রাজনীতি ও অর্থনীতি এই দুই সাপ পরস্পর পরস্পরকে লেজের দিক থেকে অনবরত খেয়ে যাচ্ছে
সদ্য ক্যাডেট কলেজ ফেরত। রেজাল্ট দেয় নাই। মনটা খানিকণ উড়ু–উড়ু , কিছুক্ষন পরেই আবার উদাস। লম্বা অবসর, কিছু করার নাই। মানুষের সাথে সেরকম মিশতেও পারি না।
ক্যাডেট হওয়ার জ্বালা।
আমার উদাস ভাব দেইখা বাপ-মায়ের দয়া হইল। জ্বীনা, বিবাহ দেন নাই। বরং চালাইতে শিখতে কইল। অন্যকিছু নারে ভাই, গাড়ির কথা বলতাছি।
বাপের ধারণা ছিল আমি শিগগিরই আমেরিকা পারি দেব, লেখাপড়া করতে। (আমাদের সময় বাপ-মারা ছেলেমেয়েদের কত কম বুঝতো)। তাই গাড়ি চালানো শিখে রাখাটা দরকার।
তখন নাখাল পাড়ায় থাকি। পাশের বাসায় থাকে দিয়া আপা।
(তার একখান ছোট বোন ছিল, মনটা আবার উদাস হইলো) দিয়া আপার ভাই থাকে শান্তিনগর, তার একখান পুরান ভক্সওয়াগন আছে, সেইটা সে ড্রাইভিং শিখাতেই ব্যবহার করে। দিয়া আপার ভাই নিজেই মালিক, প্রশিক্ষক। ভর্তি হইলাম সেখানে। রোজ ভোর বেলা, সাড়ে ৬টার সময় তাঁর বাসায় যাইতে হইত। আবার ভোর বেলায় ঘুম বাদ? উফফফ।
তবে দুইদিনের মাথায় ব্যাপক উৎসাহ পাওয়া শুরু করলাম। আমি সাড়ে ৬টায় হাজির হই। একটু পরেই বাড়ির ড্রয়িং রুমের জানালা খুলে যায়। একটা মহাসুন্দরী বালিকাকে দেখি, যতক্ষণ গাড়ি নিয়ে বের না হই সেই বালিকা জানালায় ঠায় দাঁড়িয়ে থাকে। আমার তখন ড্রাইভিং শেখায় ব্যাপক উৎসাহ।
দিনের পর দিন যায়, আমি বালিকাকে দেখি, বালিকা আমাকে দেখে। বালিকার বাবা পাশে বসে থাকে। আমরা গাড়ি নিয়ে বের হই মতিঝিলের আইডিয়াল স্কুলের সামনের রাস্তায়।
কয়েকদিন পর রচিত হইল আসল নাটক। একদিন ভোরে যেয়ে দেখি বালিকার বাবা নিজেই বাইরে দাঁড়ানো।
আমাকে নিয়ে ড্রয়িং রুমে বসালেন। চা আসলো। চা খেতে খেতে খাবি খেলাম যখন দেখি সেই মেয়েও আসলো ড্রয়িং রুমে। ঘটনা কোন দিকে যাবে বুঝতে পারতাছিলাম না। দিয়া আপার ভাই মেয়েটাকে পরিচয় করিয়ে দিলেন আমার সাথে।
সুন্দরী বালিকা তমিজের সাথে আমার দিকে তাকিয়ে হাত কপালের পাশে রেখে বললো ‘সালামালাইকুম আংকেল’।
২৪ বছর পর।
গেছি মেয়ের স্কুলে, ছুটির পর নিয়ে আসতে। ১৫ মিনিট সময় হাতে। এদিক-ওদিক তাকাচ্ছি।
চোখ পড়লো এক সুন্দরী বালিকার দিকে। দেখে মনে হলো ইউনিভার্সিটির ছাত্রী হতে পারে।
কিছু পরে অবাক হয়ে দেখলাম, আমার দিকেই আসছে। সামনে এসে বললো, সালাম আংকেল, আপনি তো প্রিয়ন্তীর বাবা, আপনার মেয়েটা খুব লক্ষ্মী।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।