^^^^^^^^^
আজকের রাতটা কেমন যেন একটু সুন্দর, ভর গ্রীষ্মের বাতাসটা হেয়ারড্রায়ারের গরম হাওয়ার মত না হয়ে একটু যেন গা সওয়া রকমের গরম। ফেসবুকটা কেন যেন খুলছেনা, ঐ একটা জিনিসকে রাতে না গুতালে ভালো লাগেনা। কিছুক্ষণের জন্য মনে হল পিসির সামনে থেকে দূরে থাকি, এমনিতেই বাম চোখটার অবস্থা সুবিধার যাচ্ছেনা। চশমায় আমার রাজ্যের এলার্জি তবে রোদ চশমা অনেক প্রিয়। যখন মনে হয় বাম চোখটা কাজ করছেনা তখনি শুধু চশমাটা নাকে-কানে লাগাই, আর মনে হয় আমার উপরে কোন এক তিন মনি বোঝা চেপে আছে।
পুর্ব পশ্চিম নাক সোজা রাস্তাটায় যখনি নেমে আসি এক ফালি চাঁদ আমাকে ভেংচি কাটে, 'সেই কবে থেকে অপেক্ষা করছি'। কোথাও যাওয়া দরকার, রাতে আমার যাওয়ার যায়গা একটাই। আলো আঁধারিতে বাঁধানো সাগর পাড়। এই একটা জায়গা যেখানে চাঁদটাকে উপভোগ করা যায়। এত আলোর ভিড়ে আর কোথাও যে এতটুকু আঁধার নেই।
পকেট হাতড়ে দেখি চাবিটা নিয়েই নেমেছি, ওভাবেই চাবিটার তিনটা বোতামের একটায় চাপ পড়ে যায়। গাড়িটার ভেতরে বাইরে আলো জ্বলে উঠে হঠাৎ। রোডসাইড পার্কিং এ গাড়ির আড়ালে রোমান্সে ব্যস্ত ফিলিপিনো দু'টো সমানে ভড়কে যায়। স্টার্ট করে সিট টাকে এলিয়ে দিই, যতটুকু পেছনে থাকলে আমি সামনে ন্যুনতম দেখতে পাব সেভাবে। একহাতে স্টোর্টস স্টিয়ারিংটা ধরে আধ শোওয়া হয়ে রাস্তায় বেড়িয়ে পরি।
ইদানিং আমার এক স্বভাব হয়েছে, ড্রাইভ করার সময় ডান হাতটা মুখের দিকে চলে আসে আর দাঁতে আঙ্গুলের নখ কাটার মত একটা ভাব করি আসলে কাটিনা, আঙ্গুলের ডগাগুলো ঠোঁটে ছুঁইয়ে রাখি মাত্র। গাড়িটা আমার খুব প্রিয়, স্টিয়ারিংটা অনেক ছোট, মনে হয় এক হাতে মুঠোবন্দী করে ফেলতে পারব। আর চালানোর সময় মনে হয় আমি যেন এক হাতের মুঠোয় কোন আপ্সরীর সুন্দর নিয়ে খেলছি।
সাগর পাড়ে আসার পর কেমন যেন ভালো লাগলনা, খুব নির্জনের বদলে কিছু মানুষকে সেখানে আবিষ্কার করি। তারাও মনে হয় আজ প্রকৃতির বন্ধুত্বের আমন্ত্রণ রক্ষা করতে এসেছেন।
আর নামলাম না গাড়ি থেকে, ঘুরে সেই চেনা পূর্ব-পশ্চিম রাস্তায়। নেমেই চাঁদের গম্ভীর মুখ, মান ভাঙাতে তাকে বলি- 'কেন এত রাগ বন্ধু? আমি তোমাকে চাই, শুধুই আমার মত করে করে। আমি স্বার্থপর, ভালোবাসতে স্বার্থপরতা লাগে, নিজের ভালোবাসা আদায়ে খুব স্বার্থপর হতে হয়, স্বার্থপরের মত ভালোবাসতে হয়'।
-------------------------------------------------------------------------
০২০০, দোহা
১৬/ ০৭/ ২০০৯
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।