নিজের বাসা নাকি...? আমার কল্পনার ডালপালা কেবল বাড়তে থাকে-
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।