৮০র দশকে যখন প্রথম সেবা প্রকাশনীর সাথে পরিচিত হই-একটা জিনিস বেশ মনোযোগ আকর্ষণ করেছিল, তাহলো কোয়ান্টাম মেথড । কারণ, আমি ছিলাম প্রচন্ড আবেগী (এখনো আছি বৈকি, তবে মাত্রা কমেছে অনেক) । তো আবেগের সাথে কোয়ান্টাম মেথডের সম্পর্ক কি ? দেখলাম ওখানে আবেগ দুর করার বেশ কিছু সাজেশনের কথা বলা আছে । তবু নেব নেব করে ডিপ্লোমা না যেন অনার্স নেয়া হয়নি আমার । মাত্র তিনদিন- তবু সময় করতে পারিনি ।
আমার আবেগও দুর হয়নি ।
এ জাতিটাকে কোন একটা সেন্ট্রাল কমান্ড থেকে অটো সাজেশন একের পর এক দিয়ে দেয়া উচিত- যাতে আবেগ কমে যায় । না হলে ভবিষ্যতে কপালে আরো দুর্গতি আছে । আবেগের কারনেই আমরা একের পর এক চোর-বাটপার-টাউট-বদমাশদের আমাদের নেতা নির্বাচন করছি । আবেগের কারণেই আমরা হুদাই স্মৃতি রোমন্থনে কালক্ষেপন করি ।
এর কারণেই আমরা তিলকে তাল আর তালকে তিল করি । বাস্তববিবর্জিত হয়ে আমরা হয়ে উঠি নিতান্তই হাস্যকর জাতি ।
এই যে উইন্ডিজের তৃতীয় সারির একটা দলকে একটা টেস্ট খেলুড়ে দল হারালো এটা নিয়ে আমাদের চরম অপেশাদারী মনোভাবের সাথে আবেগের বিস্ফোরণ বিষয়টাকে পুরো হাস্যকর একটা পর্যায়ে নিয়ে গেছে । ওই রকম একটা দলকে কেন তিনদিনের মধ্যেই আরো শোচনীয়ভাবে হারানো গেলনা তা নিয়ে যেখানে চুলচেরা বিশ্লেষণ করার কথা তা না করে আমরা এ রকম বিজয়ে গৌরব করছি ! ছি, বাঙালী তোমার লজ্জা কোন কালেই জন্ম নিবেনা ।
আমার তো মনে হয় এই দল যদি ইংল্যান্ড,অস্ট্রেলিয়া কিংবা সাউথ আফ্রিকাকে নিয়মিত হারাতে শুরু করে তাহলে আমার আনন্দের অতিশয্যে হার্টএ্যাটাক করে মারা যাব ।
তাহলে কি জাতীয় দল দেশবাসীকে বাঁচানোর স্বার্থেই নিয়মিত জিতেনা ?
জাতীয় দলকে একবার গণসম্বর্ধণা একবার গণধিক্কার না জানিয়ে তাদেরকে তাদের মত খেলতে দেয়া উচিত । আমাদের সঠিক মনোভাব তাদের মধ্যে পেশাদারিত্ব সঞ্চার করবে বলে আমার বিশ্বাস ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।