আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এক ভারতীয় দালালের আকুতিঃএশিয়ান হাইওয়ের ব্যাপারে সতর্ক হোওন!!

ব্যস্ত শহর ঠাঁস বুনটের ভিরে আজো কিছু মানুষ স্বপ্ন খুজে ফিরে........

বাংলাদেশ অর্থনৈতিক ও সামরিক দিক দিয়ে প্রতিবেশি বৃহত দেশ ভারত অপেক্ষা ছোট হলেও আত্মমর্যাদার দিক দিয়ে কোন অংশেই কম নয়,বরং আমাদের স্বাধীনতা তাদের চেয়ে অধিক দামী,অনেক দাম দিয়ে কেনা। যাক মুজিব প্রীতি থাকলেই,আর পাকিস্তান এলার্জি থাকলেই ভারতিয় দালাল কমন গালি খেতে হয়,সেটা অনেক পুরান। মুল কথায় আসি। এশিয়ান হাইওয়ে অনেকের ভাষায় ভারতকে ট্রানজিট দেয়া নিয়ে নান জনের নানা মত। কিন্তু আমার মত একটাই,এশিয়ান হাইওয়েতে যুক্ত না হওয়াটা সমাজে এক ঘরে থাকার নামান্তর।

যা কোন ভাবেই দেশের জন্য সুদুর ভবিষ্যতে মঙ্গল জনক হবে না। কিন্তু এই একটি ইস্যুই বাংলাদেশের কাছে টার্ম কার্ড হিসাবে আছে ভারতের সাথে যে কোন বাই লেটেরাল বিষয়ে দর কষা কষির জন্য। দুই দেশের সীমান্তে প্রতিনিয়ত গুলি হচ্ছে,অধুকাংশ সময়ে নিরহ বাঙ্গালী হত্যা হচ্ছে। তালপট্টী ও ছিট মহল সমস্যা,গঙ্গার পানি,টিপাই মুখ বাধ। এত এত সমস্যা,যার জন্য অন্যতম হাতিয়ার হতে পারে এই ট্রাঞ্জিট।

ব্যাপারটা যদি পরিস্কার করে বলি,তবে, এশিয়ান হাইওয়ে হচ্ছে এশিয়ার ৩২ দেশকে যুক্তকারী ১,৪১,০০০ কি.মি. আন্তর্জাতিক মানের রাস্তা যা জাপান থেকে শুরু হয়ে দক্ষিণ কোরিয়া,পাকিস্তান, আফগানিস্তান, চীন, থাইল্যান্ড, মিয়ানমার, বাংলাদেশ, ভারত, ইরান ও তুরস্ক হয়ে ইউরোপের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। প্রকল্পটি সর্বপ্রথম UNESCAP (The United Nations Economic and Social Commission for Asia and the Pacific (ESCAP) কতৃর্ক ১৯৫৯ সালে প্রণয়ন করা হয় এবং ১৯৬০-১৯৭০ সালে প্রথম ধাপেউল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধিত হয়েছিল। বাংলাদেশের ভিতর এই পর্যন্ত ৩ টি রুটের প্রস্তাব করা হয়েছে। যেগুলি হলো, AH-1 এ রুট যশোরের বেনাপোল সীমান্ত থেকে ঢাকা ও সিলেট হয়ে তামাবিল সীমান্তে পৌঁছাবে, দুরত্ব- ৪৯৫ কিলোমিটার । AH-2 এ রুট পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা থেকে সিরাজগঞ্জের হাতি-কামরুল, ঢাকা, কাঁচপুর হয়ে সিলেটের তামাবিল পর্যন্ত পৌঁছাবে, দুরত্ব -৮০৫ কিলোমিটার ।

AH-41 উপ- আঞ্চলিক রুট, এ রুট বাগেরহাটের মংলা থেকে যশোর, ঢাকা হয়ে কক্সবাজারের টেকনাফ হয়ে মিয়ানমার পর্যন্ত পৌঁছাবে, দুরত্ব- ৭৫২ কিলোমিটার । বর্তমান সরকার সম্ভবত AH1 ও AH2 এর দিকেই ধাবিত হবার ইজ্ঞিত দিচ্ছে!!কিন্তু এখানেই সমস্যার সুত্রপাত। এই ৩টির একটি কে বেছে নিতেই হবে,কিন্তু প্রশ্ন কোনটি আমাদের জন্য মঙ্গল জনক??? কেইস ১ঃ Ah41 যুক্ত হলে মায়ানমারের মত একটি দেশের সাথে সরাসরি যুক্ত হবে বাংলাদেশ যেটি দীর্ঘ কাল ধরে সামরিক শাসনে পিষ্ঠ। কিন্তু এক্ষেত্রে সড়ক নির্মান খরচ কম লাগবে বাংলাদেশের,ও ভবিষ্যতে থাইলেন্ড ও ঐ দিকের দেশের সাথে বানিজ্য সম্প্রসারন সহজতর হবে। কেইস ২ঃ আবার AH1,AH2 দিয়ে যুক্ত হলে বাংলাদেশের ভুখন্ড ব্যবহার করে সমচেয়ে সুবিধা পাবে ভারত!এখন যাবো কোথায়??? আমার আকুতিঃ AH1 ,Ah2 হলে পশ্চিম বঙ্গের রাজধানী কোলকাতা এবং ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলার দূরত্ব প্রায় ১৫০০ কিলোমিটার থেকে কমে হবে মাত্র ৩৫০ কিলোমিটার।

তাই ভারত মরিয়া এটি বাস্তবায়নের জন্য। এইটিকে আমরা কাজে লাগাতে পারি যদি আমাদের সকারের সেই দেশ প্রেম থাকে। কিভাবে? ১)আমার কাছে যে তথ্য আছে,তাতে এশিয়ান হাই ওয়ে ব্যবহার করে কোন দেশ অন্য দেশের ভিতর দিয়ে সৈন্য পরিবহন করতে পারবে না। তাই যদি হয় তাতে ভারত বাংলাদেশের ভিতর দিয়ে সৈন্য নিয়ে আমাদের স্বাধীনতা বিপণ্ণ করবে এই যুক্তি টীকে না। (আমার ভুল হলে জানাবেন) ২)তাই রোহিঙ্গা শরনার্থি নিয়ে বৈরী সম্পর্ক যুক্ত মিয়ানমারের মত সামরিক জান্তাদের সাথে সরাসরি যুক্ত না হয়ে, AH1 ,AH2 এর কোণটি কে বেছে নিয়ে,তার জন্য কুটনৈটিক চালের মাধ্যমে,ভারতের সাথে বিবাদমান সকল সমস্যার স্থায়ি সমাধান করাটা অনেক বুদ্ধির কাজ হবে।

৩)প্রতিদিন বর্ডারে হত্যা,তালপট্টী,ছিট মহলে করিডোর,টিপাই মুখি বাধ স্থাপন বন্ধ ও গঙ্গার পানি আরো বাড়িয়ে নেয়া গেলে সেটি আমদের জন্য কি মঙ্গল জনক হবে না? বিদ্রঃ যদি এশিয়ান হাইওয়ে কেবল বানিজ্যিক পরিবহনে ব্যবহার হয় তাহলেই।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।