কত আজানারে জানাইলে তুমি, কত ঘরে দিলে ঠাঁই দূরকে করিলে নিকট,বন্ধু, পরকে করিলে ভাই।
মানুষের ভালবাসা ভালো লাগে, ঘৃনা সহ্য হয়। কিন্তু তার উপেক্ষা যে একেবারেই অসহনীয়। মনটাকে কিছুতেই বশে রাখতে পারা যাচ্ছে না। হাজার রকমের প্রশ্নের জন্ম হচ্ছে ।
কেন হচ্ছে? কেন?
এংলো-স্যাকসনদের শব্দ Lufu পরে হয় Love-যার নামে Nothing। আর এই অর্থেই টেনিস, ব্যাডমিন্টন, বিলিয়ার্ড সহ ভিবিন্ন খেলায় চালু হয় লাভ গেম। কিন্তু সেই লাভ পরে কি করে প্রেম ভালবাসার রূপ পরিগ্রহ করে সেই উপাখ্যানের সূত্র আজও অজানা।
তার কাছ থেকে শূন্য হাতে ফিরে এসে প্রেমের জ্বালায় আবিরাম পুড়তে পুড়তে বারবার মনে হত -- আজ যদি সেই ভদ্রলোককে হাতের কাছে পাওয়া যেত -- যিনি প্রথম প্রেম শব্দটি আবিষ্কার করেছেন। তা হলে তার সমস্ত দেহ চিরে চিরে দেখতাম তার সেই প্রেম এর উৎস কোথায় ? শরীরের কোন আংশে তার অবস্থান।
তার সৌভাগ্য তিনি অতীতের গর্ভে বিলীন হয়ে গেছেন।
সেদিন তাকে আমি বলতে পারিনি যেদিন তাকে চেয়েছিলাম। আমার প্রতিটি নিশ্বাঃস তাকে চেয়েছে। আমার প্রতিটি মুহুর্ত তাকে কামনা করেছে, সে তখন ভেবেছে হয়ত আন্য কার কথা , আমি ছিলাম না তার মানস পটে। সময় চলে গেছে তার আপন গতিতে ।
যেখানে আমার অস্তিত্ব প্রায় নেই সেখানে আমি মাথা কুটবো---না না না তা হতে পারে না। দুঃখ হতে পারে ক্রোধ হতে পারে , অভিমান হতে পারে । কিন্তু যে একবার ফিরিয়ে দিয়েছে তার কাছে কোন মেয়েই আত্মমর্যাদা বিসর্জন দিতে পারে না। বাঙালী মেয়ে তো নয়ই। তাদের বুক ফাটে তবু মুখ ফোটে না।
তার উপেক্ষা সেদিন ছিল বড় আসহনীয়।
সেই সময় খুব কষ্ট হত, বেদনা নীল হয়ে ছটফট করতাম একবার শুয়ে, একবার খাটের উপর বসে, আবার ড্রেসিং টেবিলের সামনে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে বার বার নিজেকে পরিক্ষা করতাম। নিজেকে চিনতে চাইতাম। নিজেকে তুলে ধরতে চাইতাম তার সামনে। ও পাগল হয় না কেন আমার জন্য? সে মজনু সাজে না কেন? আবার ভাবি না মজনু নয় মজনু হলেই লাইলী আসবে--- আমি তো লাইলী নই।
আমি আমিই । এক, অনন্য, আসাধারন, একক হব। এই আকাঙ্ক্ষা যদি দোষের হয় অপরাধের হয় হোক আমি এই গন্ডির বাইরে গেলেই আমার আমিত্ব থেকে হারিয়ে যাব।
আমার জন্য ও পাগল হোক। কিন্তু পাগল হয়ে মজনু সাজা নয়।
প্রেমিক পুরুষের আদর্শ হওয়া উচিত আষ্টম এডওয়ার্ড। রাজ্য ও সিংহাসন ত্যাগের বিনিময়ে কিনে নিল প্রেম। তার প্রেমের মূল্য কি অপরিমেয়? প্রেমের মূল্য আর কাকে বলে???
আজ এত দিন পরে তুমি এসেছ আমার দুয়ারে, আমার দুয়ারে তুমি?! কি অপার আনন্দে আমি ভাসছি তুমি কি বুঝতে পারছ। তোমার দৃষ্টির আড়ালে আমি আমার আনন্দাশ্রু মুছে মুছে তোমার কাছে ছুটে ছুটে আসছি। আমি চিৎকার করে বলতে চাচ্ছি আমি ভালবাসি-- আমি ভালবাসি।
।
আমার সম্মুখে নতজানু তুমি। আমাকে চাও তুমি পরিপূর্ন রূপে। আনেক ঘুরেছ আনেক সময় নিয়েছ নিজেকে বুঝতে -- বুঝেছ নিজেকে তোমার মন বার বার একই কথা বলেছে ---------সে আমি? তুমি আমাকে চাও। !?
সিদ্ধান্ত আমার হয়ে গেছে।
-- জীবনে পুরুষ সংগ পাইনি এমন নয়, তবে কাউকে ভালবাসতে পারিনি। ভালবাসা যে সাধনার বস্তু,তাকে পেতে হলে অনেক পূন্য অর্জন করতে হয়। আমার সম্মুখে এই বিশাল সবুজ প্রান্তর, মাথার উপরে ঐ নীলাকাশ
সবাইকে সাক্ষী রেখে আমি বলছি, আমার জীবনে ভালবাসা এই প্রথম। সেই কবে হয়ত মনের অলক্ষ্যে বন্ধুত্বের দুরত্ব অতিক্রম করে তোমাকে ভালবেসে ছিলাম । সেদিনও হয়তো কেউ বা কোন কিছু সাক্ষী ছিল আমার ভালবাসার।
আজ এই ক্ষনে আমার ভালবাসা পেল পূর্নতা।
আমায় তুমি ক্ষমা কর --ক্ষমা কর। তোমার আমার মিলনে ভালবাসার মৃত্যু আমি চাইনা। তার চেয়ে তোমার স্মৃতি আমার জীবনে ছায়াছবি হয়ে ভেসে ভেসে থাক, তোমার কথাগুলো কবিতা হয়ে গান হয়ে সব সময় আমার কানে বাজুক আমাকে প্রেরনা দিক-- এইতো তুমি আছ -এইতো আছ। ।
জীবনের প্রতিটি বাঁকে বাঁকে আমার প্রেমকে আটুট করার জন্য যে সাধনা করেছি । সৃষ্টিকর্তার কাছে যে আকুলতা ছিল তোমাকে পাবার এই দীর্ঘ বছরগুলিতে-- সব সময়ই মনে হয়েছে , বিধাতার কাছে যে অসম্ভব বর মাগি তা আমি পাবনা জানি,--- তবু যেন তুমি ভালো থেকো। তোমাকে পাবার জন্য তোমার ভালবাসা কুড়াবার জন্য বিধাতার কাছে যে আকুলতা তা থেকে আমাকে বঞ্চিত করো না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।