এখন আমি হয়তো কোনোভাবেই বলতে পারবো না তৎসম শব্দ কী? তদ্ভব শব্দ-ই বা কোনটা?
এখন আমাকে ক্লাস সেভেনের সাধারণ গণিত, পঞ্চম ভাগ থেকে কোনো অঙ্ক দিলেও বোধ হয় হিমশিম খেয়ে যাবো।
৯০ ভাগ ক্ষেত্রে পাশ পর্যন্তই এসবের প্র্যাকটিস থাকে। চোখ লাল করে রাত জেগে জেগে অঙ্ক করি ভুলে ভুলে যাওয়া সূত্রগুলো দিয়ে।
পরীক্ষার হলে ঢোকার আগেও একবার দেখে নেই নত্ব বিধাণ আর সত্ব বিধানের নিয়মাবলী।
পরীক্ষা শেষ, সব শেষ।
সূত্রের আশে পাশেও যাওয়া হয়না জীবনে আর।
এখন লিখতে গিয়ে প্রায়ই পাশের জনকে প্রশ্ন করতে হয়, ভাই ওমুক শব্দটা লেখতে দন্তন্য হবে না মূর্ধন্য?
বাদ দেই লেখা পড়া। লাভ নেই এই ফাও আলোচনায়। কারন আমাদের সৃজনশীলতার চাপে পড়ে লেখাপড়ার অবস্থা আজ করুণ। যথেষ্ট প্রস্তুতি না নিয়েই সৃজনশীল প্রশ্নোপত্রের সামনে শিক্ষার্থীরা অসহায় হয়ে গেছে শুনলাম।
সারদেশে প্রথম সাময়িক পরীক্ষায় ২০% ছাত্রছাত্রী ইংরেজীতে আর ৭০% অঙ্কে ফেল।
মোটে ১০%শিক্ষার্থী সব বিষয়ে পাস।
পুরাতন প্রসঙ্গে যাই, আমাদের ব্যাকারণ... আমাদের গণিত ...
হায়! আমাদের আর সে মুখো হওয়ার দরকার হয়না। কারন,কাউকে গালাগলি করতে গালির ভেতরে কোন 'ন' আছে তা জানতে হয়না।
জানতে হয়না গণিতও, গণিত বোঝা ছাড়াই আমরা অনায়াসে দেশের টাকা মেরে দিয়ে হয়ে যেতে পারি সম্ভ্রান্ত কোনো ঋণখেলাপি।
তাই গণিত ও ব্যাকরণ ক্রমশই ম্লাণ হয়ে যাচ্ছে জীবন থেকে।
যে কারনে গণিত ভুলে আমরা হিসেব করতে ভুলে যাই একটা টিপাইমুখ বাধ হলে আমাদের ক্ষতি কী পরিমান।
যে কারনে রাষ্ট্রের ব্যাকারণহীন আচরনে পড়ে ল্যাম্পপোষ্টের সদস্যরা অসহায়,নির্যাতিত।
তাই বানরের ব্যাকারণ ও গণিতে ধারণার কথা জেনে মনে হলো তারাইতো আমাদের চেয়ে ঢের ভালো আছে। কারন তাদের গণিত এবং ব্যাকারণে দখল আছে।
যারা নিজেরা গণিত এবং ব্যাকারণে নির্যাস নিয়ে নিজেরা ভালো থাকে এবং অন্যরাও তাদের এই নিয়মতান্ত্রিক বিষয় নিয়ে থাকে সচেতন ।
যে হিসেবে, হয়তো একজন পিনাক রঞ্জন আমাদের কাছে অনায়াসে বলে ফেললেও বানরের সমাজে গিয়ে ব্যাকারনহীন এবং বেহিসেবী কথা বলার সাহস পাবে না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।