আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

িটপাই মুখ বােধর িবরুেদ্ধ প্রিতবােদ কে বেশী আক্রান্ত পুলিশ না প্রথম আেলা?



কয়েকটি পত্রিকার খবরে দেখলাম টিপাইমুখ বাধের বিরুদ্ধে ল্যাম্পপোস্টের প্রতিবাদকালে ভারতীয় হাই কমিশনের নিরাপত্তা রক্ষীদের নির্দেশেই নাকী সেখানে উপস্থিত পুলিশ প্রথম সক্রিয় হয়। তারা প্রতিবাদকারীদের বেধরক পেটালেও ঐ নিরাপত্তারক্ষীরা স্যাটিসফাইড হয়নি। হাইকমিশনের ভিতর থেকে নির্দেশনার ভিত্তিতে ঐ নিরাপত্তা রক্ষীরা তখন প্রতিবাদকারীদের গ্রেফতার করতে নির্দেশ দেয়। প্রতিবাদকারীরা তারপরও স্মারকলিপি দেবার জন্য সেখানে শ্লোগানসহ দাঁড়ানোর চেষ্টা করে। উপস্থিত পুলিশ সার্জেন্ট ইতিমধ্যে গুলশান থানায় খবর দেয়।

এক গাড়ী পুলিশ এসে আবারো বেধরক লাঠিপেটা করে প্রতিবাদকারীদের দুজনকে গ্রেফতার করে। শেষে দুতাবাসের ভারতীয় নিরাপত্তি রক্ষীদের ধমকের মুখে অন্তত দুজনকে তৎক্ষনাৎ গ্রেপ্তার করে নিজেদের করিৎকর্মা হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করে। - এ ঘটনা প্রবাহ কি সত্য? যদি সত্য হয় তাহলে তো বলতেই হবে বাংলাদেশের একটি অস্তিত্ব আছে, যার একটি কার্যকরী পুলিশ বাহিনিও আছে। তবে সেই অস্তিত্ব যেন ভারতের একটি উপনিবেশের মত। যেখানে স্বাভাবিকভাবে পুলিশবাহিনিও উচ্চতর বসকে চেনে বলেই উপনিবেশিক কর্তা ভারতের সেবায় যোগ্যতার স্বাক্ষর রাখল।

তবে এ যোগ্যতা অন্য কিছু নয় পুলিশবাহিনীর পেশাদারী যোগ্যতা। এর কারণে আমরা কেউ পুলিশদের দোষ দিতে পারিনা। কেননা পুলিশ তো জণগণের পক্কে এ রাস্ট্র ও সরকারের সেবক। আর রাস্ট্র ও সরকারের ভাল সেবক হতে হলে তো তাকে রাস্ট্র ও সরকার কার সেবা করছে তা ঠিকভাবে বুঝে নিয়ে সেই মহাপ্রভুর পদতলে উত্তম সেবা নিশ্চিত করতে হবে। সর্বত্তোম যোগ্যতার সেটাই তো পরিচয়, নয়কি? যা আমাদের পুলিশরা যথার্থই দেখিয়েছেন।

সুতরাং, জয় তু পু .. পু.. কিন্তু যে ধাধার উত্তর মেলে না সেটি হলো প্রথম আলো। প্রতিবাদের কয়েক ঘন্টার মধ্যে প্রতিবাদের দিন ৫ তারিখ বেলা ২টার আগেই অনলাইন সংস্করণে তারা যা বললো তার অর্থ দাঁড়ায় যে, টিপাই মুখ বাধের বিরোধিতার নামে প্রতিবাদকারীরা ভারতীয় দুতাবাসে সশস্ত্র হামলা করতে যায়। সেখানে নিরস্ত্র পুলিশ তাদের শান্তিপূর্নভাবে নিষেধ করলে প্রতিবাদকারীরা পুলিশের উপর বর্বর হামলা চালিয়ে হাসপাতালে পাঠায়। অল্পের জন্য ঐ পুলিশরা প্রাণে বেচে গেছে। পরের দিন ৬ তারিখ এসব ঐ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।

এর পর তো এ পর্যন্ত প্রতিবাদকারীদের গুষ্টি উদ্ধারের মাধ্যমে তাদের প্রতিবাদের বিষয়টিকে কিভাবে হালকা করা যায় প্রথম আলো যেন সে উদ্দেশ্যে আদা জল খেয়ে নেমে পড়েছে। এসব দেখে মনে হচ্ছে টিপাই মুখ বাধের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ আসলে প্রথম আলোকেই সবচেয়ে বেশী আক্রান্ত করছে। রাস্ট্র ও সরকারের চেয়েও বেশী নয় কি? ব্লগারদের কাছে আমার প্রশ্ন- এর কারণ কি? এমতাবস্থায় আমাদের করণীয় কি? আমি বুঝতে চাই। করার জন্য করণীয় ঠিক করতে চাই। সহযোগিতা করুন।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।