সাধারণত নিজে যখন কোথাও যাওয়া আসা করি, তখন সি এন জি’র দরকার হয় না। কিন্তু সাথে বয়ষ্ক কোন মুরব্বী বা অসুস্থ কেউ থাকলে সি এন জি নিতেই হয়। ২০০৫ সালের দিকে যখন প্রথম ঢাকা আসি, তখন সি এন জি চলতো মিটারে। এর কিছু দিন পর দেখি ড্রাইভাররা বলতো-মিটার থেকে দশ টাকা বাড়িয়ে দেয়ার জন্য। যাই হোক, তাও মানা যায়।
কিন্তু এখন!!!
সি এন জি যেন হয়ে গেলো সোনার হরিণ। যে কোন দূরুত্বে যাবার নির্দেশ থাকলেও বেশির ভাগ সময়েই তারা তাদের পছন্দ মত গন্তব্য ছাড়া যেতে চায় না। এমন কি কখনো কখনো তাদেরকে “মামা যাবেন?”-এ কথাটি বলতেও যেন সংগ্রাম করতে হয়। যাই হোক আমার গন্তব্য যদি তাদের পছন্দ মত হয়, তাহলে দাম হাঁকায় মিটারের চেয়ে কয়েক গুন বেশি। তারা যা বলে তা।
কোন প্রকার দরকষাকষির সুযোগ নেই। তাই এগুলো সইতে সইতে এখন আমরাও খুব সহনশীল।
মাঝে মাঝে আমার নানুকে সাথে নিয়ে মোহাম্মদপুর থেকে সদর ঘাঁট আসতে হয়। ভাড়া দিতে হয় মোটামুটি সাড়ে তিনশ থেকে চারশ টাকা। আজ আমার এক চাচী ঢাকা এসেছেন।
আমি তাঁকে রিসিভ করতে সদর ঘাঁট গেলাম। পরে যখন সি এন জি ঠিক করতে গেলাম, তখন পড়ে গেলাম মহা মুসিবতে। কেউ মধ্য বাড্ডা যেতেই চায় না। যাই হোক কিছুক্ষন অপেক্ষা করার পর দু-এক জন যেতে রাজি হলো। কিন্তু চারশ টাকার কম যাবেই না।
বেশ কিছুক্ষন অপেক্ষা করলাম। অবশেষে একটিতে উঠলাম। তবে উঠার আগেই ড্রাইভারের শর্ত- সার্জেন্ট যদি ধরে, তবে বলতে হবে মিটারে যাচ্ছি। কিছুই করার নেই আমাদের। আন্টি অসুস্থ।
তাই বাসে যাওয়াও সম্ভব না। অনেকগুলো সি এন জি কে বললেও তারা যাবেই না, ভাড়া তো পরের কথা। এদিকে আন্টিকেও বেশিক্ষন দাঁড় করিয়ে রাখা যাচ্ছে না। উনি অপারেশনের রোগী। কী আর করার!!! ড্রাইভারের শর্ত মেনে সি এন জি’তে উঠতে হলো।
যাত্রী সাধারন আজ তাদের কাছে জিম্মী। তাই মেনে নিতে হচ্ছে অন্যায় শর্ত। আমার প্রশ্ন হচ্ছে-এগুলো দেখার কি কেউ নেই? আর যদি এগুলো দেখার মত যথাযথ কর্তৃপক্ষের সময় না থাকে, তাহলে সি এন জি’তে মিটার বসিয়ে যাত্রীদের সাথে প্রতারনা করার কী দরকার? মিটার না বসালেই তো হয়! বর্তমানে রাজধানীতে দু-একটি সি এন জি’ও মিটারে চলে কিনা আমার সন্দেহ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।