আমার সম্পর্কে বলার মতো কিছু নেই।
অকৃষি খাসজমি বন্দোবস্তের সংক্রান্ত
(১৯৯৫ সালের ৮ই মার্চে প্রকাশিত বাংলাদেশ গেজেটের মাধ্যমে জারীকরা খাস জমি বন্দোবস্ত নীতিমালা মতে)
তবে সেই ক্ষেত্রে বাজার দর অনুযায়ী জমির উপযুক্ত মূল্য পরিশোধ করতে হবে।
ধর্মীয় উপাসনালয়, এতিমখানা, কবরস্থান ও শ্নশানঘাট স্থাপনের জন্য পরিমাণমত জমি বন্দোবস্ত দেয়া যাবে। এই ক্ষেত্রে বাজারদর অনুযায়ী জমির মূল্য নির্ধারণ করে নির্ধারিত মূল্যের ১০% মূল্যে বন্দোবস্ত দেওয়া যাবে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য পরিমাণমত জমি নির্ধারিত মূল্যের ১০% মূল্যে বন্দোবস্ত দেয়া হবে।
প্রাকৃতিক দূর্যোগজনিত কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ও সরকার কর্তৃক বৈধভাবে পূণনির্বাসিত লোকজনকে সংশ্লিষ্ট জমি সরকারের অন্য কোন প্রয়োজনে না লাগলে দখল বিবেচনায় এনে পরিবার প্রতি সর্বোচ্চ ০.০৫ একর (পাঁচ শতাংশ) জমি দীর্ঘ মেয়াদী বন্দোবস্ত দেয়া যাবে। তবে নারায়নগঞ্জসহ ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় এবং চট্রগ্রাম মেট্র্রোপলিটন এলাকায় এই ধরণের বন্দোবস্ত দেয়া যাবে না।
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, কবি, সাহিত্যিক বা জাতীয় পর্যায়ে নিজ অবদানের জন্য বিশেষভাবে স্বীকৃত ব্যক্তিকে সরকার প্রধানের অনুমোদনক্রমে মেট্রোপলিটন এলাকায় সর্বোচ্চ ০.০৫ একর (পাঁচ শতাংশ) এবং মেট্রোপলিটন এলাকার বাহিরে সর্বোচ্চ ০.০৮ একর (আট শতাংশ) পর্যন্ত জমি বাজার দরে বন্দোবস্ত দেয়া যাবে। তবে এই ক্ষেত্রে সরকার প্রধান ইচ্ছা করলে রায়তী মূল্যে বন্দোবস্তের আদেশ দিতে পারবেন।
প্রবাসী বাংলাদেশীরা যদি রেজিষ্ট্রিকৃত সমবায় এর মাধ্যমে বহুতল বিশিষ্ট ভবন নির্মাণ (নূন্যপক্ষে পাঁচতলা ভবন হতে হবে) এর জন্য জমি বন্দোবস্ত নিতে চান তাহলে তাদেরকে মেট্রোপলিটন এলাকায় সর্বোচ্চ ১.০ একর এবং জেলা শহরে সর্বোচ্চ ৩.০ একর পর্যন্ত জমি বন্দোবস্ত দেয়া যাবে।
তবে এইক্ষেত্রে তাদেরকে জমির সমুদয় মূল্য বৈদেশিক মুদ্রায় পরিশোধ করতে হবে এবং তাদের দলে একই পরিবারের একজনের বেশী সদস্য থাকতে পারবেন না। বহুতল বিশিষ্ট ভবনের জন্য সমবায়ের প্রতি দুইজন সদস্যের জন্য ০.০২৫ একর (২.৫ শতাংশ) হিসেবে জমির পরিমাণ নির্ধারণ করে বন্দোবস্ত দেয়া হবে।
শহর এলাকার বাহিরে শিল্প স্থাপনের জন্য আবেদনকারী যদি মোট প্রয়োজনীয় জমির ৩/৪ অংশ নিজে সংগ্রহ করেন তাহলে সর্বোচ্চ অংশ পরিমাণ সংলগ্ন খাস জমি বাজার দরে বন্দোবস্ত দেয়া যাবে।
অন্ততঃ ১০ বত্সরের বেশী সময় ধরে নিয়মিতভাবে সরকারী পাওনা পরিশোধ করে একসনা লীজমূলে জমির দখলে আছেন এমন লোকদেরকে সর্বোচ্চ ০.০৫ একর (পাঁচ শতাংশ) জমি বাজার দরে বন্দোবস্ত দেয়া যাবে।
যে সকল অধিগ্রহণকৃত জমি পুনঃগ্রহণের মাধ্যমে খাস করা হয়েছে বা হবে সেই সকল জমির মূল মালিক বা তার বৈধ উত্তরাধিকারীদেরকে ক্ষতিপূরণ বাবদ প্রদত্ত অর্থ সমন্বয় না করে বাজারদরে মেট্রোপলিটন এলাকায় সর্বোচ্চ ০.০৮ একর (আট শতাংশ) জেলা ও থানা সদরে এবং পৌর এলাকার সর্বোচ্চ ০.১৬ একর (ষোল শতাংশ) এবং এর বাইরের এলাকায় সর্বোচ্চ ০.৩২ একর (বত্রিশ শতাংশ) জমি বন্দোবস্ত দেয়া যাবে।
প্রত্যেক ক্ষেত্রে জমির পরিমাণ তার নিকট হতে অধিগ্রহণকৃত জমির অর্ধেক অপেক্ষা বেশী হতে পারবে না। তবে কাউকে শহর এলাকায় মোট ০.০৪ একর (চার শতাংশ) এবং পল্লী এলাকায় ০.১০ একর (দশ শতাংশ) অপেক্ষা কমও দেয়া হবে না। তাছাড়া যেহেতু বন্দোবস্ত গ্রহীতা জমির পূরাতন মালিক, সেহেতু তাকে অগ্রাধিকার প্রদান করা হবে। অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্থ এমন ভূমি মালিকের ক্ষেত্রে কেবলমাত্র একজনকেই সুবিধা দেয়া হবে। এইরূপ বন্দোবস্ত প্রদানে মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন লাগবে।
মেট্রোপলিটন এলাকা এবং জেলা শহরের বাইরে গবাদিপশু বা দুগ্ধ খামার হাঁস-মুরগীর খামার স্থাপনের জন্য অকৃষি খাস জমি বন্দোবস্ত দেয়া যাবে। তবে এই ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রকল্পটি অনুমোদিত হতে হবে। হাঁস-মুরগীর খামারের জন্য সর্বোচ্চ ২.০ একর ও দুগ্ধ খামারের জন্য সর্বোচ্চ ৫.০ একর জমি বন্দোবস্ত দেয়া যাবে। বন্দোবস্ত প্রাথমিকভাবে ১০ বত্সরের জন্য দেয়া যাবে। প্রথম ৫ (পাঁচ) বছরের মধ্যে যদি প্রকল্পটি পুরাপুরি প্রকল্প পরিকল্পনা অনুযায়ী বাস্তবায়িত এবং বন্দোবস্তের সকল শর্ত যথাযথভাবে পালিত হয় তাহলে একই জমি পরিবর্তে সন্তোষজনক পরিচালনার শর্তে দীর্ঘ মেয়াদী বন্দোবস্তে রুপান্তর করা যাবে।
তবে প্রথম পাঁচ বছরের মধ্যে প্রকল্প বাস্তবায়িত না হলে বা পরবর্তীতে যে কোন সময় পরিত্যক্ত হলে বা বন্দোবস্তের শর্ত যথাযথভাবে পালিত না হলে বন্দোবস্তের যে কোনো সময় বাতিল করবার শর্ত চুক্তিপত্রে অন্তর্ভূক্ত থাকবে।
যদি কেহ নিজ জমিতে হাঁস-মুরগীর খামার বা দুগ্ধ খামার করে থাকেন তা হলে তাকে তার খামারের সংলগ্ন খাস জমি উপরোক্ত নিয়মে বন্দোবস্ত দেয়া যাবে।
বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে মত্স খামার স্থাপনের জন্য সরকারী খাস পুকুর দীর্ঘ মেয়াদী বন্দোবস্ত দেয়া যাবে। ব্যক্তি বিশেষের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ২০.০ একর আয়তন বিশিষ্ট পুকুর, নিবন্ধনকৃত সমবায় বা ব্যক্তিমালিকানাধীন (প্রাইভেট লিমিটেড) কোম্পানীর ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৫০.০ একর এবং পাবলিক লিমিটেড কোম্পানীর ক্ষেত্রে যে কোন আয়তনের খাস পুকুর বা বদ্ধ জলমহাল দীর্ঘ মেয়াদী বন্দোবস্ত দেয়া যাবে। তবে প্রাথমিকভাবে ১০ বছরের জন্য বন্দোবস্ত দেওয়া হবে।
প্রথম ৫ বছরের মধ্যে যদি প্রকল্পটি পুরাপুরি প্রকল্প পরিকল্পনা অনুযায়ী বাস্তবায়িত এবং বন্দোবস্তের সকল শর্ত বন্দোবস্ত গ্রহীতা কর্তৃক যথাযথভাবে পালিত হয় তাহলে একই পুকুর বা বদ্ধ জলমহাল পরবর্তীতে সন্তোষজনক পরিচালনার শর্তে দীর্ঘ মেয়াদী বন্দোবস্তে রুপান্তর করা যাবে। কিন্তু প্রথম ৫ বত্সরের মধ্যে প্রকল্প বাস্তবায়িত না হলে বা পরবর্তীতে যে কোন সময় পরিত্যাক্ত হলে বা যথাযথভাবে পরিচালিত না হলে বন্দোবস্ত যে কোনো সময় বাতিল করবার শর্ত চুক্তিপত্রে অন্তর্ভূক্ত থাকবে। এইরূপ বন্দোবস্তের ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন লাগবে।
বিদেশী বিনিয়োগকারীদেরকে অথবা যৌথ উদ্যোক্তাদেরকে শিল্প-কারখানা স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় পরিমাণ জমি মেট্রোপলিটন এলাকার বাহিরে বন্দোবস্ত দেয়া যাবে। এক্ষেত্রে অনুমোদিত প্রকল্প অনুপাতে জমির পরিমাণ নির্ধারণ করা হবে।
তবে মেট্রোপলিটন এলাকায় আন্তর্জাতিক মানের হোটেল/মোটেল (তিন তারকা ও তদুর্ধ) স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় পরিমাণ জমি বন্দোবস্ত দেয়া যাবে।
কারখানা ও বাড়ী সংলগ্ন খাসজমি আছে এবং এই খাসজমির অবস্থান এমন যে উহা অন্য কাহাকেও বন্দোবস্ত প্রদান করলে বাড়ী বা শিল্প কারখানায় যাতায়াতসহ অন্যান্য অসুবিধা সৃষ্টি হবে সেক্ষেত্রে বাড়ীর মালিক বা শিল্প কারখানার অনূকূলে বিশেষ ব্যবস্থা হিসাবে এই খাসজমি (কৃষি বা অকৃষি যাই হোক না কেন) বন্দোবস্ত দেওয়া যাবে। তবে এইরূপ বন্দোবস্ত কেইসে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) কর্তৃক সরেজমিনে তদন্ত সম্পাদন করে এবং প্রচলিত নিয়মে সেলামী ধার্য্য করে প্রস্তাব ভুমি মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে হবে।
কমপক্ষে ২০ বছর বা তদুর্ধকাল যাবত সরকারী/আধা সরকারী বা স্বায়ত্বশাসিত সংস্থার চাকুরীতে নিয়োজিত আছেন বা ছিলেন এইরূপ কমপক্ষে ৩০ জন বা তদুর্ধ সংখ্যক সদস্যবিশিষ্ট সরকারী/আধাসরকারী বা স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার কর্মচারী বা কর্মকর্তার সমন্বয়ে গঠিত সমবায় সংগঠনকে বহুতলবিশিষ্ট আবাসিক ভবন (নূন্যপক্ষে পাঁচতলা ফ্ল্যাট বাড়ী)। নির্মাণের জন্য মেট্রোপলিটন এলাকায় সর্বোচ্চ ১.০ (এক) একর এবং জেলা বা থানা শহরে সর্বোচ্চ ৩.০ (তিন) একর পর্যন্ত খাসজমি বন্দোবস্ত দেয়া যাবে।
এইরূপ কোন সরকারী/আধাসরকারী বা স্বায়ত্বশাসিত সংস্থার কর্মচারী/কর্মকর্তাকে সংগঠনের সদস্য করা যাবে না। বহুতলবিশিষ্ট ভবন নির্মাণের জন্য সমবায়ের প্রতি দুইজন সদস্যের জন্য ০.০২৫ একর (২.৫শতাংশ) হিসাবে জমির পরিমাণ নির্ধারণ করে বন্দোবস্ত দেয়া হবে। এইরূপ বন্দোবস্তের ক্ষেত্রে প্রচলিত নিয়মে ধার্যকৃত সেলামী আদায় করতে হবে এবং ইহাতে সরকার প্রধানের অনুমোদন লাগবে।
কমপক্ষে ১৫ জন বা তদুর্ধ সংখ্যক সদস্যবিশিষ্ট প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের সমন্বয় গঠিত সমবায় সংগঠনকে বহুতলবিশিষ্ট আবাসিক ভবন, (নূন্যপক্ষে পাঁচতলা ফ্ল্যাট বাড়ী) নির্মাণের জন্য মেট্রোপলিটন এলাকায় সর্বোচ্চ ১.০ (এক) একর এবং জেলা বা থানা সদরে সর্বোচ্চ ৩ একর পর্যন্ত খাস জমি বন্দোবস্ত দেয়া যাবে। মেট্রোপলিটন এলাকা বা জেলা শহরে বাড়ী বা বাড়ী করার মত জমি আছে এইরূপ কোন মুক্তিযোদ্ধাকে সংগঠনের সদস্য করা যাবে না।
বহুতলবিশিষ্ট ভবন নির্মাণের জন্য সমবায়ের প্রতি দুইজন সদস্যের জন্য ০.০২৫ একর হিসাবে জমির পরিমাণ নির্ধারণ করে বন্দোবস্ত দেয়া হবে। এইরুপ বন্দোবস্তের ক্ষেত্রে প্রচলিত নিয়মে ধার্যকৃত সেলামী আদায় করতে হবে এবং ইহাতে সরকার প্রধানের অনুমোদন লাগবে।
(i) বাণিজ্যিক ভিত্তিতে বিদেশে রপ্তানীর উদ্দেশ্যে ফুলের চাষ করার জন্য সর্বোচ্চ ৫.০ একর পর্যন্ত খাসজমি দীর্ঘ মেয়াদী বন্দোবস্ত দেয়া যাবে।
(ii) বিভিন্ন প্রকার ফলের বাগান করার জন্য সর্বোচ্চ ১৫.০ (পনর) একর পর্যন্ত খাসজমি দীর্ঘ মেয়াদী বন্দোবস্ত দেয়া যাবে।
(iii) রাবার চাষের জন্য কোনো ব্যক্তি বিশেষকে সর্বোচ্চ ৩০.০ (ত্রিশ) একর এবং নিবন্ধনকৃত পাবলিক লিমিটেড কোম্পানীকে সর্বোচ্চ ১০০.০০ (একশত) একর পর্যন্ত খাসজমি বন্দোবস্ত দেয়া যাবে।
(iv) উপরোক্ত নং (i), (ii) ও (iii) নং উপ-অনুচ্ছেদে বর্ণিত জমি বন্দোবস্ত প্রদানে ভূমি মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন লাগবে। তবে সরকার প্রধানের অনুমোদনক্রমে বর্ণিত জমি অপেক্ষা অধিক পরিমাণ জমিও বন্দোবস্ত দেয়া যাবে।
উপরোক্ত ক্ষেত্র ব্যতীত অন্যান্য সকল ক্ষেত্রে শহর এলাকার খাসজমি নিলামে বিক্রয় করা হবে।
খাস খতিয়ানে রেকর্ডভূক্ত জনগণের ব্যবহার রাস্তা, ঘাট, নদী, খাল, নালা, পয়ঃপ্রণালী, পুকুর, বাঁধ, কবরস্থান, শ্নশান, পার্ক, খেলার মাঠ ও ভূমি প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের দপ্তরের এলাকাধীন জমি বন্দোবস্তের আওতায় আসবে না। এইগুলি জমির শ্রেণী পরিবর্তন সংক্রান্ত নীতিমালা সাপেক্ষে স্বতন্ত্রভাবে প্রণীত সংরক্ষণীয় তালিকার অন্তর্ভূক্ত থাকবে।
হাট-বাজারের জমিও এই নীতিমালার আওতায় বন্দোবস্তযোগ্য হবে )
পাহাড় ও পাহাড়ের ঢালু জমি বন্দোবস্ত প্রদানের ক্ষেত্রে ভূ-প্রকৃতি অর্থাত্ প্রাকৃতিক অবস্থার কোন রুপান্তর না করার শর্তাধীনে উৎপাদনশীল কার্যে ব্যবহারের জন্য বন্দোবস্ত দেয়া যাবে।
প্রস্তাবিত বন্দোবস্ত কার্যক্রম:
নিলামের মাধ্যমে বিক্রয় ছাড়া মেট্রোপলিটন এলাকার যে কোনো অকৃষি খাসজমি বন্দোবস্তের ক্ষেত্রে ভূমি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সরকার প্রধানে পূর্ব অনুমোদন গ্রহণ করতে হবে।
জেলা শহরে ০.০৮ একর (আট শতাংশ) এর উধ্ব পরিমাণ, থানা সদরে ০.১৬ একর (ষোল শতাংশ) এর উধ্ব পরিমাণ এবং ইহার বাহিরের ০.৩০ একর (ত্রিশ শতাংশ) এর উধ্ব পরিমাণ জমি বন্দোবস্তের সকল প্রস্তাবে ভূমি সংস্কার বোর্ড হতে অনুমোদন দেয়া হবে। ইহা অপেক্ষা কম পরিমাণ জমির ক্ষেত্রে নীতিমালার অধীনে বন্দোবস্ত কেইস বিভাগীয় কমিশনার পর্যায়ে চূড়ান্ত হবে। প্রয়োজনীয় সকল ক্ষেত্রে ভূমি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সরকার প্রধানের পূর্ব অনুমোদন গ্রহণ করতে হবে।
(গ) সকল ক্ষেত্রেই জেলা প্রশাসক প্রার্থীর জমির সেলামী/টাকা নির্ধারণ করে কেইস/মামলা রেকর্ড সৃজনপূর্বক যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট বন্দোবস্ত প্রস্তাব প্রেরণ করবেন।
যে সকল কারণে বন্দোবস্ত বাতিল হবে:
(১৯৯৫ সালের ৮ মার্চে প্রকাশিত গেজেট মতে )
জমি যে উদ্দেশ্যে বন্দোবস্ত প্রদান করা হবে তা বন্দোবস্ত অনুমোদনকারী কর্তৃপক্ষের বিনা অনুমতিতে অন্য কোনো উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হলে।
বন্দোবস্ত গ্রহীতা আংশিক বা সম্পূর্ণ চুক্তিপত্রের কোনো শর্ত ভংগ করলে।
ভূমি সংক্রান্ত সরকারী আইন/অধ্যাদেশ/আদেশ লংঘন করলে।
নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মূল্য পরিশোধ করতে ব্যর্থ হলে বন্দোবস্ত বাতিল বলে গণ্য হবে।
কিস্তিতে মূল্য পরিশোধের অনুমতি দেয়া হলে কিস্তি পরিশোধে ব্যর্থ হলেও বন্দোবস্ত বাতিল এবং প্রদত্ত কিস্তির টাকা বাজেয়াপ্ত হবে।
বন্দোবস্ত গ্রহণের পর কোন প্রয়োজনীয় তথ্য গোপন রাখা বা শর্ত ভংগের ঘটনা প্রকাশ হলে বন্দোবস্ত অনুমোদনকারী কর্তৃপক্ষ বন্দোবস্ত বাতিল ও প্রদত্তমূল্য বাজেয়াপ্ত করতে পারবেন।
তথ্য সূত্র: ভূমি আইন প্রয়োগ ও পদ্ধতি
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।