ব্যস্ত শহর ঠাঁস বুনটের ভিরে আজো কিছু মানুষ স্বপ্ন খুজে ফিরে........
কিছু দিন আগের কথা ফার্ম গেইটে কোন এক ঘটনার পরিপেক্ষিতে জনৈক এক ব্যক্তির মন্তব্য "এই দেশে জন্মানোটাই আজন্মের পাপ!!" কতটা কষ্ট পুঞ্জিভুত হলে মানুষ নিজ দেশের প্রতি এমন মন্তব্য করে!
আজ রাষ্ট্র দ্রোহী (!) জাহানারা ইমামের ১৫ তম প্রয়ান দিবস। আমরা জাতি হিসাবে তাকে শহীদ জননি মানলেও এই রাষ্ট্রের সরকার তাকে রাষ্ট্র দ্রোহি ডেকেছে!জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে ১৯৯২ সালের ১৯ জানুয়ারি ১০১ সদস্যবিশিষ্ট একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি গঠিত হয়। এই কমিটি ১৯৯২ সালে ২৬ মার্চ ’গণআদালত’ এর মাধ্যমে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে একাত্তরের নরঘাতক গোলাম আযমের ঐতিহাসিক বিচার অনুষ্ঠান করে। তাতে ১০ টি অভিযোগের ভিত্তিতে গোলাম আযমের মৃত্যু দন্ডের সুপারিশ করা হয়। গণআদালত অনুষ্ঠিত হবার পর সরকার ২৪ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিসহ জাহানারা ইমামের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ এনে অ-জামিনযোগ্য মামলা দায়ের করে!পরে জামিন হলেও পুরো বি এন পি সরকারের আমলে চার্জ টি রয়ে যায়।
৯৪ সালের এই দিনে এমন একটি চার্জ মাথায় নিয়েই তার মৃত্যু হয়!
অতঃপর ১৯৯৬ সালে তাকে এই চার্জ থেকে অব্যহতি দেয়,তখনকার তত্ত্বাবধায়ক সরকার।
এই রাষ্ট্র কোন গু আযম,নিজামিদের কিছু করতে পারোক আর না পারোক,মুক্তিযুদ্ধা ও তার স্বপক্ষের মানুষদের বিচার করতে ২য় বার ভাবেনি!
ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর প্রহর গুনার সময় বাঙ্গালী জাতির প্রতি হাসপাতালের শয্যায় তার শেষ বার্তায় তিনি বলেছেন,
My fellow warriors,
You have been fighting the evil forces of Golam Azam and his war criminals of 1971, along with the detractors of a free Bangladesh for the last three years. As a nation of Bangalees, your unity and courage has been unparallel. I was with you at the start of our struggle. Our resolve was to remain in battle until we had achieved our objective. Stricken with the fatal disease of cancer, I am now facing my final days. I have kept my resolve. I did not leave the battle. But I cannot stop the inevitable March of death. Therefore, I once again remind you of our resolve to fight until our goal is attained. You must fulfill your commitment. You must stand united and fight to the very end. Even though I will not be among you. I will know that you--- my millions of Bangalee children---- will live in a free Golden Bengal with your sons and daughters. We still have a long and arduous road ahead. People from all walks of life has joined this battle. People from different political and cultural groups, freedom fighters, women, and students, and youths have all committed themselves to the battle. And I know that there is no one more committed than the people. People are power. So I commit the responsibility of the fight to bring Golam Azam and the war criminals of 1971 to justice and to continue to champion the Spirit of the Liberation War to you--- the people of Bangladesh. For certain, victory will be ours.
বাংলাঃ
প্রিয় সহযোদ্ধারা,
গত তিন বছর ধরে আপনার গোলাম আযম ও তার সহযোগী ১৯৭১ সালের যুদ্ধাপরাধীদের এবং স্বাধীনতার শত্রুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালাচ্ছেন। বাঙালী জাতির প্রেক্ষাপটে আপনাদের একতা এবং সাহস ছিলো অতুলনীয়। আমাদের এই সংগ্রামের শুরুতে আমি আপনাদের সঙ্গী ছিলাম। আমাদের প্রতিজ্ঞা ছিলো যতক্ষণ না লক্ষ্য অর্জন হচ্ছে ততক্ষণ এই যুদ্ধ চলবে।
মরণব্যাধি ক্যান্সারে শয্যাশায়ী হয়ে আমি আমার জীবনের শেষ দিনগুলো গুনছি।
আমি আমার প্রতিজ্ঞা রেখেছি। আমি লড়াই থেকে পিছু হটিনি। কিন্তু মৃত্যুর দিকে এই অবশ্যম্ভাবী যাত্রা আমি ঠেকাতে অক্ষম। সে কারণেই আমি লক্ষ্য অর্জন না হওয়া পর্যন্ত যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার শপথটা আপনাদের আরেকবার স্মরণ করিয়ে দিতে চাই।
আপনাদের অবশ্যই এই অঙ্গীকার পূরণ করতে হবে। আপনাদের অবশ্যই একতাবদ্ধ থাকতে হবে এবং শেষ পর্যন্ত লড়তে হবে। যদিও আমি আপনাদের সঙ্গে থাকতে পারব না। কিন্তু নিশ্চিত জানব- আমার লাখো বাঙালী ছেলেমেয়ে- একটি স্বাধীন সোনার বাংলায় আপনাদের ছেলে মেয়ের সঙ্গে বাস করছে।
আমাদের সামনের পথ এখনও দীর্ঘ এবং বন্ধুর।
এই যুদ্ধে আমরা সর্বস্তরের জনগণকে পাশে পেয়েছি। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সাংস্কৃতিক সংগঠন, মুক্তিযোদ্ধা, নারী, ছাত্র এবং যুবকরা এই লড়াইয়ে সামিল হওয়ার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়েছে। আর আমি জানি জনগণের চেয়ে দৃঢ়চেতা আর কেউ নয়। জনগণই সব শক্তির মূলে। তাই আমি গোলাম আযম এবং ১৯৭১ সালের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ভার ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রাখার দায়িত্ব তুলে দিয়ে যাচ্ছি আপনাদের হাতে- বাংলাদেশের জনগণের হাতে।
নিশ্চিত জানবেন, জয় আমাদের হবেই।
বর্তমান সরকার যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করবে এই ওয়াদা দিয়ে ক্ষমতায় এসেছে। আন্তর্জাতিক ও দেশিয় অনেক চাপ আছে তা জানি,কিন্তু তার পরেও সরকারের প্রকৃত ইচ্ছাই এই বিচারের জন্য যথেষ্ট। বাজেটে বরাদ্দের অজুহাত সহ কোন অজুহাতেই এই যাত্রায় রক্ষা নেই।
হয় যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে হবে,তা হয় আমাদের সবাইকে রাষ্ট্র দ্রোহীতার অভিযোগে বিচার করতে হবে!!
For certain, victory will be ours.
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।